মহেন্দ্র হোক বা অমরেন্দ্র, বাহুবলী হিসেবে প্রভাসকে দেখতে পেয়ে পুরো ভারতের সিনেপ্রেমীরা খুশি। কিন্তু বাহুবলী বললেই এতদিন ভেসে আসত অবন্তিকা ওরফে তামান্না ভাটিয়ার মুখ। এদিকে কনক্ল্যুশনে পৌঁছে সেই মুখটিই যেন মিলিয়ে গেছে।
মোটে তিন থেকে চারটি দৃশ্যে দেখা গিয়েছে তামান্নাকে। ফলে প্রভাস ও অনুশকা জুটির রোমান্স মন মাতালেও, দর্শক মনে কোথাও একটু আফসোস থেকেই যাচ্ছে। কিন্তু কেন ছবিতে বেশি দেখা গেল না তামান্নাকে?
উত্তরে অনেকেই বলছেন, গল্পের খাতিরে। যেহেতু এটা অমরেন্দ্র বাহুবলীর গল্প, তাই অবন্তিকার জায়গা কম। তা ঠিকই। তবে শেষদিকে বেশ জাঁকিয়েই তো বসেছিলেন মহেন্দ্র বাহুবলী। অবন্তিকা সেখানে সঙ্গে সঙ্গে থাকতেই পারতেন। ছিলেন না যে তা নয়। কিন্তু যেটুকু ছিলেন তা যেন নাম কা ওয়াস্তে।
কিন্তু কেন প্রথম ছবির নায়িকার এমন করুণ উপস্থিতি! শুধুই গল্পের খাতিরে? পরিচালক কি জানতেন না যে, প্রভাস-তামান্না জুটিকে দেখার জন্য দর্শকও প্রহর গুণছেন! তাহলে এরকম পরিবেশনা কেন? ছবি মুক্তির আগেও তামান্না জানিয়েছিলেন দ্বিতীয় পর্বে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।
সে জন্য মার্শাল আর্ট ও ঘোড়ায় চড়াও শিখেছিলেন তিনি। অথচ ছবির সঙ্গে তাঁর কথার বিন্দুমাত্র মিল নেই। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এর নেপথ্য কারণটি ফাঁস করেছে। তাতে জানা যাচ্ছে, তাামন্না মার খেয়েছেন এডিটিং টেবিলে। তাঁর অভিনীত অধিকাংশ দৃশ্যে চলেছে কাঁচি।
কিন্তু সে কি পরিচালকের সঙ্গে কোনও বিবাদের কারণে? একদমই নয়। বরং যে ভিএফএক্স বাহুবলীর সম্পদ, তার কারণেই মার খেতে হয়েছে তামান্নাকে। ছবির বেশ কিছু অংশের কম্পিউটার গ্রাফিক্স ভাল লাগেনি পরিচালকের। সেগুলি তিনি শেষ মুহূর্তে বাতিল করেছিলেন। ঘটনাচক্রে সেই দৃশ্যগুলোর বেশিরভাগেই ছিলেন তামান্না। ফলে দর্শকও তামান্নাকে বিশেষ দেখতে পেলেন না এই দ্বিতীয় পর্বে। জানা যাচ্ছে, এভাবে তাঁর দৃশ্যবাদ দেওয়ায় নায়িকা বেশ মনঃক্ষুণ্ম পরিচালকের উপর।
পরিচালকের এই খুঁতখুঁতানির কথা জানা গেছে ছবির সাউন্ড ডিজাইনারের কথাতেও। তিনিও জানিয়েছেন, পরিচালক চেয়েছিলেন, বাহুবলীর মান যেন কোনওভাবে ক্ষুণ্ণ না হয়। বরং তা যেন একটা মাপকাঠি হয়ে ওঠে। আর তাই একেবারে শেষ মুহূর্তেও অনেক কিছু সাহস করে বাদ দিয়েছিলেন। যে সাহস অনেক পরিচালকই দেখাতে পারেন না।
বিশেষত বাহুবলীর মতো হাই প্রোফাইল ছবিতে এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া বেশ সাহসী ছিল। তবু ছবি হিসেবে বাহুবলীকে সর্বাঙ্গসুন্দর করতে দ্বিধা করেননি তিনি। তার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে হলেও নিয়েছিলেন। দৃশ্য বাতিলের শিকার হয়েছিলেন ছবির অন্যান্য অভিনেতাও। তবে তামান্নার ভাগ যে বেশি তা তো ছবি দেখেই বুঝা গেছে।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
বিডি প্রতিদিন/ ৭ মে ২০১৭/ ই জাহান