ইউটিউবসহ বিভিন্ন সাইটে মৌসুমী অভিনীত চলচ্চিত্রের অশ্লীল দৃশ্য প্রকাশের কারণে বিতর্কের মুখে পড়েছেন এই অভিনেত্রী। ১৯৯৬ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রুপালি পর্দায় মৌসুমীর আগমন। বলিউডের রিমেক এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের দিক দিয়ে কোনো কোনো ক্ষেত্রে জুহি চাওলাকেও ছাড়িয়ে যান তিনি। এরপর থেকে সাফল্যের পথ ধরে শুধুই এগিয়ে যাওয়া তার। কিন্তু এমন সহজ-সরল প্রাপ্তির পরও নানা সময় নানা স্ক্যান্ডালে তার জড়িয়ে পড়ার ঘটনা দর্শক-ভক্তদের ব্যথিত করেছে। ক্যারিয়ারের শুরুতেই নায়ক ওমর সানীর সঙ্গে তার গোপন প্রেম ভক্তদের মনে বিরূপ প্রভাব ফেলে। সেই প্রেম বিয়েতে গড়ালে সবার ধারণা ছিল চলচ্চিত্রে মৌসুমীর দিন শেষ। কিন্তু না, কোনোভাবে সেই যাত্রায় নিজেকে বাঁচিয়ে নিয়ে আবার সাফল্যের পথে হাঁটতে থাকেন তিনি। কিন্তু এরপর আবার সমস্যা দেখা দেয় দুটি বিষয়কে ঘিরে।
প্রথমত বারবার পরকীয়ায় জড়াতে থাকেন তিনি। চিত্রনায়ক, নির্মাতা, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে নানাজনের সঙ্গে তার রোমান্সের খবর বারবার বাতাস ভারী করে। দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে নব্বই দশকের শেষ দিকে চলচ্চিত্রে অশ্লীলতা শুরু হলে তাতে গা-ভাসান মৌসুমী। প্রচুর অশ্লীল চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন তিনি। এসব চলচ্চিত্রে ভিলেনের সঙ্গে ধর্ষণ কিংবা নায়কের সঙ্গে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে নিঃসংকোচে শট দেন মৌসুমী। যা এখনো নেটে সার্চ দিলে বিশেষ করে ইউটিউবে অনায়াসে পাওয়া যায়।
মৌসুমীর ভক্তরা এ অভিযোগ করে আরও বলেন, বিশেষ করে বাদল খন্দকারের ‘মিস ডায়না’ চলচ্চিত্রটি তার ফিল্ম ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে এবং ভক্তরা বিব্রত ও আহত হয়েছেন। কারণ এখানে এক সাধারণ মেয়ে চাকরির আশায় শহরে এসে ভিলেনের দ্বারা ধর্ষণের দৃশ্যে বেশ খোলামেলাভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এই অভিনেত্রীকে। এ গ্রেডের নায়িকা হওয়া সত্ত্বেও সি গ্রেডের নায়িকা মুনমুন, ময়ূরীর মতো এসব চলচ্চিত্রে মৌসুমী অভিনয় না করলেও পারতেন বলে আক্ষেপ দর্শক-ভক্তদের। এই চলচ্চিত্রে এমন রূপে তাকে কেউ গ্রহণ করেনি বলে চলচ্চিত্রটি সুপার ফ্লপের খাতায় নাম লিখিয়েছে এবং এরপর থেকে চলচ্চিত্রে মৌসুমী ক্রেজ অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে বলে মন্তব্য তার নিকটজনদের।
সবার কথায় এখনো নায়িকা হয়ে থাকার জন্য যে কারও সঙ্গে সম্পর্ক গড়া কিংবা যে কোনো চরিত্রে অভিনয়ে আপত্তি করছেন না তিনি। অথচ এই বয়সে তার মা, ভাবীর চরিত্র ছাড়া দর্শক তাকে গ্রহণ করতে নারাজ। কিন্তু মৌসুমীর সাফ কথা, নায়িকা ছাড়া অন্য কোনো চরিত্রে অভিনয় করবেন না তিনি। মৌসুমী সম্পর্কে এতসব নেতিবাচক কথা সত্ত্বেও অনেকে বলছেন অন্য কথা। তাদের মতে, শাবানার জনপ্রিয়তাকে ছুঁতে পেরেছেন একমাত্র মৌসুমীই। তাই ঈর্ষাকাতররা সবসময়ই তার বিরুদ্ধে কুত্সা রটাতে তত্পর। এ কারণেই দর্শক-ভক্ত নামধারী কিছু হীন মন-মানসিকতার মানুষ সবসময়ই মৌসুমীর বিরুদ্ধে স্ক্যান্ডাল ছড়িয়ে মজা নেওয়ার চেষ্টা করছে। যা তার ক্যারিয়ারে কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারছে না বলে এখনো শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে দিব্যি জনপ্রিয়তায় অভিনয় করে যাচ্ছেন দক্ষ ও সুশ্রী অভিনেত্রী মৌসুমী।