ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম বাণিজ্য আলোচনা সভা’ এবং ‘বিটুটি ম্যাচ-মেকিং সেশন’ আজ ঢাকা চেম্বার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, ভিয়েতনামের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল ডু হুয়াক হাং-এর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফররত ৩১ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল উক্ত আলোচনা ও বিটুবি সেশনে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী সেশনে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ২০২১ অর্থবছরে দুদেুুশের বাণিজ্য ছিল ৭৩৯.৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, তবে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা নিরসন, বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের আদান-প্রদান এবং বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের মধ্যকার যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা সম্ভব। বাংলাদেশের কৃষি, জাহাজ নির্মান, ইলেকট্রনিক্স, টেক্সটাইল, ঔষধ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং হালকা-প্রকৌশল প্রভৃতি খাতে ভিয়েতনামের উদ্যোক্তাদের একক ও যৌথ বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহবান জানান ডিসিসিআই সভাপতি।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন উল্লেখ করেন, ভিয়েতনামের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে বাংলাদেশ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি দেশ এবং কোভিড মহামারীকালীন সময়েও দুদেশের ব্যবসা তুলনামূলকভাবে বেড়েছে। তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম নয়মাসে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে এবং সামনের দিনগুলোতে এটা বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ডিসিসিআই আয়োজিত বিটুবি সেশন দুদেশের বেসরকারিখাতের প্রতিনিধিদের মধ্যকার যোগাযোগ আরো সম্প্রসারণ করবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের ভিয়েতনামে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
প্রতিনিধিদলের দলনেতা এবং ভিয়েতনামের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল ডু হুয়াক হাং বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের উদ্যোক্তাদের মধ্যকার যোগাযোগ এখনও আশানুরূপ পর্যায়ে উন্নীত হয়নি এবং এ অবস্থার উন্নয়নে তিনি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রতিনিধিদল প্রেরণের উপর জোরারোপ করেন। তিনি বলেন, ঢাকা ও হ্যানয়ের মধ্যকার সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালু করা সম্ভব হলে, দ্বিপাক্ষিক ব্যাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে বলে মত প্রকাশ করেন। তিনি জানান, ভিয়েতনাম ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের সাথে ১৫টি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষর করেছে এবং বাংলাদেশী উদ্যোক্তারা তাঁর দেশে বিনিয়োগের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য স্বল্প শুল্ক সুবিধা ভোগ করে রপ্তানি করতে সক্ষম হবে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এস এম রহমান।
ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি আরমান হক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এছাড়াও ভিয়তনামের ৩১টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির সাথে ঢাকা চেম্বারের সদস্যভুক্ত প্রায় ১০০টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ আয়োজিত বিটুবি সেশনে যোগদান করেন, যার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরো সম্প্রসারণ হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ