মাগুরা সদর উপজেলার বেরইলপলিতা ইউনিয়নে ১৬ বছর বয়সী এক মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় রবিবার দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন-কিশোরীর সম্পর্কে চাচা মো. টিপু ও চাচাতো ভাই মো. শাওন।
পরিবারের অভিযোগ, কিশোরীটি দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় কিশোরীকে প্রায়শই বাড়ি থেকে বের হয়ে যেত। গত শুক্রবার দুপুরে তাকে ঘরে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে বাড়ির কাছেই একটি পাটক্ষেত থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
কিশোরীর মা জানান, জুমআর নামাজের পর তিনি মেয়েকে গোসল করিয়ে বারান্দায় রেখে নিজে গোসল করতে যান। ফিরে এসে মেয়েকে আর খুঁজে পাননি। পরে যখন মেয়েকে পাওয়া যায়, তখন তার সারা শরীরে কাদা মাখা ছিল। তিনি বুঝতে পারেন তার মেয়ে ধর্ষিত হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে মাগুরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তিনি এই জঘন্য অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। পরে কিশোরীর চাচা মো. টিপু ও চাচাতো ভাই মো. শাওনকে রবিবার গ্রেফতার করে পুলিশ।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আয়ুব আলী জানান, মামলা দায়েরের পরপরই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। এছাড়া আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে প্রধান অভিযুক্ত মো. শাওন।
এদিকে, ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে চিকিৎসার জন্য রবিবার মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এই ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার রাতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা। রাত ৮টার দিকে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে শহরের ভায়না মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন পৌর কৃষক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অপু শেখ ও ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের সবুজ। এ সময় বক্তারা অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেন।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম