শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭

ভাবতেও কেমন লাগে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত নেই

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
ভাবতেও কেমন লাগে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত নেই

৩১ জানুয়ারি ১৩৩, টাঙ্গাইল-৪ কালিহাতী এই নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ উপনির্বাচন হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কলঙ্কিত নির্বাচন আর কখনো হয়নি। ভোটারবিহীন নির্বাচন, সেও হয়তো কিছুটা সম্মানের। কিন্তু প্রার্থী ছাড়া, ভোটার ছাড়া এমন কলঙ্কজনক নির্বাচন বাপ-দাদার জন্মে কখনো দেখিনি। ছেলেবেলায় শুনেছিলাম, অমাবস্যার রাতে জাত চোর চুরি করার সুযোগ না পেলে নিজের ঘরেই চুরি করে বা চুরির মহড়া দেয়। কিছুই না পেলে শেষ পর্যন্ত ঘরের থালা-বাসন এদিকেরটা ওদিকে করে অভ্যাস ঠিক রাখে। শেষ পর্যন্ত এমনই করেছেন জনাব রকিবউদ্দীনের নির্বাচন কমিশন। কালিহাতী নির্বাচনী আসনে সর্বমোট ভোট ৩,০৭,৭০০। তার মধ্যে শোনা যাচ্ছে নৌকার প্রার্থী পেয়েছেন ১,৯৩,৫৪৭। নিকটতম দুজন মিলে তিন-সাড়ে তিন হাজার। সারা দিন ভোট কেন্দ্রে ভোটার ছিল না। কিন্তু ভোট গণনায় দুই-তৃতীয়াংশ ভোটারের উপস্থিতি বিস্ময়কর। তেমন শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকার পরও বহু কেন্দ্র আগেই সিল মেরে বাক্স ভর্তি করা হয়েছিল। তার মধ্যে বল্লভবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সিলমারা বাক্স উদ্ধার করে প্রিসাইডিং অফিসার মাধব চন্দ্র দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমন জঘন্য নির্বাচন, তাও কেন যেন কারও কোনো মাথাব্যথা নেই। এমন ভোট কেউ পায়? তিন লাখে দুই লাখ- এও কি সম্ভব? সেই ’৭০ সাল থেকে কেউ পায়নি। পাকিস্তানের শেষে এবং বাংলাদেশে আমাদের নেতা ছিলেন জননেতা আবদুল মান্নান। তিনি টাঙ্গাইল সদর থেকে নির্বাচন করতেন। দেলদুয়ার নিয়ে সদরের ভোট ছিল সবসময় বেশি, সাড়ে তিন লাখের ওপরে। যতবার হেরেছেন, জিতেছেন লাখ ভোট পাননি, পেয়েছেন ৭০-৮০-৯০ হাজার। ’৯৬ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ আমরা ১০ জন লাখের ওপর ভোট পেয়েছিলাম। সে তো কোনো উপনির্বাচন নয়, সেটা ছিল জাতীয় নির্বাচন। সাধারণত যে কোনো উপনির্বাচনে জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে কম ভোট কাস্ট হয়। কালিহাতীতে গত পঞ্চাশ বছর লতিফ সিদ্দিকী, শাজাহান সিরাজ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেন। তারা কখনো লাখ ভোট পাননি। একমাত্র ২০০৮ সালে লতিফ সিদ্দিকী যথার্থই এক লাখ তেতাল্লিশ হাজার ভোট পেয়েছিলেন, জালিয়াতি করে এক লাখ তিরানব্বই হাজার নয়। এ যেন বিশ্ব রেকর্ড। হতে পারে, চুরি যখন করবই কম করব কেন? তেমন হলে বলার নেই। তবে অমন হলে দেশের বদনাম হয়, দলের নেতা হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনারও হয়, জাতি হিসেবে আমরা ছোট হই।

আওয়ামী লীগের কিছু নেতা-কর্মীর অমানবিক লাগামহীন কর্মকাণ্ড নিয়ে লিখতে চেয়েছিলাম। সিরাজগঞ্জের মেয়র হালিমুল হক মিরুর গুলিতে সাংবাদিকসহ কয়েকজন হতাহত হয়েছে। হালিমুল হক মিরু পুলিশের পাশে দাঁড়িয়ে গুলি চালিয়েছে। এইভাবে জনপ্রতিনিধি যদি হাতিয়ারা হয়, মানুষ যাবে কোথায়? সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে যদি গুলি খেতে হয় সাংবাদিকরা যাবে কোথায়? চাঁদপুর হাইমচরের নীলকমল ওছমানিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুদের দাঁড় করে তাদের মাথার ওপর দিয়ে হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেন পাটোয়ারী হেঁটেছেন। জামালপুর মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের জমিদাতা প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা দিলদার হোসেন প্রিন্স একই কাজ করেছেন। ছবিতে মনে হলো পিঠে নয়, বুকের ওপর হাঁটছেন। ইন্টারনেটের জামানায় সারা পৃথিবীতে ঘটনাটি ছড়িয়ে গেছে। এতে দেশের এবং জননেত্রীর মুখ থাকে কোথায়? আমার স্ত্রী নাসরীন লেখালেখি নিয়ে খুব একটা তেমন কিছু বলে না। চার দিন পর টাঙ্গাইল থেকে এসে টেবিলে বসতেই জামালপুর আর চাঁদপুরে শিশুদের বুকের ওপর হাঁটার ছবি দেখিয়ে বলল, ‘তুমি এর ওপর লেখ’। নিজেও বিষয়টি নিয়ে মনে মনে মোসাবিধা করছিলাম।

কিন্তু রবিবার সকালে পত্রিকা খুলেই দেখি, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত লাইফ সাপোর্টে। লেখাটি পড়া শেষের আগেই সহকারী আলমগীর বলল, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মারা গেছেন। মনটা কেমন যেন এলোমেলো হয়ে গেল। ৩টায় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় গিয়েছিলাম তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে। আওয়ামী লীগ ঘরানার বাইরে তেমন বেশি কেউ ছিলেন না। সাধারণ মানুষ তো নয়ই। তবে সমাজের উচ্চপর্যায়ের প্রচুর লোক ছিলেন। প্রায় সবাই বয়সী মানুষ। আমলা-ফইলা যাদের থাকার কথা, তারা ছিলেন। যে অনুষ্ঠানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যোগ দেন, সে অনুষ্ঠানে ক্ষমতার সঙ্গে যুক্ত যাদের থাকার কথা তারা সবাই ছিলেন, কেউ বাদ পড়েননি। আমি দাঁড়িয়েছিলাম লাশের সামনে পশ্চিমমুখী হয়ে। আমাদের একটু বামে পুলিশরা ছিল গার্ড অব অর্নার দেওয়ার জন্য। কঠিন রোদ। মৃদুমন্দ বাতাস না থাকলে থাকা যেত না। রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী আসার জন্য জায়গা রেখে এক দল পুবদিকে আর এক দল পশ্চিমমুখী দাঁড়িয়েছিলেন। আমি পশ্চিমমুখীদের দলে ছিলাম। আমার সামনে ১৪ দলের আহ্বায়ক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, তার গা ঘেঁষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ছিলেন। আমি তাদের দুজনের মাঝে একটু পেছনে দাঁড়িয়েছিলাম। দুজনের  পেছনে দাঁড়ালেও আমার খুব একটা অসুবিধা ছিল না। কারণ তারা দুজনই উচ্চতায় আমার থেকে ৪-৫ ইঞ্চি কম ছিলেন। মোজাম্মেল হকের ডাইনে হাসানুল হক ইনু, তারপর সাম্যবাদী দলের দিলীপ বড়ুয়া, বাঁ-দিকে পূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, তারপর ’৫৪-’৫৫ সালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ ভাইর মেয়ে প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, পেছনের দিকে অজস্র মহিলা। বয়সী অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত মনে হয় রোদের মধ্যে অত সময় দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলেন না। তাই সংসদ ভবনের দিকে গিয়ে প্রাচীরের ওপরে বসে ক্লান্তি দূর করছিলেন। তার নিদারুণ কষ্ট দেখে আমার খুব খারাপ লাগছিল। কত বড় অর্থমন্ত্রী, প্রবীণ মানুষ দাঁড়িয়ে থাকতে পারছেন না, তারও একটু বসার জায়গা নেই। সমাজে এখন উচ্চপর্যায়ে বড়-ছোটর পার্থক্য নেই, কোনো কষ্টের মূল্য নেই, শ্রদ্ধা-ভালোবাসার লেশ নেই। কনুই মেরে কে কার আগে যেতে পারে তার দুর্বার প্রতিযোগিতা। আগে বুঝতাম না, এখন বুঝি। পারিষদরা জনসম্মুখে যতই ক্ষমতাবান, রাজদরবারে চুনোপুঁটি। কারও কোনো গুরুত্ব নেই বা থাকার কথা না, গুঁতা-নাতা খেয়েও মুখ বুজে থাকতে হয়, তাই থাকে। আমরা মওলানা ভাসানী, বঙ্গবন্ধুর সময় বড় হয়েছি। তাদের সামনেও একে ওকে দারুণ সম্মান করতে দেখে আমাদের মধ্যে প্রবীণের প্রতি, বিশেষ করে বয়সের লেহাজ করার বাতিক হয়েছে। ১০-১৫ বছর আগে হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিশাল এক ইফতার অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। তখনো সংসদ সদস্য ছিলাম। হলের বাইরে করিডরে নামাজে বসেছিলাম। পাশে স্পিকার জমিরউদ্দিন সরকার বসেছিলেন। আমি আমার গায়ের চাদর তার জন্য জায়নামাজের মতো বিছিয়ে দেওয়ায় নামাজ শেষে আমার হাত চেপে ধরে বলেছিলেন, ‘আপনি ওভাবে আপনার গায়ের চাদর বিছিয়ে দিতে পারলেন?’ বলেছিলাম, এটা আমার মা-বাবার শিক্ষা। তার কেমন লেগেছিল জানি না, আমার মনে হয়েছিল আমি ঠিক কাজ করেছি।’

শ্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের শেষ বিদায়ে দক্ষিণ প্লাজায় রোদের তাপে দাঁড়িয়ে থাকা যাচ্ছিল না। এক সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সামনে দিয়ে ঘোরাফেরা করছিলেন। মোহাম্মদ নাসিম বলছিলেন, ‘দেরি করছ কেন? শুরু করে দাও। থাকা যাচ্ছে না।’ অনেকেই এখন সব জায়গায়ই হালকা কথা বলে। তেমনই হচ্ছিল, ‘কাদের ভাইর গামছা আছে, মাথায় পেছিয়ে নিন। অথবা টুপি আছে মাথায় দিন।’ একটু পরে দেখলাম লতিফ ভাই এলেন। আমার সামনেই দাঁড়িয়েছিলেন, অনেকক্ষণ। একসময় পূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেনকে উদ্দেশ করে বললেন, ‘ ’৭০-এর সদস্য মনে হয় আমরা এখন ছয়জন রইলাম।’ আবার বললেন, ‘না, আবদুল হামিদ তো প্রেসিডেন্ট। তাহলে পাঁচজন।’ আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না। ’৭০-এর নির্বাচনে ৪৬৯ জন সদস্য। তার ১৬৯ জন ন্যাশনাল, ৩০০ জন প্রোভিন্সিয়াল অ্যাসেম্বলির। ১৬৯ জন এমএনএ, ৩০০ জন এমপিএ। স্বাধীনতার পর এ দুটোকে সংবিধান রচনার জন্য এক করা হয়েছিল। ৪৬৯ জনের দুজন পাকিস্তানপন্থি, বাকিরা সবাই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ। তার মধ্যে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তই ছিলেন একমাত্র ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির মানে মোজাফফর ন্যাপ। সবমিলে যদি হয় তাহলে ছয়জন থাকবেন কেন? আরও বেশি থাকার কথা। কারণ বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী যদি শুধু সংসদের সদস্য ধরেন তাহলে তিনি কি কয়দিন আগে ময়মনসিংহ ফুলবাড়িয়ার মোসলেম উদ্দিনের কথা চিন্তা করেছেন? তেমন মনে হয় না। আর যদি সংসদের বাইরে চিন্তা করেন যারা ’৭০-এ নির্বাচিত হয়েছিলেন এখন সংসদে নেই তার মধ্যে এখনো তো টাঙ্গাইলের ফজলুর রহমান খান ফারুক আছেন। আরও অনেকেই আছেন। তিনি নিজেও এখন সংসদ সদস্য নন। তাই ভাবছি, লেখাটা শেষ করে একদিন তার সঙ্গে আলাপ করে নেব। মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং স্পিকার শ্রদ্ধা নিবেদনে ফুল দেওয়ার পরেই বিরোধী দলের নেত্রী ফুল দেন। আমার কাছে মনে হয় সরকারি দল বাদ পড়ে গেল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ফুল দিয়েছেন সরকারের প্রধান হিসেবে, সরকারি দলের প্রধান হিসেবে নয়, সংসদের নেতা হিসেবেও নয়। বিরোধী দলের নেতা হিসেবে যদি রওশন এরশাদ ফুল দিয়ে থাকেন তাহলে সরকারি দল বাদ পড়েছে। আওয়ামী লীগ ফুল দিয়েছে। একত্রে ১৪ দল দিয়েছে কিনা জানি না। সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ প্রয়াত সংসদ সদস্যের জীবনবৃত্তান্ত তুলে ধরতে গিয়ে তার বয়স বললেন ৭১ বছর। তাহলে আমাদেরও তো যাওয়ার সময়। ইন্টারনেটে দেখলাম ৭৭। সারা জীবন জানতাম তিনি লতিফ ভাইর বড়, রাজ্জাক ভাইর বড়, তোফায়েল আহমেদের চেয়ে বয়সে বড়। যাক, বিজ্ঞানের জামানায় বয়সের কিছু হেরফের হতেই পারে। তবে তার জীবন যেভাবে ছিল, সেভাবে তুলে ধরা হয়নি। আর প্রচণ্ড রোদে দাঁড়িয়ে থাকা যাচ্ছিল না, চলে এসেছিলাম। যেহেতু নিজে থেকে অথবা দল থেকে ফুল নিয়ে যাইনি, নিখাদ শ্রদ্ধা নিয়ে গিয়েছিলাম, তাই রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর ফুলমালা দেওয়ার পর চলে এসেছিলাম।

এটা সত্য, শ্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত পা থেকে মাথা পর্যন্ত ছিলেন একজন নিখাদ রাজনীতিবিদ। তার মতো নির্ভেজাল রাজনীতিবিদ পাওয়া মুশকিল। একবারই রেলমন্ত্রী হয়ে সারা জীবনের রাজনীতির সুনামের চেয়ে দুর্নামের রাজতিলক মাথায় পরেছিলেন বেশি। একসময় যারা তার জুতা টানত তারা হাজার হাজার লাখ কোটির মালিক। তারা ভদ্রলোক, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত দুর্নীতিবাজ। রাজনীতিকদের কপালে এ রকমই জোটে, এ রকমই হয়। রাজনীতিবিদরা কখনো শান্তিতে থাকতে পারে না। হয় সুনামে, না হয় বদনামে- মাঝামাঝি কিছু নেই। কয়েক বছর আগে বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী আমেরিকায় কী বলেছিলেন, তার জন্য সে কী লাঞ্ছনা! যদিও তিনি সেদিন বাংলাদেশের অবস্থা দেখেননি, তাই সেটা গায়ে মাখেননি। তিনি মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহ দিনগুলোও স্বচক্ষে দেখেননি। যুদ্ধের শুরুতে পিছাতে পিছাতে ভারতে গিয়েছিলেন। যখন বিস্তীর্ণ এলাকা আমাদের নিয়ন্ত্রণে, হাজার হাজার যোদ্ধা জীবন দিতে হিমাদ্রীর মতো দাঁড়িয়ে, তখন নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে দেশে ফিরেছিলেন। এরপরও অনেক সময় বিরক্ত হয়ে আমাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেও কখনো কখনো স্বীকার করতে চান না। সারা জীবন বড় ভাই হওয়ার একটা সুবিধা পেয়ে গেছেন। এখন আর এ বয়সে পাবেন না কেন? সেদিন সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বিদায় অনুষ্ঠানে বলতে গেলে একেবারে একা এসেছিলেন। আমেরিকায় তার হজ সম্পর্কে মন্তব্যের পর দেশে কী অবস্থা হয়েছিল তা হয়তো তিনি এখনকার মতোই ভাবেন। এটা চিরাচরিত ব্যাপার, ‘কাজের বেলায় কাজী, কাজ ফুরালে পাঁজি।’ তিনি যাওয়ার পথে শক্ত করে আমার হাত ধরেছিলেন। মনে হলো আশীর্বাদ করে গেলেন।

বলা হচ্ছে শ্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সাতবার সংসদ সদস্য হয়েছেন। আমার মনে হয় বাংলাদেশ সংসদে সাতবার আর পাকিস্তানের কাঠামোতে একবার, মোট আটবার। ’৭৩ সালের কথা। তেজগাঁও ড্রাম ফ্যাক্টরির পাশে পার্লামেন্টে গেছি। দর্শক গ্যালারিতে বসেছিলাম। মনে হয় ঘণ্টা-দেড় ঘণ্টায় ২০-২৫ বার শ্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। পার্লামেন্টের অবস্থা তখন আওয়ামী লীগ ২৯১, অন্যান্য ৯। এরকম অবস্থায় যা হয় তাই হচ্ছিল। কীভাবে যেন বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টি পড়ে। তিনি উঠে মাননীয় স্পিকারকে অনুরোধ করেন, ‘একজন বিরোধী সদস্য বারবার আপনার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হচ্ছেন। আপনি মেহেরবানি করে তাকে ফ্লোর দিন।’ মাননীয় স্পিকার তাকে ফ্লোর দিলে প্রায় ৩০ মিনিট এক পিনপতন বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘মাননীয় স্পিকার, আমি আজ যতবার আপনার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি, ব্যর্থ হয়ে আমি যে বেদনা অনুভব করেছি, বেদনাকাতর আমার মলিন মুখ যেমন দেখা গেছে, আজ সংসদের নেতার আসনে যিনি বসে আছেন তিনি যদি আমার এই আসনে বসে বারবার আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যর্থ হতেন এবং আমি ওই নেতার আসনে বসে তার মলিন মুখ দেখতে পেতাম তাহলে আমার মনে কী ভাবের উদয় হতো, তাই ভাবছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একজন মহান নেতা। তাই তিনি আমার অসহায়ত্ব বুঝে আমাকে সময় দিতে সুপারিশ করেছেন। আমি সেজন্য কৃতজ্ঞ। কিন্তু সংসদে আমি একা বলে আমাকে সময় দেবেন না, আমাকে শুনবেন না- এ তো অভিভাবকত্ব হতে পারে না।’ সেদিন শ্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বঙ্গবন্ধু সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছিলেন।

কিন্তু সংসদ মুগ্ধ হয়েছিল। সুরঞ্জিত সেনের বক্তব্য শেষে সংসদ নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু স্পিকারকে অনুরোধ করেছিলেন, ‘এই সদস্য যখন চাইবে তখনই যেন তাকে সময় দেওয়া হয়।’ ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত শুনেছি তাকে সব সময় সময় দেওয়া হতো। দয়াময় স্রষ্টা তাকে স্বর্গবাসী করুন।

লেখক : রাজনীতিক

এই বিভাগের আরও খবর
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
সর্বশেষ খবর
ফলোঅন না করিয়ে ফের ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
ফলোঅন না করিয়ে ফের ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

১ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

কাল ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
কাল ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

৪ মিনিট আগে | জাতীয়

‘লোকজন হয়তো জিজ্ঞেস করবে, শাহরুখ খান কে’
‘লোকজন হয়তো জিজ্ঞেস করবে, শাহরুখ খান কে’

৪ মিনিট আগে | শোবিজ

নালিতাবাড়ীতে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে মাদকবিরোধী কর্মসূচি ও আলোচনা সভা
নালিতাবাড়ীতে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে মাদকবিরোধী কর্মসূচি ও আলোচনা সভা

১২ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

অগ্নিকাণ্ডে জলবায়ু সম্মেলন স্থগিত, ফের শুরু কখন?
অগ্নিকাণ্ডে জলবায়ু সম্মেলন স্থগিত, ফের শুরু কখন?

১৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

১৮ মিনিট আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে তিন শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে তিন শতাধিক শ্রমিক আহত

৩২ মিনিট আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

৫২ মিনিট আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

৫৬ মিনিট আগে | জাতীয়

কম্বোডিয়ায় সেতু থেকে বাস নদীতে, নিহত ১৬
কম্বোডিয়ায় সেতু থেকে বাস নদীতে, নিহত ১৬

৫৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাগরে লঘুচাপের আভাস
সাগরে লঘুচাপের আভাস

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফয়সালাবাদে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত ১৬
ফয়সালাবাদে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত ১৬

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মেসির ম্যাচ দিয়েই খুলছে ইন্টার মায়ামির স্বপ্নের স্টেডিয়াম
মেসির ম্যাচ দিয়েই খুলছে ইন্টার মায়ামির স্বপ্নের স্টেডিয়াম

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেরপুরে শীতের সবজির দাম চড়া
শেরপুরে শীতের সবজির দাম চড়া

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিস ইউনিভার্স হলেন মেক্সিকান সুন্দরী ফাতিমা বশ
মিস ইউনিভার্স হলেন মেক্সিকান সুন্দরী ফাতিমা বশ

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কুমারখালীতে গ্রামীণ ব্যাংকে পেট্রল ঢেলে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা
কুমারখালীতে গ্রামীণ ব্যাংকে পেট্রল ঢেলে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

লবণাক্ত পানিকে মিঠা পানিতে রূপান্তর করবে সূর্যের আলো : শাবিপ্রবির গবেষণা
লবণাক্ত পানিকে মিঠা পানিতে রূপান্তর করবে সূর্যের আলো : শাবিপ্রবির গবেষণা

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টেকনাফে ঘরের দেয়াল ভেঙে এক ব্যক্তিকে তুলে নিল অস্ত্রধারীরা
টেকনাফে ঘরের দেয়াল ভেঙে এক ব্যক্তিকে তুলে নিল অস্ত্রধারীরা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জামায়াত আমিরের চট্টগ্রাম সফর শনিবার
জামায়াত আমিরের চট্টগ্রাম সফর শনিবার

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৪০
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৪০

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১১
রাজধানীতে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১১

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২৬ মাস পর ফিরছেন পল পগবা
২৬ মাস পর ফিরছেন পল পগবা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন
ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা
অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন
আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প
মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে
আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার
৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ: এক নজরে সবকিছু
২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ: এক নজরে সবকিছু

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি
রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়ায় এসআর হেলথ কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
বগুড়ায় এসআর হেলথ কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন ও তার স্ত্রীর সম্পত্তি ক্রোক
সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন ও তার স্ত্রীর সম্পত্তি ক্রোক

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আইরিশদের পাঁচ উইকেট নিয়ে দিন শেষ করল বাংলাদেশ
আইরিশদের পাঁচ উইকেট নিয়ে দিন শেষ করল বাংলাদেশ

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?
যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?

১৯ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার শঙ্কা, কমবে তাপমাত্রা
লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার শঙ্কা, কমবে তাপমাত্রা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘শেখ হাসিনা ও কামালকে ফেরাতে সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে’
‘শেখ হাসিনা ও কামালকে ফেরাতে সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে’

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ
তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’
২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিস ইউনিভার্সে এখন পর্যন্ত বিতর্কিত যা যা ঘটল
মিস ইউনিভার্সে এখন পর্যন্ত বিতর্কিত যা যা ঘটল

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জবিতে প্রথম বর্ষের ভর্তি আবেদন শুরু, থাকছে নেগেটিভ নম্বর
জবিতে প্রথম বর্ষের ভর্তি আবেদন শুরু, থাকছে নেগেটিভ নম্বর

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নেপালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী অলির সমর্থকদের সঙ্গে জেন-জি’র সংঘর্ষ
নেপালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী অলির সমর্থকদের সঙ্গে জেন-জি’র সংঘর্ষ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র মিলে তৈরি করছে শান্তিচুক্তির খসড়া, বিপাকে ইউক্রেন
রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র মিলে তৈরি করছে শান্তিচুক্তির খসড়া, বিপাকে ইউক্রেন

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফিতা কাটাই ভরসা
ফিতা কাটাই ভরসা

শোবিজ

আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ
নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প
ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প

পূর্ব-পশ্চিম

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে
মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে

প্রথম পৃষ্ঠা

সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস
সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস

পেছনের পৃষ্ঠা

সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ
সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ

পেছনের পৃষ্ঠা

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

খবর

না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা
না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা

শোবিজ

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’
ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’

শোবিজ

দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না
দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র
তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র

শোবিজ

রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র
রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে
ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে

পেছনের পৃষ্ঠা

বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা
বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা

শোবিজ

হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ
হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ

শোবিজ

বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়
বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়

মাঠে ময়দানে

হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক
হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক

মাঠে ময়দানে

মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি
মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি

মাঠে ময়দানে

কাভিশের সঙ্গে শিরোনামহীন ও মেঘদলের পরিবেশনা
কাভিশের সঙ্গে শিরোনামহীন ও মেঘদলের পরিবেশনা

শোবিজ

প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রথম পৃষ্ঠা

অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা
নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু
১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু

পেছনের পৃষ্ঠা

১০০-তে ১০০ মুশফিক
১০০-তে ১০০ মুশফিক

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের মনোবল ভাঙলে পাহারা দিতে হবে নিজেদের
পুলিশের মনোবল ভাঙলে পাহারা দিতে হবে নিজেদের

প্রথম পৃষ্ঠা