সড়ক ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলার কারণে মৃত্যুর মিছিল থামছে না। প্রতিদিনই ঝরছে মানুষের প্রাণ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তেমন হেলদোল নেই। শুধু বড় কোনো দুর্ঘটনায় ব্যাপক সংখ্যক প্রাণহানি ঘটলে তাদের একটু নড়েচড়ে বসতে দেখা যায়। তদন্ত কমিটি হয়, কদিন কিছু দৌড়ঝাঁপ দেখা যায়। তারপর শোক, সান্ত্বনা সবই ফিকে হয়ে যায়। তদন্ত রিপোর্ট আলোর মুখ দেখে খুব কমই। শুধু যেসব পরিবার স্বজন হারায়, তাদের সারা জীবনের কান্না অশ্রু ঝরায় অবিরাম। ওই ক্ষতি অপূরণীয়। অথচ সাধারণভাবে এ ব্যাপারে আমরা দায়িত্বহীন পর্যায়ে উদাসীন। তার ফলও ভোগ করে চলেছি। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদন বলছে- এ বছর প্রথম ছয় মাসে ৩ হাজারেরও বেশি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৩ হাজার মানুষ। আহত অন্তত সাড়ে ৩ হাজার। এ ছাড়া রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে- শুধু গত মাসেই প্রায় ৪৫০ সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৫৩ শিশু এবং ৭২ জন নারী। বিশেষজ্ঞদের সুস্পষ্ট অভিমত- চালকদের যথাযথ দক্ষতার অভাব, বেপরোয়াভাবে অনিয়ন্ত্রিত গতিতে গাড়ি চালানো, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা, তাদের জনশক্তির ঘাটতি, আধুনিক প্রযুক্তির অভাব ও পেশাদারি দায়িত্বশীলতার কমতি- এত বেশি দুর্ঘটনার কারণ। এ ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করা বা কোনো পক্ষের সাফাই গাওয়ার সুযোগ নেই। ট্রাফিক আইনের কঠোর প্রয়োগ, দক্ষ চালক তৈরি করে তবেই তাদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়া হতে হবে এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক পূর্বশর্ত। তাদের উপযুক্ত পারিশ্রমিক এবং সুনির্দিষ্ট কর্মঘণ্টাও বেঁধে দিতে হবে। আর তা প্রতিপালিত হচ্ছে কি না নিবিড় তদারকিতে রাখতে হবে। একই সড়কে বিভিন্ন গতির বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচলও দুর্ঘটনার কারণ। অথচ এটা নিয়ন্ত্রণে দৃশ্যমান ব্যর্থতা রয়েছে। জাতীয় মহাসড়কগুলোতেও দেদার চলছে নানা নামে তিন চাকার ব্যাটারিচালিত বাহন। সড়কে পৃথক লেন নির্ধারণ, গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ ও তা মেনে চলা নিশ্চিত করা হলে ফিটনেস ঘাটতি নিয়ে কোনো যানবাহনের পথে নামা বন্ধ হলে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি কমে আসবে আশা করা যায়। নিয়মনীতির সুষ্ঠু প্রতিপালন এবং কর্তৃপক্ষের সার্বক্ষণিক তদারকি ও নিয়ন্ত্রণে এ হার শূন্যে নেমে আসুক- সেটাই সবার কাম্য।
শিরোনাম
- হারের পর বোলারদের ‘সরি’ বললেন লিটন
- মেট্রো রেলে ঝাঁকুনি, কারওয়ান বাজার-আগারগাঁও রুটে চলাচল বন্ধ
- স্বর্ণের দাম ভরিতে বাড়লো ৮ হাজার ৯০০ টাকা
- এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের
- ৪৮তম বিশেষ বিসিএসে বাড়ছে না চিকিৎসকের পদ
- সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার রোধে দুই সেল গঠনের চিন্তা
- সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেফতার ১৪৩২
- মাদক মুক্ত সমাজ ব্যবস্থা চালু করতে না পারলে পিছিয়ে যাব : এ্যানি
- টিকটক প্রতিনিধিদের সঙ্গে সিইসির বৈঠকে ‘অপপ্রচার’ ঠেকাতে আলোচনা
- বন্দরের বাড়তি ট্যারিফ নিয়ে শীঘ্রই স্টেকহোল্ডারদের সাথে বৈঠক হবে : আমীর হুমায়ুন
- সিরিজে টিকে থাকতে বাংলাদেশের দরকার ১৫০ রান
- নির্বাচনকালে নিজ বা শ্বশুরবাড়ি এলাকায় পোস্টিং হবে না
- শিক্ষায় পচন এত যে কমিশন করলেই সেরে যাবে না : পরিকল্পনা উপদেষ্টা
- প্লট দুর্নীতি : হাসিনা-পুতুল-জয়ের বিরুদ্ধে আরও ৮ জনের সাক্ষ্য
- সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বই আকারে প্রকাশে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
- আগামীর নতুন বাংলাদেশ হবে শিক্ষানির্ভর : আমীর খসরু
- মেট্রোরেল যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার অনুরোধ ডিএমটিসিএলের
- ক্লাস শুরুর দাবিতে অনশনে প্রস্তাবিত সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা
- জলবায়ু পরিবর্তন সভ্যতাকে শেষ করবে না : বিল গেটস
- স্কুলে ভর্তিতে লটারি পদ্ধতি বহাল থাকছে আগামী শিক্ষাবর্ষেও
সড়ক কেন মারণফাঁদ
কঠোর তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ চাই
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
মাদুরোকে ধরার গুপ্তচর নাটক: পাইলটকে প্রলুব্ধ করে ব্যর্থ হলো যুক্তরাষ্ট্র
২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম
১০০ বিলিয়ন ডলারের নগরী এখন ভূতুড়ে; জনশূন্য আকাশচুম্বী অট্টালিকা, জল ভরা কুমিরে!
৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন