শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭

ভাবতেও কেমন লাগে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত নেই

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
ভাবতেও কেমন লাগে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত নেই

৩১ জানুয়ারি ১৩৩, টাঙ্গাইল-৪ কালিহাতী এই নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ উপনির্বাচন হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কলঙ্কিত নির্বাচন আর কখনো হয়নি। ভোটারবিহীন নির্বাচন, সেও হয়তো কিছুটা সম্মানের। কিন্তু প্রার্থী ছাড়া, ভোটার ছাড়া এমন কলঙ্কজনক নির্বাচন বাপ-দাদার জন্মে কখনো দেখিনি। ছেলেবেলায় শুনেছিলাম, অমাবস্যার রাতে জাত চোর চুরি করার সুযোগ না পেলে নিজের ঘরেই চুরি করে বা চুরির মহড়া দেয়। কিছুই না পেলে শেষ পর্যন্ত ঘরের থালা-বাসন এদিকেরটা ওদিকে করে অভ্যাস ঠিক রাখে। শেষ পর্যন্ত এমনই করেছেন জনাব রকিবউদ্দীনের নির্বাচন কমিশন। কালিহাতী নির্বাচনী আসনে সর্বমোট ভোট ৩,০৭,৭০০। তার মধ্যে শোনা যাচ্ছে নৌকার প্রার্থী পেয়েছেন ১,৯৩,৫৪৭। নিকটতম দুজন মিলে তিন-সাড়ে তিন হাজার। সারা দিন ভোট কেন্দ্রে ভোটার ছিল না। কিন্তু ভোট গণনায় দুই-তৃতীয়াংশ ভোটারের উপস্থিতি বিস্ময়কর। তেমন শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকার পরও বহু কেন্দ্র আগেই সিল মেরে বাক্স ভর্তি করা হয়েছিল। তার মধ্যে বল্লভবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সিলমারা বাক্স উদ্ধার করে প্রিসাইডিং অফিসার মাধব চন্দ্র দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমন জঘন্য নির্বাচন, তাও কেন যেন কারও কোনো মাথাব্যথা নেই। এমন ভোট কেউ পায়? তিন লাখে দুই লাখ- এও কি সম্ভব? সেই ’৭০ সাল থেকে কেউ পায়নি। পাকিস্তানের শেষে এবং বাংলাদেশে আমাদের নেতা ছিলেন জননেতা আবদুল মান্নান। তিনি টাঙ্গাইল সদর থেকে নির্বাচন করতেন। দেলদুয়ার নিয়ে সদরের ভোট ছিল সবসময় বেশি, সাড়ে তিন লাখের ওপরে। যতবার হেরেছেন, জিতেছেন লাখ ভোট পাননি, পেয়েছেন ৭০-৮০-৯০ হাজার। ’৯৬ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ আমরা ১০ জন লাখের ওপর ভোট পেয়েছিলাম। সে তো কোনো উপনির্বাচন নয়, সেটা ছিল জাতীয় নির্বাচন। সাধারণত যে কোনো উপনির্বাচনে জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে কম ভোট কাস্ট হয়। কালিহাতীতে গত পঞ্চাশ বছর লতিফ সিদ্দিকী, শাজাহান সিরাজ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেন। তারা কখনো লাখ ভোট পাননি। একমাত্র ২০০৮ সালে লতিফ সিদ্দিকী যথার্থই এক লাখ তেতাল্লিশ হাজার ভোট পেয়েছিলেন, জালিয়াতি করে এক লাখ তিরানব্বই হাজার নয়। এ যেন বিশ্ব রেকর্ড। হতে পারে, চুরি যখন করবই কম করব কেন? তেমন হলে বলার নেই। তবে অমন হলে দেশের বদনাম হয়, দলের নেতা হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনারও হয়, জাতি হিসেবে আমরা ছোট হই।

আওয়ামী লীগের কিছু নেতা-কর্মীর অমানবিক লাগামহীন কর্মকাণ্ড নিয়ে লিখতে চেয়েছিলাম। সিরাজগঞ্জের মেয়র হালিমুল হক মিরুর গুলিতে সাংবাদিকসহ কয়েকজন হতাহত হয়েছে। হালিমুল হক মিরু পুলিশের পাশে দাঁড়িয়ে গুলি চালিয়েছে। এইভাবে জনপ্রতিনিধি যদি হাতিয়ারা হয়, মানুষ যাবে কোথায়? সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে যদি গুলি খেতে হয় সাংবাদিকরা যাবে কোথায়? চাঁদপুর হাইমচরের নীলকমল ওছমানিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুদের দাঁড় করে তাদের মাথার ওপর দিয়ে হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেন পাটোয়ারী হেঁটেছেন। জামালপুর মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের জমিদাতা প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা দিলদার হোসেন প্রিন্স একই কাজ করেছেন। ছবিতে মনে হলো পিঠে নয়, বুকের ওপর হাঁটছেন। ইন্টারনেটের জামানায় সারা পৃথিবীতে ঘটনাটি ছড়িয়ে গেছে। এতে দেশের এবং জননেত্রীর মুখ থাকে কোথায়? আমার স্ত্রী নাসরীন লেখালেখি নিয়ে খুব একটা তেমন কিছু বলে না। চার দিন পর টাঙ্গাইল থেকে এসে টেবিলে বসতেই জামালপুর আর চাঁদপুরে শিশুদের বুকের ওপর হাঁটার ছবি দেখিয়ে বলল, ‘তুমি এর ওপর লেখ’। নিজেও বিষয়টি নিয়ে মনে মনে মোসাবিধা করছিলাম।

কিন্তু রবিবার সকালে পত্রিকা খুলেই দেখি, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত লাইফ সাপোর্টে। লেখাটি পড়া শেষের আগেই সহকারী আলমগীর বলল, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মারা গেছেন। মনটা কেমন যেন এলোমেলো হয়ে গেল। ৩টায় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় গিয়েছিলাম তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে। আওয়ামী লীগ ঘরানার বাইরে তেমন বেশি কেউ ছিলেন না। সাধারণ মানুষ তো নয়ই। তবে সমাজের উচ্চপর্যায়ের প্রচুর লোক ছিলেন। প্রায় সবাই বয়সী মানুষ। আমলা-ফইলা যাদের থাকার কথা, তারা ছিলেন। যে অনুষ্ঠানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যোগ দেন, সে অনুষ্ঠানে ক্ষমতার সঙ্গে যুক্ত যাদের থাকার কথা তারা সবাই ছিলেন, কেউ বাদ পড়েননি। আমি দাঁড়িয়েছিলাম লাশের সামনে পশ্চিমমুখী হয়ে। আমাদের একটু বামে পুলিশরা ছিল গার্ড অব অর্নার দেওয়ার জন্য। কঠিন রোদ। মৃদুমন্দ বাতাস না থাকলে থাকা যেত না। রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী আসার জন্য জায়গা রেখে এক দল পুবদিকে আর এক দল পশ্চিমমুখী দাঁড়িয়েছিলেন। আমি পশ্চিমমুখীদের দলে ছিলাম। আমার সামনে ১৪ দলের আহ্বায়ক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, তার গা ঘেঁষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ছিলেন। আমি তাদের দুজনের মাঝে একটু পেছনে দাঁড়িয়েছিলাম। দুজনের  পেছনে দাঁড়ালেও আমার খুব একটা অসুবিধা ছিল না। কারণ তারা দুজনই উচ্চতায় আমার থেকে ৪-৫ ইঞ্চি কম ছিলেন। মোজাম্মেল হকের ডাইনে হাসানুল হক ইনু, তারপর সাম্যবাদী দলের দিলীপ বড়ুয়া, বাঁ-দিকে পূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, তারপর ’৫৪-’৫৫ সালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ ভাইর মেয়ে প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, পেছনের দিকে অজস্র মহিলা। বয়সী অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত মনে হয় রোদের মধ্যে অত সময় দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলেন না। তাই সংসদ ভবনের দিকে গিয়ে প্রাচীরের ওপরে বসে ক্লান্তি দূর করছিলেন। তার নিদারুণ কষ্ট দেখে আমার খুব খারাপ লাগছিল। কত বড় অর্থমন্ত্রী, প্রবীণ মানুষ দাঁড়িয়ে থাকতে পারছেন না, তারও একটু বসার জায়গা নেই। সমাজে এখন উচ্চপর্যায়ে বড়-ছোটর পার্থক্য নেই, কোনো কষ্টের মূল্য নেই, শ্রদ্ধা-ভালোবাসার লেশ নেই। কনুই মেরে কে কার আগে যেতে পারে তার দুর্বার প্রতিযোগিতা। আগে বুঝতাম না, এখন বুঝি। পারিষদরা জনসম্মুখে যতই ক্ষমতাবান, রাজদরবারে চুনোপুঁটি। কারও কোনো গুরুত্ব নেই বা থাকার কথা না, গুঁতা-নাতা খেয়েও মুখ বুজে থাকতে হয়, তাই থাকে। আমরা মওলানা ভাসানী, বঙ্গবন্ধুর সময় বড় হয়েছি। তাদের সামনেও একে ওকে দারুণ সম্মান করতে দেখে আমাদের মধ্যে প্রবীণের প্রতি, বিশেষ করে বয়সের লেহাজ করার বাতিক হয়েছে। ১০-১৫ বছর আগে হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিশাল এক ইফতার অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। তখনো সংসদ সদস্য ছিলাম। হলের বাইরে করিডরে নামাজে বসেছিলাম। পাশে স্পিকার জমিরউদ্দিন সরকার বসেছিলেন। আমি আমার গায়ের চাদর তার জন্য জায়নামাজের মতো বিছিয়ে দেওয়ায় নামাজ শেষে আমার হাত চেপে ধরে বলেছিলেন, ‘আপনি ওভাবে আপনার গায়ের চাদর বিছিয়ে দিতে পারলেন?’ বলেছিলাম, এটা আমার মা-বাবার শিক্ষা। তার কেমন লেগেছিল জানি না, আমার মনে হয়েছিল আমি ঠিক কাজ করেছি।’

শ্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের শেষ বিদায়ে দক্ষিণ প্লাজায় রোদের তাপে দাঁড়িয়ে থাকা যাচ্ছিল না। এক সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সামনে দিয়ে ঘোরাফেরা করছিলেন। মোহাম্মদ নাসিম বলছিলেন, ‘দেরি করছ কেন? শুরু করে দাও। থাকা যাচ্ছে না।’ অনেকেই এখন সব জায়গায়ই হালকা কথা বলে। তেমনই হচ্ছিল, ‘কাদের ভাইর গামছা আছে, মাথায় পেছিয়ে নিন। অথবা টুপি আছে মাথায় দিন।’ একটু পরে দেখলাম লতিফ ভাই এলেন। আমার সামনেই দাঁড়িয়েছিলেন, অনেকক্ষণ। একসময় পূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেনকে উদ্দেশ করে বললেন, ‘ ’৭০-এর সদস্য মনে হয় আমরা এখন ছয়জন রইলাম।’ আবার বললেন, ‘না, আবদুল হামিদ তো প্রেসিডেন্ট। তাহলে পাঁচজন।’ আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না। ’৭০-এর নির্বাচনে ৪৬৯ জন সদস্য। তার ১৬৯ জন ন্যাশনাল, ৩০০ জন প্রোভিন্সিয়াল অ্যাসেম্বলির। ১৬৯ জন এমএনএ, ৩০০ জন এমপিএ। স্বাধীনতার পর এ দুটোকে সংবিধান রচনার জন্য এক করা হয়েছিল। ৪৬৯ জনের দুজন পাকিস্তানপন্থি, বাকিরা সবাই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ। তার মধ্যে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তই ছিলেন একমাত্র ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির মানে মোজাফফর ন্যাপ। সবমিলে যদি হয় তাহলে ছয়জন থাকবেন কেন? আরও বেশি থাকার কথা। কারণ বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী যদি শুধু সংসদের সদস্য ধরেন তাহলে তিনি কি কয়দিন আগে ময়মনসিংহ ফুলবাড়িয়ার মোসলেম উদ্দিনের কথা চিন্তা করেছেন? তেমন মনে হয় না। আর যদি সংসদের বাইরে চিন্তা করেন যারা ’৭০-এ নির্বাচিত হয়েছিলেন এখন সংসদে নেই তার মধ্যে এখনো তো টাঙ্গাইলের ফজলুর রহমান খান ফারুক আছেন। আরও অনেকেই আছেন। তিনি নিজেও এখন সংসদ সদস্য নন। তাই ভাবছি, লেখাটা শেষ করে একদিন তার সঙ্গে আলাপ করে নেব। মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং স্পিকার শ্রদ্ধা নিবেদনে ফুল দেওয়ার পরেই বিরোধী দলের নেত্রী ফুল দেন। আমার কাছে মনে হয় সরকারি দল বাদ পড়ে গেল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ফুল দিয়েছেন সরকারের প্রধান হিসেবে, সরকারি দলের প্রধান হিসেবে নয়, সংসদের নেতা হিসেবেও নয়। বিরোধী দলের নেতা হিসেবে যদি রওশন এরশাদ ফুল দিয়ে থাকেন তাহলে সরকারি দল বাদ পড়েছে। আওয়ামী লীগ ফুল দিয়েছে। একত্রে ১৪ দল দিয়েছে কিনা জানি না। সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ প্রয়াত সংসদ সদস্যের জীবনবৃত্তান্ত তুলে ধরতে গিয়ে তার বয়স বললেন ৭১ বছর। তাহলে আমাদেরও তো যাওয়ার সময়। ইন্টারনেটে দেখলাম ৭৭। সারা জীবন জানতাম তিনি লতিফ ভাইর বড়, রাজ্জাক ভাইর বড়, তোফায়েল আহমেদের চেয়ে বয়সে বড়। যাক, বিজ্ঞানের জামানায় বয়সের কিছু হেরফের হতেই পারে। তবে তার জীবন যেভাবে ছিল, সেভাবে তুলে ধরা হয়নি। আর প্রচণ্ড রোদে দাঁড়িয়ে থাকা যাচ্ছিল না, চলে এসেছিলাম। যেহেতু নিজে থেকে অথবা দল থেকে ফুল নিয়ে যাইনি, নিখাদ শ্রদ্ধা নিয়ে গিয়েছিলাম, তাই রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর ফুলমালা দেওয়ার পর চলে এসেছিলাম।

এটা সত্য, শ্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত পা থেকে মাথা পর্যন্ত ছিলেন একজন নিখাদ রাজনীতিবিদ। তার মতো নির্ভেজাল রাজনীতিবিদ পাওয়া মুশকিল। একবারই রেলমন্ত্রী হয়ে সারা জীবনের রাজনীতির সুনামের চেয়ে দুর্নামের রাজতিলক মাথায় পরেছিলেন বেশি। একসময় যারা তার জুতা টানত তারা হাজার হাজার লাখ কোটির মালিক। তারা ভদ্রলোক, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত দুর্নীতিবাজ। রাজনীতিকদের কপালে এ রকমই জোটে, এ রকমই হয়। রাজনীতিবিদরা কখনো শান্তিতে থাকতে পারে না। হয় সুনামে, না হয় বদনামে- মাঝামাঝি কিছু নেই। কয়েক বছর আগে বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী আমেরিকায় কী বলেছিলেন, তার জন্য সে কী লাঞ্ছনা! যদিও তিনি সেদিন বাংলাদেশের অবস্থা দেখেননি, তাই সেটা গায়ে মাখেননি। তিনি মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহ দিনগুলোও স্বচক্ষে দেখেননি। যুদ্ধের শুরুতে পিছাতে পিছাতে ভারতে গিয়েছিলেন। যখন বিস্তীর্ণ এলাকা আমাদের নিয়ন্ত্রণে, হাজার হাজার যোদ্ধা জীবন দিতে হিমাদ্রীর মতো দাঁড়িয়ে, তখন নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে দেশে ফিরেছিলেন। এরপরও অনেক সময় বিরক্ত হয়ে আমাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেও কখনো কখনো স্বীকার করতে চান না। সারা জীবন বড় ভাই হওয়ার একটা সুবিধা পেয়ে গেছেন। এখন আর এ বয়সে পাবেন না কেন? সেদিন সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বিদায় অনুষ্ঠানে বলতে গেলে একেবারে একা এসেছিলেন। আমেরিকায় তার হজ সম্পর্কে মন্তব্যের পর দেশে কী অবস্থা হয়েছিল তা হয়তো তিনি এখনকার মতোই ভাবেন। এটা চিরাচরিত ব্যাপার, ‘কাজের বেলায় কাজী, কাজ ফুরালে পাঁজি।’ তিনি যাওয়ার পথে শক্ত করে আমার হাত ধরেছিলেন। মনে হলো আশীর্বাদ করে গেলেন।

বলা হচ্ছে শ্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সাতবার সংসদ সদস্য হয়েছেন। আমার মনে হয় বাংলাদেশ সংসদে সাতবার আর পাকিস্তানের কাঠামোতে একবার, মোট আটবার। ’৭৩ সালের কথা। তেজগাঁও ড্রাম ফ্যাক্টরির পাশে পার্লামেন্টে গেছি। দর্শক গ্যালারিতে বসেছিলাম। মনে হয় ঘণ্টা-দেড় ঘণ্টায় ২০-২৫ বার শ্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। পার্লামেন্টের অবস্থা তখন আওয়ামী লীগ ২৯১, অন্যান্য ৯। এরকম অবস্থায় যা হয় তাই হচ্ছিল। কীভাবে যেন বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টি পড়ে। তিনি উঠে মাননীয় স্পিকারকে অনুরোধ করেন, ‘একজন বিরোধী সদস্য বারবার আপনার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হচ্ছেন। আপনি মেহেরবানি করে তাকে ফ্লোর দিন।’ মাননীয় স্পিকার তাকে ফ্লোর দিলে প্রায় ৩০ মিনিট এক পিনপতন বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘মাননীয় স্পিকার, আমি আজ যতবার আপনার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি, ব্যর্থ হয়ে আমি যে বেদনা অনুভব করেছি, বেদনাকাতর আমার মলিন মুখ যেমন দেখা গেছে, আজ সংসদের নেতার আসনে যিনি বসে আছেন তিনি যদি আমার এই আসনে বসে বারবার আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যর্থ হতেন এবং আমি ওই নেতার আসনে বসে তার মলিন মুখ দেখতে পেতাম তাহলে আমার মনে কী ভাবের উদয় হতো, তাই ভাবছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একজন মহান নেতা। তাই তিনি আমার অসহায়ত্ব বুঝে আমাকে সময় দিতে সুপারিশ করেছেন। আমি সেজন্য কৃতজ্ঞ। কিন্তু সংসদে আমি একা বলে আমাকে সময় দেবেন না, আমাকে শুনবেন না- এ তো অভিভাবকত্ব হতে পারে না।’ সেদিন শ্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বঙ্গবন্ধু সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছিলেন।

কিন্তু সংসদ মুগ্ধ হয়েছিল। সুরঞ্জিত সেনের বক্তব্য শেষে সংসদ নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু স্পিকারকে অনুরোধ করেছিলেন, ‘এই সদস্য যখন চাইবে তখনই যেন তাকে সময় দেওয়া হয়।’ ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত শুনেছি তাকে সব সময় সময় দেওয়া হতো। দয়াময় স্রষ্টা তাকে স্বর্গবাসী করুন।

লেখক : রাজনীতিক

এই বিভাগের আরও খবর
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
নির্বাচন ও গণভোট
নির্বাচন ও গণভোট
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
মবের দৌরাত্ম্য
মবের দৌরাত্ম্য
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
সর্বশেষ খবর
ভাল ফলাফলের পাশাপাশি ভাল মানুষ হতে হবে : ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান
ভাল ফলাফলের পাশাপাশি ভাল মানুষ হতে হবে : ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান

২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে ১১ জনের প্রাণহানি, নিখোঁজ ১২
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে ১১ জনের প্রাণহানি, নিখোঁজ ১২

৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘‌বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারীদের প্রতিষ্ঠিত করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হবে’
‘‌বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারীদের প্রতিষ্ঠিত করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হবে’

৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

জাতি একটি সুষ্ঠু সুন্দর অবাধ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে: দুলু
জাতি একটি সুষ্ঠু সুন্দর অবাধ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে: দুলু

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লড়াই এখনো শেষ হয়নি : সেলিমা রহমান
লড়াই এখনো শেষ হয়নি : সেলিমা রহমান

১৭ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

মিরপুরে বিআরটিএ এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ
মিরপুরে বিআরটিএ এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ

১৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

‘আগামী নির্বাচনে নোয়াখালীর ৬টি আসন বিএনপিকে উপহার দেওয়া হবে’
‘আগামী নির্বাচনে নোয়াখালীর ৬টি আসন বিএনপিকে উপহার দেওয়া হবে’

১৭ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

হাতিরঝিলে ককটেল বিস্ফোরণ, মোটরসাইকেলে আগুন
হাতিরঝিলে ককটেল বিস্ফোরণ, মোটরসাইকেলে আগুন

২৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

৩১ দফা রাষ্ট্রের পুনর্গঠনের সার্বজনীন নির্দেশনা: মনিরুল হক
৩১ দফা রাষ্ট্রের পুনর্গঠনের সার্বজনীন নির্দেশনা: মনিরুল হক

২৯ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

সিলেটে বিপুল পরিমাণ মাদক ধ্বংস
সিলেটে বিপুল পরিমাণ মাদক ধ্বংস

৩০ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

নারায়ণগঞ্জে প্রকাশ্যে গুলি, যুবক আহত
নারায়ণগঞ্জে প্রকাশ্যে গুলি, যুবক আহত

৩২ মিনিট আগে | নগর জীবন

নোয়াখালী বিভাগ হলে দেশের চিত্র পাল্টে যাবে : বরকত উল্লাহ বুলু
নোয়াখালী বিভাগ হলে দেশের চিত্র পাল্টে যাবে : বরকত উল্লাহ বুলু

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফজলুর রহমান মেমোরিয়াল কলেজের দুই যুগ পূর্তিতে বর্ণাঢ্য আয়োজন
ফজলুর রহমান মেমোরিয়াল কলেজের দুই যুগ পূর্তিতে বর্ণাঢ্য আয়োজন

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সোনারগাঁয়ে তাঁতী দলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা
সোনারগাঁয়ে তাঁতী দলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

৪৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

‘নিরাপত্তার স্বার্থে’ জাবিতে রাত ১০টার পর যেকোনো অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ
‘নিরাপত্তার স্বার্থে’ জাবিতে রাত ১০টার পর যেকোনো অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ

৪৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

‘ধানের শীষে ভোট দিয়ে দেশকে রক্ষা করুন’
‘ধানের শীষে ভোট দিয়ে দেশকে রক্ষা করুন’

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মোংলায় জামায়াতে ইসলামীর ওলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
মোংলায় জামায়াতে ইসলামীর ওলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত

৫৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সরাইলে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, আহত ২০
সরাইলে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, আহত ২০

৫৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কাতারের মধ্যস্থতায় শান্তিচুক্তির পথে কঙ্গো ও এম২৩ বিদ্রোহীরা
কাতারের মধ্যস্থতায় শান্তিচুক্তির পথে কঙ্গো ও এম২৩ বিদ্রোহীরা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বনাথে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা পেলেন দুই সহস্রাধিক মানুষ
বিশ্বনাথে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা পেলেন দুই সহস্রাধিক মানুষ

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

বারী সিদ্দিকীর জন্মদিনে কেক কাটলেন হিমু পাঠক আড্ডার সদস্যরা
বারী সিদ্দিকীর জন্মদিনে কেক কাটলেন হিমু পাঠক আড্ডার সদস্যরা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তফসিলের আগে লটারির মাধ্যমে মাঠ প্রশাসনকে আবারও ঢেলে সাজাবে সরকার
তফসিলের আগে লটারির মাধ্যমে মাঠ প্রশাসনকে আবারও ঢেলে সাজাবে সরকার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শার্শায় ধানের শীষের প্রার্থী তৃপ্তির উঠান বৈঠক
শার্শায় ধানের শীষের প্রার্থী তৃপ্তির উঠান বৈঠক

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

দিনাজপুরে জামায়াত প্রার্থীর মোটরসাইকেল র‌্যালি
দিনাজপুরে জামায়াত প্রার্থীর মোটরসাইকেল র‌্যালি

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

নতুন কুঁড়ির শিশুশিল্পীরা খ্যাতি অর্জন করবে: তথ্য উপদেষ্টা
নতুন কুঁড়ির শিশুশিল্পীরা খ্যাতি অর্জন করবে: তথ্য উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দলের দুর্দিনে রোজি কবির ছিলেন ভরসা : খসরু
দলের দুর্দিনে রোজি কবির ছিলেন ভরসা : খসরু

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধগুলো আজও পুনর্নির্মাণ হয়নি
সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধগুলো আজও পুনর্নির্মাণ হয়নি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে জাহাজ
যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে জাহাজ

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বনাথে মোক্তার আলী ফাউন্ডেশনের বৃত্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
বিশ্বনাথে মোক্তার আলী ফাউন্ডেশনের বৃত্তি পরীক্ষা সম্পন্ন

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

আগামী নির্বাচন বানচাল হলে দেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে
আগামী নির্বাচন বানচাল হলে দেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সর্বাধিক পঠিত
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার
স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস
ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার
অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার
গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব
বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা
তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’
‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন
প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ
ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?
বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়
পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়

২৩ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী
স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ
আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল
বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা
মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর
গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড
টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী
লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত
ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা
২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯
জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান
চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম
সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ
খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই

১৯ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার
এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

প্রিন্ট সর্বাধিক
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক
স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক

পেছনের পৃষ্ঠা

এখন শুধুই নির্বাচন
এখন শুধুই নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার
সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব
তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব

প্রথম পৃষ্ঠা

চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার
চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার

পেছনের পৃষ্ঠা

ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা
ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা

পেছনের পৃষ্ঠা

আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...
আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...

শোবিজ

রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ
রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ

শোবিজ

দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা
দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা

শোবিজ

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার
বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার

দেশগ্রাম

শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ
শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ

শনিবারের সকাল

ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার
ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে
সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

প্রথম পৃষ্ঠা

স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট
স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট

মাঠে ময়দানে

কী হবে হ্যাঁ-না ভোটে
কী হবে হ্যাঁ-না ভোটে

প্রথম পৃষ্ঠা

১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক
১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক

মাঠে ময়দানে

হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন
হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স
এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স

মাঠে ময়দানে

এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত
এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত

মাঠে ময়দানে

ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে ব্যবসা করে
একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে ব্যবসা করে

প্রথম পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে
বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে

মাঠে ময়দানে

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের লক্ষ্যেই মাঠে আছি
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের লক্ষ্যেই মাঠে আছি

প্রথম পৃষ্ঠা

বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার
বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

আমাদের সবাইকে ভালো মানুষ হতে হবে
আমাদের সবাইকে ভালো মানুষ হতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা
ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা

পেছনের পৃষ্ঠা