ভারতীয় চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী ঋষি কাপুর। রোমান্টিক চরিত্রে অভিনয়ের জন্য বেশি পরিচিতি পেয়েছিলেন তিনি। বড়লোকের সন্তানের চরিত্রে বেশি দেখা গেছে ঋষিকে। 'মেরা নাম জোকার' থেকে '১০২ নট আউট'; তার চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার বেশ দীর্ঘ। বাবা রাজ কাপুরের হাত ধরে তার সিনেমায় আসা। জীবন শেষ পর্যন্ত তিনি ছিলেন সিনেমা নিয়ে। দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে হলিউড ছবির রিমেক 'দ্য ইন্টার্ন' ছবিতে কাজ করার কথা ছিল তার। কিন্তু ক্যান্সারের সঙ্গে হেরে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন সবার প্রিয় ঋষি কাপুর। ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘ দুই বছরের লড়াই শেষে আজ বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ের এইচএন রিলায়েন্স হাসপাতালের আইসিইউতে তিনি মারা যান।
১৯৭০ সালে বাবা রাজ কাপুরের ছবি ‘মেরা নাম জোকার’ এ তরুণ অভিনেতা হিসেবে অভিনয় শুরু করেন ঋষি। সেখানে তিনি বাবা রাজ কাপুরের ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করলেও আলাদা করে নজর কেড়েছিলেন। এর তিন বছর পর ১৯৭৩ তিনি 'ববি' ছবিতে অভিনয় করে রোমান্টিক হিরো হিসেবে অভিনয় করে পরিচিতি পেয়ে যান।
১৯৭৫ সালে তিনি 'রাজা' ছবিতে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেন। এর পরের বছর তার ছবি 'লায়লা মজনু' ও 'কাভি কাভি' বেশ আলোচিত হয়। ১৯৭৭ সালে কাদের খানের লেখা কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত হয় ‘অমর আকবর এন্টনি’ নামের সিনেমাটি। ক্ল্যাসিকাল ব্লকবাস্টার এ ছবিতে তিনি পাল্লা দিয়ে অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চন ও বিনোদ খান্নার সাথে।
১৯৭৯ সালে 'সারগাম' এবং এরপরের বছর 'কর্জ' ছবিতে অভিনয় করেন। কর্জ সিনেমাটি পরিচালনা করেছিলেন সুভাষ ঘাই। এই সিনেমাটিই ঋষিকে এনে দেয় রাজ্যের জনপ্রিয়তা। ১৯৮২ সালের সিনেমা ‘ইয়ে ওয়াদা রাহা’ একটি মিউজিকাল রোমান্স। এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে ঋষি অভিনয় করেছেন। এ সিনেমাটি সংগীত পরিচালনা করেছেন আরডি বর্মণ।
১৯৮৫ সালে নির্মিত ‘সাগর’ সিনেমাটিকে ক্লাসিক একটি প্রেমকাহিনী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনী নিয়ে নির্মিত এ সিনেমায় ঋষির সহ-অভিনেতা ছিলেন কামাল হোসেন ও ডিম্পল কাপাডিয়া। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন রমেশ সিপ্পি।
‘নাসিব’ (১৯৮১) সিনেমাটির কথা বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে ঋষি কাপুরের ক্যারিয়ারে। এ সিনেমাটিতে লটারি জিতে জীবনের কী পরিবর্তন হয় এবং জীবন কোথায় গিয়ে ঠেকে তা দেখানো হয়েছে। এই সিনেমাটির নির্মাতা মনমোহন দেশাই। ১৯৮৯ সালে 'চাঁদনি' ছবিতে শ্রীদেবীর সঙ্গে তার রসায়ন নজর কেড়েছিল সবার।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা