এ বছরের চলচ্চিত্রের বাজারটা অনেকটা দখল করে আছে এস এস রাজামৌলির ছবি 'বাহুবলি' আর কবির খানের 'বজরঙ্গি ভাইজান'। একের পর এক রেকর্ড করে চলেছে এ দুটি ছবি। তবে ব্যবসার ক্ষেত্রে খানিকটা এগিয়ে থাকলেও বজরঙ্গি ভাইজানের পরপরই ৬০০ কোটির ক্লাবে ঢুকছে বাহুবলি। জানা যায়, গেল সপ্তাহেই ৬০০ কোটির ব্যবসা ছাড়িয়ে গিয়েছিল কবির খানের বজরঙ্গি ভাইজান। আর এ সপ্তাহে ৬০০ কোটির ক্লাবে ঢুকে পড়ছে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাহুবলিও। পরিচালক এস এস রাজামৌলির ছবি বাহুবলি। ৩৮ দিনে ৫৭০ কোটি টাকা আয় করেছে। গেল ৩০ দিনে ছবিটি আয় করেছে ৫৪০ কোটি টাকা। রিপোর্ট অনুযায়ী এখনো বাহুবলির প্রতিটি শো থাকে হাউসফুল। কাজেই খুব শিগগিরই ৬০০ কোটির ক্লাবে নাম লেখাতে চলেছে এ ছবিটিও। তামিল অভিনেতা প্রভাস ও রানা ডগ্গুবাতি অভিনীত ১২০ কোটি টাকার বাজেটে তৈরি ছবি সাফল্যের পাশাপাশি বিতর্কেরও মুখোমুখি হয়েছিল। তবে সব কিছু ছাপিয়ে এখনো বিজয়রথ ছুটছে বাহুবলির।
সালমান খানের 'বজরঙ্গি ভাইজান' ভারত ও অন্যান্য দেশ মিলিয়ে ৬০০ কোটি রুপি আয় করে ফেলেছে। গত ১৭ জুলাই মুক্তির পর শুধু ভারতেই এর ব্যবসা হয়েছে ৩১৬ কোটি ৬৭ লাখ রুপি। বাণিজ্য বিশ্লেষক তরুণ আদর্শ টুইটারে এ তথ্য জানান।
আশা করা হচ্ছে, আমির খানের 'পিকে'র মোট আয়কে অচিরে ছাড়িয়ে যাবে 'বজরঙ্গি ভাইজান'। রাজকুমার হিরানি পরিচালিত 'পিকে' শুধু ভারতে আয় করেছে ৩৪০ কোটি ৮ লাখ রুপি। আর বহির্বিশ্ব মিলিয়ে এর ব্যবসা হয়েছে ৬২৫ কোটি ৬৫ লাখ রুপি। এদিকে বলিউডে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী রাখী গুলজার গত ১৫ আগস্ট নিজের ৬৮তম জন্মদিনে কবির খান পরিচালিত 'বজরঙ্গি ভাইজান'-এর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তার মতে, পরিচালক, সালমান ও চিত্রনাট্যকার বিজয়েন্দ্র প্রসাদ জাতীয় পুরস্কার পেতেই পারেন। 'করণ অর্জুন' ছবিতে তিনি সালমানের মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন।
রাখী বলেছেন, 'এটাই সালমানের সেরা কাজ এবং এখন পর্যন্ত তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছবি। সে নিজের চরিত্রটা প্রতিটি মিনিটে অনুভব করেছে। সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে আশা, শান্তি ও বন্ধুত্বের যে বার্তা রয়েছে এ ছবিতে, তাতে আমার মন ভরে গেছে আনন্দে। অনেক দিন পর কোনো ছবি দেখে এত ভালো লাগল। এবারই প্রথম আমার মনে হয়েছে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে শান্তির আশা রয়েছে।'
অন্যদিকে, ব্যবসায়িক কোনো সফলতার খবর না পাওয়া গেলেও অনেকের মন জয় করে নিয়েছেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিক অভিনীত ছবি 'মাঝি : দ্য মাউন্টেন ম্যান'। ফাগুনিয়ার প্রতি প্রেম, পাহাড়কে ঘৃণার উপরে গড়ে উঠেছে ছবির গল্প। ভারতের বিহার রাজ্যের গেহলর গ্রামের বাসিন্দা দশরথ মাঝি। দিনমজুর মানুষ। স্বামীকে খাবার দিতে প্রতিদিন পাহাড় ডিঙিয়ে যেতেন তার স্ত্রী ফাগুনিয়া। একদিন পাহাড় থেকে পড়ে মারা যান দশরথের স্ত্রী। আর প্রিয়তমার রক্তের বদলা নিতেই পাহাড় ভাঙতে শুরু করেন দশরথ। দীর্ঘ ২২ বছর ধরে তিনি পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরি করেছেন। পৃথিবীর বুকে লিখে দিয়েছেন 'ফাগুনিয়ার প্রতি প্রেম, আর পাহাড়ের প্রতি ঘৃণা'। এ ঘটনা নিয়েই নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র 'মাঝি : দ্য মাউন্টেন ম্যান'।
ছবিতে দশরথ মাঝির চরিত্রে অভিনয় করেছেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিক। এ মুহূর্তে বলিউড সিনেমার অন্যতম আলোচিত নাম। দুর্দান্ত অভিনেতা পরিচয়েই পরিচিত। 'বজরঙ্গি ভাইজান' ছবিতে তার অভিনয় দর্শকের মনে চিরস্থান দিয়েছে। তাই তার প্রতি সবার প্রত্যাশা আকাশসম। আর নওয়াজের বিপরীতে আছেন রাধিকা আপ্তে। ছবিটি নির্মাণ করেছেন কেতন মেহতা।