পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা সব খালের সীমানা চিহ্নিত, দূষণ বন্ধসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতারা। সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে আন্ধারমানিক নদীর তীরে পৌর শহরের হেলিপ্যাড মাঠে সংবাদ সম্মেলন থেকে এই দাবি জানানো হয়।
‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)’, ‘পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন, কলাপাড়া’ ও ‘আমরা কলাপাড়াবাসী’ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের যৌথভাবে এর আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) কলাপাড়া উপকূলীয় অঞ্চল সমন্বয়কারী মেজবাহউদ্দিন মাননু। তিনি বলেন, খাল-নদী বেষ্টিত সাগরঘেষা কলাপাড়া উপজেলার অধিকাংশ মানুষের প্রধান পেশা কৃষি ও মৎস্য শিকার। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে খাল ভরাট, দখল ও দূষণের কারণে মিঠা পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
এছাড়া জলোচ্ছ্বাস ও লোনা পানির আগ্রাসন ঠেকাতে বেড়িবাঁধ ও সুইসগেট নির্মাণ করা হলেও বর্তমানে এর বিরূপ প্রভাব দেখা দিয়েছে। এতে খালের স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। একদিকে পলিতে খাল ভরাট, অন্যদিকে জমির মালিকরা সেই জায়গা দখল করে চাষাবাদ, পুকুর ও বসতবাড়ি নির্মাণ করেছেন। তবে ভূমি অফিসের অনিয়ম ও উদাসীনতার কারণে দখলদারিত্ব এখনও চলছে বলে দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ইতিমধ্যে অন্তত দুই শতাধিক খাল নিশ্চিহ্ন হয়েছে। ভরাট করা খালগুলো এখন কৃষিজমি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। এমনকি গুরুত্বপূর্ণ খালগুলো সরকারিভাবে মাছ চাষের নামে লিজ দিয়ে সাধারণ মানুষের ব্যবহার থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে। স্থানীয় কৃষক ও কৃষি বিভাগের মতামত না নেওয়ায় খাল খনন করায় সরকারি অর্থ ব্যয় হলেও সুফল মিলছে না।
এমন পরিস্থিতিতে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় উপজেলা সব খালের সীমানা চিহ্নিত, খাল দখল ও দূষণ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার নেওয়ার দাবি জানিয়েছে পরিবেশ সংগঠনের নেতারা।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)’ কলাপাড়া উপকূলীয় অঞ্চল সমন্বয়কারী মেজবাহউদ্দিন মাননু, ‘পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন, কলাপাড়া’ সমন্বয়কারী নজরুল ইসলাম,‘আমরা কলাপাড়াবাসী’ সভাপতি নাজমুস সাকিব প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/কামাল