২৬ মে, ২০১৮ ১২:৫৬

'জীবিত অবস্থায় কেউ তাজিন আহমেদের খবর রাখেনি'

অনলাইন ডেস্ক

'জীবিত অবস্থায় কেউ তাজিন আহমেদের খবর রাখেনি'

ফেসবুক লাইভে হুমায়রা হিমু

অভিনেত্রী হুমাইরা হিমু দাবি করেছেন, অধিকাংশ পত্রিকায় প্রয়াত অভিনেত্রী তাজিন আহমেদকে নিয়ে মিথ্যে খবর প্রকাশিত হচ্ছে। ফেসবুক লাইভে এসে তিনি এ দাবি করেছেন। তাজিন আহমেদকে আপুনি সম্বোধন করে হুমায়রা হিমু বলেন, তাকে আমি কিছুটা দিন কাছে পেয়েছি, মৃত্যুর আগে কিছু সময়, কয়েকটা দিন মাত্র তার পাশে থাকতে পেরেছি। আপুনির দুঃখকষ্টগুলো শেয়ার করতে পেরেছি। তিনি আমার কাছে দুঃখকষ্টের কথাগুলো বলতেন। আমাদের স্বার্থপর মিডিয়ায়, মানুষজন যেভাবে অভিনয় করছে, যেভাবে খবর প্রচার হচ্ছে, তা দেখে বসে থাকতে পারলাম না। ভেবেছি আপুনিকে নিয়ে কোনো কথাই বলব না। কিন্তু একজন মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে যেভাবে ব্যবসা শুরু হয়েছে আমার মনে হয়েছে কথাগুলো আসলে বলা উচিত। আমি যদি না বলতে পারি আপুনির আত্মা উপরে গিয়ে শান্তি পাবে না।

হিমু বলেন, আসলেই আমরা অনেক স্বার্থপর। আমরা প্রতিনিয়ত অভিনয় করে যাই। আমরা যে কত বড় অভিনেতা সেটা আসলে আমরা ভুলেই যাই, আমাদের সবার অস্কার পাওয়া উচিত। প্রত্যেকটা মানুষের মন্তব্য দেখছি আর হাসছি, আমরা এটা ভুলে যাচ্ছি মৃত্যুটা সত্য, সবার জীবনে আসবে। আপুনির দুঃখ-কষ্টের কথাগুলো আমরা সবাই জানতাম। কিন্তু কেউ আমরা সাহায্য করলাম না। সবার ওপরে অভিমান নিয়ে চলে গেল। সবার ওপর অভিমান ছিল আপুর, আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের ওপরে। আজকে আমরা বলছি আমরা তার সহশিল্পী, আমরা তার কতকিছু, বন্ধু... কেন ভাই? এই বন্ধু, সহশিল্পী, বেঁচে থাকতে আমরা তার পাশে এগিয়ে আসতে পারিনি? পাশে আসা তো তো উচিত ছিল আমাদের। কিন্তু আমরা আসতে পারিনি।

হিমু বলেন, এখন মিডিয়ার অনেক মানুষ তাজিন আপুর বন্ধু দাবি করে নানা রকম কথা বলছেন। কিন্তু তিনি জীবিত থাকা অবস্থায় কেউ তার খবর রাখেনি। আর যে দাড়িয়েছে সর্বদা তার সাথে থেকেছেন তিনি মেকাপ আর্টিস্ট মিহির মহন। অথচ কোথাও কেউ তার নামটিও বলছেন না। কেন রে ভাই তারও তো একটা নাম আছে!

ভিডিওতে কথা বলেন মিহির মহন নিজেও। তাজিন আহমেদ তাকে ছেলের মতো দেখতেন দাবি করে তিনি জানান, অনেকেই বলছেন দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গেও তাজিনের ডিভোর্স হয়েছে। কিন্তু তাজিনের সঙ্গে তার দ্বিতীয় স্বামীর ডিভোর্স হয়নি। তবে সম্পর্ক ভালো ছিল না। মৃত্যুর দিন সকালেও তাজিন তার স্বামীকে বারবার ফোন দিতে বলেছিলেন। কিন্তু মহন বারবার ফোন করেও তাকে পায়নি। তাজিনের নম্বর সে ব্লক করে রেখেছিল। 

২২ মে দুপুর সোয়া ৩টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাজিন আহমেদকে উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা গুরুতর বলে শুরুতেই নেওয়া হয় লাইফ সাপোর্টে। এরপর ইলেকট্রিক শক ও ইসিজি রিপোর্ট দেখার পর বেলা ৪টা ২০ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক নূর হোসেন তাজিন আহমেদকে মৃত ঘোষণা করেন। 

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর