সব ভালো তার, শেষ ভাল যার। অসাধারণ যবনিকা ছিল এ বছরের শোয়েব মোর্তজার একক " গজল সন্ধ্যা"র । এই কথা সত্যি যে, দর্শক শ্রোতাই শিল্পীদের চালিকা শক্তি। অনুষ্ঠানে শেষ গজল করছেন বলে ঘোষণা দিয়েও শেষ করতে পারেন না। কেননা শ্রোতা আরও শুনতে চায়। তাইতো দর্শকের অনুরোধে আরও দুটি গজল গেয়ে শিল্পীকে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানতে হয়।
গজল কি হারিয়ে যাচ্ছে। না যাবে না। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কেউ না কেউ বাঁচিয়ে রাখবে। হারিয়ে যাবে না যতদিন মোর্তজা শোয়েবের মতো কণ্ঠশিল্পীগণ ভালবেসে হৃদয় দিয়ে কালজয়ী ওস্তাদ আমনত আলী খাঁন, মেহেদী হাসান, গোলাম আলী, জগজিৎ সিং, পংকজ উদাস, অনুপ জালোটা, আবিদা পারভীন, আহমদ ও মোহাম্মদ হোসেন, হরিহরনের গজলগুলি গেয়ে শ্রোতাদের আনন্দ দেবেন।
শোয়েব বেশ কয়েক বছর ধরে সাফল্যের সঙ্গে কাজটি করে যাচ্ছেন। নম্র ভদ্র মার্জিত মানুষটি এবারে তার " গজল সন্ধ্যা" -এ গেয়ে গেছেন দর্শক শ্রোতাদের প্রিয়তম গজলসমুহ। মন ভরে গেছে সকলের। এই জাতীয় অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় গান দিয়ে মালা গাথা খুব জরুরি এই কথা শোয়েব মনে রেখেছে সযত্নে।
গত শনিবার (৬ অক্টোবর) নান্দনিক আগা খান মিউজিয়াম অডিটোরিয়াম, টরন্টোতে সন্ধ্যা ৭ টায় শুরু করে রাত ১১টা পর্যন্ত গজল সন্ধ্যাটি অনুষ্ঠিত হয়। মাঝে মাত্র ১৫ মিনিটের বিরতি ছিল। এই অনুষ্ঠানের মধ্যমনি মোর্তজা শোয়েব ছাড়াও মোহনীয় যন্ত্রসংগত করেছেন অসাধারণ মেধাবী তারকা কিছু যন্ত্রশিল্পীবৃন্দ।
তবলায় ডেরিক জয়কারন, রিদম মেশিনে তানজীর আলম রাজিব, গিটারে রাজন মসিহ , সারেঙ্গীতে ভারগাভ পাটেল, বেহালায় তাকশিম আহমেদ এবং বাঁশিতে জিতু শর্মা। প্রাণবন্ত সঞ্চালক ছিলেন তওশি মালিক এবং দিলারা নাহার বাবু। ভিডিওগ্রাফিতে নাদিম ইকবাল, আলোকচিত্রে প্রিন্স আতিক এবং অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনায় ছিলেন মুসফিকুর রহমান। মনে রাখার মতো এই গজল সন্ধ্যার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন লিসা শোয়েব।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর