মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষায় নকল সরবরাহ করার দায়ে দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের এক শিক্ষককে ৭ দিনের কারাদণ্ড ও ২ ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রবিবার উচ্চতর গণিত পরীক্ষায় চিরিরবন্দর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষায় নকল সরবরাহ করার দায়ে আমেনা বাকি রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের এক শিক্ষককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৭দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং জরিমানা অনাদায়ে ১৫দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
চিরিরবন্দর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সচিব সুভাষ চন্দ্র রায় বলেন, পরীক্ষা শুরুর ৫ মিনিটের মাথায় দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের পরিদর্শক দল একটি কক্ষে ৯৫২৭৫৭ রোল নম্বরধারী লাবিব হাসনাত সর্দার নামে এ জেড রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলের ছাত্র, সনকৈড় আব্দুল গফুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয়া এক ছাত্রের নিকট মোবাইল দেখতে পেলে তাকে বহিস্কার করা হয়। এরপর ওই মোবাইলের সুত্র ধরে ওই শিক্ষককে আমেনা বাকি স্কুল থেকে আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়। এছাড়াও একই পরীক্ষায় অন্য একটি কক্ষ থেকে নকল করার অভিযোগে ২৪৫৫৭০ রোল নম্বরধারী ড্যাফডিল রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলের ছাত্র ফলিমারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয়া হাফিজুল ইসলাম নামে আরেক ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়।
চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফাতেহা তুজ জোহরা জানান, একটি চক্র মোবাইলে হোয়াটস গ্রুপ খুলে পরীক্ষার প্রথম দিন থেকেই সক্রিয় ছিল। অনেক চেষ্টা করেও তাদেরকে ধরতে পারা যাচ্ছিল না। অবশেষে সফলতা এসেছে। সহযোগিতাকারী ওই শিক্ষকের স্বীকারোক্তি মোতাবেক তাকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে ১৫দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
এদিকে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে রবিবার বেলা ১২ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম ঘোড়াঘাট কেসি পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে অসুদউপায় অবলম্বনে দায়ে ২ জন শিক্ষার্থীকে থেকে বহিষ্কার করেন। সেই সাথে পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বে অবহেলার কারণে চলতি বছরের পরীক্ষার সকল কার্যক্রম থেকে ৪ জন শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল