সোমবার, ৬ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

কাঞ্চন সেতুর যানজট

টোল আদায়ের ম্যানুয়াল পদ্ধতি বাদ দিন

শীতলক্ষ্যা নদীর কাঞ্চন সেতুতে টোল আদায়ের ম্যানুয়াল পদ্ধতি সেতুর দুই পাশে ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টিতে অবদান রাখছে। অভিযোগ উঠেছে, ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে যে টোল আদায় হয় তার একাংশ চলে যায় স্থানীয় প্রভাবশালীদের পকেটে। কাঞ্চন সেতুর টোল প্লাজায় প্রতিদিন যে অর্থ আদায় হচ্ছে, যানজটে গাড়ির যে তেল-গ্যাস পুড়ছে এবং মানুষের যে সময় নষ্ট হচ্ছে তাতে লাভের বদলে ক্ষতিই বরং নিশ্চিত হয়। সবারই জানা বর্তমান সরকার সর্বক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি প্রবর্তনকে লক্ষ্য হিসেবে বেছে নিয়েছে। কাঞ্চন সেতুতে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে টোল আদায়ে আদায়কৃত অর্থের একাংশ যেমন আত্মসাৎ হচ্ছে তেমন এ পথে চলাচলকারীদের ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। শীতলক্ষ্যা নদীতে আরও তিনটি সেতু থাকলেও সেগুলো থেকে টোল আদায় করা হয় না। কাঞ্চন সেতুর টোল আদায় বন্ধ করতে স্থানীয় লোকজন সরকারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। হয়েছে মানববন্ধনও। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের মদনপুর থেকে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত ঢাকা-বাইপাস সড়ক নামে ৪৮ কিলোমিটার রাস্তাকে কাঞ্চন সেতুর মাধ্যমে যুক্ত করা হয়। চট্টগ্রাম বন্দর ও সিলেটের সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের সরাসরি সংযোগ স্থাপনের জন্য সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর রাজধানী ঢাকায় প্রবেশের জন্য চারটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সেগুলো হলো- মুড়াপাড়া এলাকায় বীরপ্রতীক গাজী সেতু, তারাব এলাকায় সুলতানা কামাল সেতু, কাঞ্চন এলাকায় কাঞ্চন সেতু ও কাঁচপুর এলাকায় কাঁচপুর সেতু। এসব সেতুর মধ্যে শুধু কাঞ্চন সেতুতেই টোল আদায় করা হচ্ছে। গাড়ি চালকদের বক্তব্য ম্যানুয়াল পদ্ধতির টোল আদায় যেহেতু যানজটের কারণ সেহেতু হয় ডিজিটাল পদ্ধতিতে টোল আদায় করা হোক নতুবা টোল আদায় বন্ধ করা হোক। নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসা যাওয়ার এ সড়কটি যানজটমুক্ত রাখতে যানবাহন চালকদের দাবি যৌক্তিক বলে আমরা মনে করছি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর