শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ১৬ মার্চ, ২০১৫

বুদ্ধিজীবীর জারি : ১৯৭১

সলিমুল্লাহ খান
প্রিন্ট ভার্সন
বুদ্ধিজীবীর জারি : ১৯৭১

সবে বলে আচম্বিতে এ কি হৈল দায়। নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়। -ভারতচন্দ্র রায় (গ্রন্থাবলী : ১৪০৪, ৩৯২)
১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হামলা শুরু হইবার পর যাঁহারা সাবেক পূর্ব পাকিস্তান হইতে ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিলেন তাঁহাদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন ‘বুদ্ধিজীবী’। এই বুদ্ধিজীবীরা পশ্চিম বাংলা ও ত্রিপুরায় বিশেষ করিয়া কলিকাতায় কিভাবে জীবনধারণ করিয়া থাকিতেন তাহার কিছু বিবরণ পাওয়া যায় গোলাম মুরশিদের স্মৃতিকথায়। স্মৃতিকথাটির নাম ‘যখন পলাতক : মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলি’। প্রথম প্রকাশ : সন ১৯৯২। ২০০৩ সালে ইহার দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ পায়। আমার হাতে পড়িয়াছে এই দ্বিতীয় সংস্করণের তৃতীয় মুদ্রণ। সন ২০১০।
গোলাম মুরশিদ তখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াইতেন। কিন্তু পুরাদস্তুর অধ্যাপক হইয়া সারেন নাই। এমন কি ‘ডাক্তার’ উপাধিও লভেন নাই। কিন্তু তাঁহার সম্পাদনায় ‘বিদ্যাসাগর’ নামে একটি বই প্রকাশিত হওয়ায় কিছু নামডাক হইয়াছে। আনন্দবাজার পত্রিকার বার্তা সম্পাদক অমিতাভ চৌধুরী তাঁহাকে দেখিয়া ডাক্তার উপাধিযুক্ত না ভাবিয়া পারেন নাই। ইহা ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসের কথা। মুরশিদ বলিয়াছেন, ‘আমি তখনো ডক্টর হইনি। কিন্তু যে বইয়ের প্রকাশনার খবর দিয়েছিল রয়টার তার সম্পাদক পিএইচ.ডি. নন এটা অমিতাভ চৌধুরী ভাবতে পারেননি।’ (পৃ. ৩৭)
১৯৭১ সালের ৩রা এপ্রিল তারিখে তিনি সপরিবারে রাজশাহীর কাছাকাছি কোথাও সীমান্ত অতিক্রম করেন। জায়গাটার নাম কাতলামারি। মুরশিদ লিখিয়াছেন, এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই হাজার হাজার মানুষ পশ্চিমবঙ্গে ঢুকিয়া পড়িয়াছিলেন। তাঁহার কথায়, ‘পাকিস্তানী ফৌজী বাহিনীর হামলা ছিল এমন নিষ্ঠুর ও ভয়ানক যে পালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত অনেকেই নিয়েছিলেন একেবারে গোড়ার দিকে।’ (পৃ. ৩১-৩২)
পলায়নের একটি দৃষ্টান্ত এই রকম (গোলাম মুরশিদের জবানেই উদ্ধৃত করিতেছি) : ‘এরকম সময়েই একদিন আনন্দবাজার থেকে ফিরে এসে দেখি উদ্বাস্তু পরিবারের সংখ্যা বেড়ে গেছে- আমাদের বাড়িতে সপরিবারে আলী আনোয়ার। আলী আনোয়ার এবং তাঁর স্ত্রী হোসনে আরা দুজনই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের সহকর্মী। তাঁদের দেখে খুব খুশি হলাম। ওঁরা বললেন, রাজশাহীতে পাকিস্তানী ফৌজী বাহিনী ঢুকে পড়ার আগে ওঁরা কিভাবে গ্রামে পালিয়ে যান। তারপর খানসেনারা যখন সেই গ্রামের দিকেও এগিয়ে আসে, তখন কোন উপায়ান্তর না দেখে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন। পশ্চিম বাংলায় আলী আনোয়ারের আমারই মতো কোন আত্মীয়স্বজন ছিল না। সঙ্গে টাকাপয়সাও ছিল খুব সামান্যই। তার ওপর, দুটি সন্তান ছাড়াও, ভাবী তখন গর্ভবতী। কিন্তু বর্বর সৈন্যদের সামনে করবেন কি! তাঁরা জানতেন, য পলায়তি স জীবতি। সেই আপ্তবাক্য মেনে নিয়েই তাঁরা অজানার উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন।’ (পৃ. ৫৭)
পলায়ন না করিলে কি হইত? এই জিজ্ঞাসার উত্তর গোলাম মুরশিদ লিখিয়াছেন একটি কাহিনীর মধ্যে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কাহিনীর একটি কাহিনী। পাকিস্তান সেনাবাহিনী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দখল প্রতিষ্ঠা করে ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যা নাগাদ। ‘সংস্কৃতের একমাত্র অধ্যাপক সুখরঞ্জন সমাদ্দারকে ১৪ এপ্রিল খানসেনারা ধরে নিয়ে গিয়েছিল তাঁর ফ্ল্যাট থেকে। তার দুয়েকদিন পরে এক দালালের ‘অসীম দয়ায়’ ফিরে এসেছিল শুধু সমাদ্দারের চশমা আর স্যান্ডেল। এছাড়া যুদ্ধের পরে ছাত্রদের কাঁধে করে ফিরে এসেছিল সুখরঞ্জনের হাড়গুলো। সেগুলো নতুন করে সমাহিত করা হয় লাইব্রেরি ভবনের সামনে।’ (পৃ. ১৯১)
সুখরঞ্জনের প্রাণদানকে গোলাম মুরশিদ অভিহিত করিয়াছেন ‘গোয়ার্তুমি’ বলিয়া। তিনি লিখিয়াছেন, ‘অবশ্য স্বীকার করতে হবে, তাঁর হত্যার জন্য সুখরঞ্জন নিজেও কম দায়ী ছিলেন না। টিক্কা খানের ঘাতক বাহিনীর হাতে রাজশাহী পতনের দিন সকালবেলায়ও কজন সহকর্মী তাঁকে পালানোর উপদেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সুখরঞ্জন নাকি নিজে তাঁর হাতের রেখা দেখিয়ে বলেছিলেন: ‘দেখছেন না, আমার বয়স ৬৩? তার আগে আমাকে মারে কে?’ গোলাম মুরশিদও রসিক মুরিদ। তিনি টীকা করিয়াছেন : ‘সুখরঞ্জন তাঁর হাতের রেখার মধ্যে ৬ আর ৩ হয়ত সত্যিই দেখতে পেয়েছিলেন। কিন্তু ৬ আর ৩-এর মধ্যে কোনটা আগে আর কোনটা পরে, সেটা যে ঠিকমত দেখতে পাননি, এটা হলপ করে বলতে পারি। সেজন্যেই মাত্র ৩৬ বছর বয়সে তিনটি সন্তান রেখে প্রাণ হারিয়েছিলেন তিনি।’ (পৃ. ১৯১)
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিতশাস্ত্রের অধ্যাপক হবিবুর রহমানের প্রাণ দেওয়ার ঘটনাকেও গোলাম মুরশিদ নাম দিয়াছেন সেই একই বাক্যে- ‘গোয়ার্তুমি’। গোলাম মুরশিদের ভাষায় ‘তবে দুজনের মধ্যে পার্থক্য এই যে হবিবুর রহমান সত্যি সত্যি রাজনীতি করতেন। আর সুখরঞ্জন রাজনীতির ধারও ধারতেন না। একেবারে নিরীহ গোবেচারা বলতে যা বোঝায়।’ (পৃ. ১৯১)
গোলাম মুরশিদ বুদ্ধিজীবী আরও যোগ করিলেন : ‘এক যাত্রায় তাঁরা অবশ্য ফলও পেয়েছিলেন আলাদা। যুদ্ধের পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা ছাত্রাবাস হয়েছিল হবিবুর রহমানের নামে। আর সমাদ্দারের বিভাগে বোধ হয় সেমিনার কক্ষের নামও সুখরঞ্জন হয়নি। একেই বলে কপাল।’ (পৃ. ১৯১)
এই তিতকুটে ভাষণের পশ্চাতে আর কি আছে? ইহা লইয়া এই গোলাম মুরশিদের মিষ্টি কৈফিয়তও আছে একটা। তিনি কিছু কথা বলিয়াছেন যাহা সকলের পছন্দ হইবে না। যেমন লিখিয়াছেন, ‘ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী আমার রাশি হলো বৃশ্চিক। এ রাশির লোকদের সবাই নাকি ভুল বোঝে। জ্যোতিষশাস্ত্রে আমার প্রগাঢ় কোন বিশ্বাস নেই। কিন্তু লক্ষ্য করেছি আমার পরিবারের লোকজন থেকে শুরু করে অনেকেই আমাকে অকারণে ভুল বোঝেন। অনেকে আমার লেখারও উল্টো অর্থ করেন এবং এসব ক্ষেত্রে আমি নিজের ভাগ্যকেই দোষ দিই।’ (পৃ. ১২০)
ভাগ্যের দোষে গোলাম মুরশিদ সীমান্ত অতিক্রম করিলেন একদিন।  সেদিন ছিল ৩রা এপ্রিল। কিছুদিনের মধ্যেই বেগম মৈত্রেয়ী দেবীর মধ্যস্থতায় আর সাহেব জাস্টিস মাসুদের কল্যাণে আনন্দবাজার পত্রিকার সহিত তাঁহার একটা যোগাযোগ হইল। সেই বহুল প্রচারিত পত্রিকায় আর তার সহযোগী দেশ ম্যাগাজিনে লেখার আমন্ত্রণ পাইলেন তিনি। তাঁহার প্রথম লেখা প্রকাশিত হইল ১৯৭১ সালের ১৩ই এপ্রিল। (পৃ. ৪২) বেশ দ্রুতই বলিতে হইবে।
১৯৭১ সালের এপ্রিল হইতে ১৯৭২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত মোট দশ মাস গোলাম মুরশিদ কলিকাতায় শরণার্থীর জীবনযাপন করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। এই দশ মাসে- তিনি নিজেই লিখিয়াছেন- আনন্দবাজার আর দেশ এই দুটি পত্রিকায় গনিয়া গনিয়া তাঁহার মোট ৪৩টা লেখা বাহির হইয়াছিল। আর এই ৪৩ লেখার মজুরি বাবদ তিনি কমবেশি আড়াই হাজার টাকা পাইয়াছিলেন। অনেক বছর পর পশ্চিম বাংলার বুদ্ধিজীবী মৈত্রেয়ী দেবী নাকি কোথাও লিখিয়াছিলেন, আনন্দবাজারের সম্পাদকীয় পাতায় লেখা প্রকাশিত হওয়ায় কেহ কেহ মনে করিলেন জীবন ধন্য হইল। তাহা ছাড়া, তাঁহারা ছিলেনও রাজার হালে। গোলাম মুরশিদ মনে করেন মৈত্রেয়ী দেবীর এই শ্লেষ তাঁহাকে লক্ষ্য করিয়াই। তাঁহার কৈফিয়ত এই যে আনন্দবাজারে লেখা প্রকাশিত হওয়ার গুরুত্ব তাঁহার মাথায় মোটেও আসে নাই। তাই নিজেকে তিনি ধন্যও মনে করেন নাই। আর রাজার হালে তিনি তো মোটেও ছিলেন না। (পৃ. ৩৯)
গোলাম মুরশিদের কথার শেষ এখানেই নহে। তিনি লিখিয়াছেন : ‘আমি যে খুব ভালো আছি সেটা মুজিবনগর সরকারেরও অনেকে মনে করতেন। সে জন্যে আমার বন্ধুরাসহ উদ্বাস্তু বুদ্ধিজীবীরা প্রায় সবাই চাকরি পেলেও আমি আনন্দবাজারে লিখে আয় করছি বলে আমাকে কোন চাকরি দেয়া হয়নি। তখন সাধারণ সরকারী কর্মচারীদের বেতন মাসে বরাদ্দ করা হয়েছিল কারো ৪০০, কারো ৫০০ টাকা। প্ল্যানিং সেলের সঙ্গে যুক্ত সাধারণ কর্মচারীদের বেতন ছিল মাসে ৩৫০ টাকা। আমি যদি বাংলাদেশ সরকারের চাকরি পেতাম, তা হলে মোটামুটি সাড়ে তিন হাজার টাকা পেতাম। সেটা আনন্দবাজারে লেখার চেয়ে বেশি।’ (পৃ. ৩৯)
গোলাম মুরশিদ আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রথম যে লেখাটা লিখিয়াছিলেন তাহার নাম ছিল ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সাংস্কৃতিক পটভূমি’। ইহা তাঁহার বক্তব্য। আমার স্মৃতি প্রতারণা না করিলে বলিব, এই লেখাগুলি যখন বই আকারে বাহির হয় তখন তাহার নাম দাঁড়ায় সামান্য ভিন্ন : ‘স্বাধীন বাংলাদেশ সংগ্রামের সাংস্কৃতিক পটভূমি’ বা এই জাতীয় কিছু। এই লেখা প্রসঙ্গে তাঁহার ঘোষণা : ‘আমি রাজনীতির ইতিহাস লিখিনি। একজন রাজনীতি সচেতন সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে লিখেছিলাম সাংস্কৃতিক রূপান্তরের ইতিহাস।’ (পৃ. ৪১)
বুদ্ধিজীবী হিশাবে তিনি আর কি করিতে পারিতেন? তিনি লিখিয়াছেন, ‘আমি দেশের ভিতরে গিয়ে তো লড়াই করিনি। বর্ডারে গিয়ে শরণার্থীদের সেবাও করতে পারিনি। কিন্তু তখন বাংলাদেশে ‘অজানা’ লড়াইয়ের প্রতি পশ্চিমবঙ্গে যে বিরাট সহানুভূতি আর ভাবাবেগের জোয়ার দেখা হইয়াছিল, আমি সেই জোয়ারটাকে আরও একটু জোরদার করারই প্রয়াস পেয়েছিলাম এই লেখাটি এবং পরবর্তী লেখাগুলোর মধ্য দিয়ে।’ (পৃ. ৪৭)
ছোট্ট একটি সতর্কতা অবলম্বন করিতে অবশ্য তিনি ভোলেন নাই। সুখরঞ্জন সমাদ্দারের কিংবা হবিবুর রহমানের মতো ‘গোয়ার’ নহেন তিনি। নহেন সৈয়দ আলী আহসান কিংবা আনিসুজ্জামানের মতো বেওয়াকুফও। তিনি লিখিয়াছেন : ‘এ লেখার জন্য আমার নামটা একটু বদলে দিয়েছিলাম। গোলাম মুরশিদের পরিবর্তে লিখেছিলাম হাসান মুরশিদ। দেশে আত্মীয়স্বজনরা সবাই রয়ে গেছেন, সে কথা মনে রেখেই এই সতর্কতা নিতে হয়েছিল।’ (পৃ. ৪১)
কে না জানে সতর্কতার মধ্যেই বুদ্ধিজীবীর পরিচয়। তিনি সতর্কতা অবলম্বন করিয়াছিলেন আরও একটি ক্ষেত্রে। কলিকাতায় বসবাসের দশ মাসে একদিনও ‘আকাশবাণী’ কিংবা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে কণ্ঠ দিতে রাজি হন নাই তিনি। ঘোড়ার মুখেই না হয় শুনি কথাটা : ‘কলিকাতায় যাবার ছ সাত দিন পরে আকাশবাণীর কলকাতা কেন্দ্রে গিয়েছিলাম প্রণবেশ সেনের সঙ্গে দেখা করতে। নিচ থেকে স্লিপ পাঠাতেই উনি চলে এলেন আমাকে নিয়ে যাবার জন্যে। তারপর ওখানেই পরিচয় হলো দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায় আর মিস্টার ভৌমিকের সঙ্গে। এতদিন পরে মিস্টার ভৌমিকের পুরো নাম আর মনে করতে পারছিনে। কিন্তু তিনি ছিলেন কলকাতা বেতারের বার্তা সম্পাদক। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে একটা সাক্ষাৎকার নিতে চাইলেন। কিন্তু যে কারণে আনন্দবাজারে নাম গোপন করেছিলাম, সেই একই কারণে সাক্ষাৎকার দিতে সঙ্কোচবোধ করলাম।’ (পৃ. ৪১)
গোলাম মুরশিদ এক জায়গায় অনুযোগ করিয়াছেন, কোন এক ‘অজ্ঞাত’ কারণে তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র অথবা জয় বাংলা পত্রিকায় কোন ভূমিকা পালন করতে পারেন নাই। (পৃ. ১২০) কেন পারেন নাই? আমি বেশ কয়েকবার পড়িয়াও সেই অজ্ঞাত কারণটা জ্ঞাত হইতে পারি নাই। গোলাম মুরশিদ ইঙ্গিত করিয়াছেন, হয়তো তিনি আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন না বলিয়াই তাঁহাকে কোন ভূমিকা গ্রহণ করার সুযোগ দেওয়া হয় নাই। তিনি লিখিয়াছেন, ‘আমি কোনকালে আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলাম না, সে কথা ঠিক। কিন্তু তাই বলে আমি অন্য কোন রাজনৈতিক দলেরও সমর্থক ছিলাম না। আমার নিজের ভূমিকাকে আমি রাজনীতি সচেতন বুদ্ধিজীবীর ভূমিকা বলেই বিবেচনা করি। আনন্দবাজারে আমার যে লেখাগুলো বের হয় তার মধ্যে কোন বিশেষ দলের মতামত ছিল না। একজন সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে আমি বাংলাদেশের চিত্তজাগরণের যে ধারাটি লক্ষ্য করেছিলাম, যদ্দুর সম্ভব নিরাসক্ত দৃষ্টিতে সে কথাটাই প্রকাশ করতে চেষ্টা করেছিলাম। (পৃ. ১২০)
এই লেখা লইয়াই- তিনি বলিতেছেন- তাঁহার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের অনেকের ক্ষোভ ছিল, এমন কথাও তিনি শুনিয়াছিলেন। একবার- জুলাই মাসে- এই রকম একজন ভদ্রলোক প্রচ্ছন্ন হুমকির ভঙ্গিতে তাঁহাকে নাকি বলিয়াছিলেন, ‘শুনেছি আপনি নাকি বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে অনেক মন্তব্য করেছেন। একবার পড়ে দেখতে হবে আপনার লেখাগুলো।’ (পৃ. ১২০)
এই অবস্থায় ‘জয় বাংলা’ পত্রিকার দপ্তরে পৌঁছিয়া এই রাজনৈতিক বুদ্ধিজীবীর যে অভিজ্ঞতা হইয়াছিল তাহাকে, তাঁহার ভাষায়, কোনক্রমেই ‘সুখের অথবা জয়ের বলা যায় না’। তিনি লিখিয়াছেন : ‘কিন্তু তার থেকেও [বেশি] দুঃখ পেলাম আমার একটা ধারণা ভেঙ্গে যাওয়ায়। বাংলাদেশের যে স্বাধীনতা সংগ্রামে জামায়াত আর মুসলিম লীগ ছাড়া দেশের তাবৎ লোক অংশ নিচ্ছিলেন সে সংগ্রামের নেতৃত্ব তো দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। আর দেশের বেশির ভাগ লোকও তো এই আওয়ামী লীগকেই ভোট দিয়েছিলেন। সুতরাং আওয়ামী লীগ তখন তো কেবল আওয়ামী লীগারদের দল নয়, এ তো আমারও দল। এটা একটা জাতীয় দল। কিন্তু ‘জয় বাংলা’র অফিসে আওয়ামী লীগের যে চেহারা দেখলাম তা সংকীর্ণ উপদলীয় চেহারা। ‘জয় বাংলা’ অফিস থেকে ফিরে এলাম পরাজিত মন নিয়ে।’ (পৃ. ১২১)
‘জয় বাংলা’ পত্রিকার সহিত বিরোধটা কোথায়- এক্ষণে তাহা পরিষ্কার হইল। কিন্তু স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সহিত বিবাদটা কোথায় সত্য সত্য বুঝা যাইতেছে না। গোলাম মুরশিদ লিখিয়াছেন, ‘চট্টগ্রামের কালুরঘাটে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, ২৫ মে তারিখে তাই একটা প্রাতিষ্ঠানিক চেহারা পেল। তবে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের মতোই স্বাধীন বাংলা বেতারেরও কোন চালচুলো ছিল না। শরণার্থী বেতার কেন্দ্র যেমন হতে পারে, এ বেতার ছিল ঠিক তেমনি।’ (পৃ. ৮৩)
আরেকটু : ‘একটি বাড়ির মধ্যেই এই বেতারের দপ্তর এবং রেকর্ডিং স্টুডিও ছিল। পালিয়ে যাওয়া বেতারকর্মীরা এতে যোগ দিলেন নানা ভূমিকায়। খুব সামান্য সঙ্গতি নিয়ে তাঁরা তখন সত্যি সত্যি অসাধ্যসাধন করেছিলেন। এঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন আরও কিছু বুদ্ধিজীবী। কামাল লোহানী, আলমগীর কবির, আলী যাকের, হাসান ইমাম প্রমুখ অনেকেই। তবে স্বাধীন বাংলা বেতারের সবচেয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ছিলেন এম আর [মুস্তাফা রওশন] আখতার মুকুল। বস্তুত স্বাধীন বাংলা বেতার আর এম আর আখতার মুকুল প্রায় সমার্থক শব্দ বলে বিবেচিত হত।’ (পৃ. ৮৩)
তাহা সত্ত্বেও গোলাম মুরশিদ লিখিয়াছেন, ‘আমি কোনদিন এ বেতার কেন্দ্রে যাইনি।’ বড় আশ্চর্যের কথা! অথচ ‘পার্ক সার্কাসে’ যেখানে থাকতেন তিনি, ‘সেখান থেকে ৫৭/৮ বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের যে বাড়িতে এই কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছিল সেটা খুব দূরে ছিল না।’ (পৃ. ৮৩)
মনে হইতেছে, এতক্ষণে আমি সেই ‘অজ্ঞাত’ কারণের একটি প্রান্ত জ্ঞাত হইতে শুরু করিয়াছি। অন্য এক জায়গায় গোলাম মুরশিদ লিখিয়াছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে- এমন কি তাহার ঢের আগেও- বাংলাদেশের জাতীয় আন্দোলনে কলিকাতা বেতারের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ‘সেটা শুধু কেন্দ্রীয় [ভারত] সরকারের নীতির প্রতিফলন ছিল না। প্রণবেশ সেনের মতো বহু কর্মী ছিলেন বলেই সেটা সম্ভব হয়েছিল।’ (পৃ. ৪২)
গোলাম মুরশিদ লিখিয়াছেন, তিনি মাঝে মধ্যেই আকাশবাণীর কলিকাতা কেন্দ্রে যাওয়া আসা করিতেন ‘ওঁদের সঙ্গে গল্প করতে’, কিন্তু কলকাতা বেতারে কোনদিন কণ্ঠ দেন নাই তিনি। (পৃ. ৪২) দেশে আত্মীয়স্বজনরা সবাই রহিয়া গিয়াছেন কিনা!
বুদ্ধিজীবী বলিতে কে কি বুঝিতেন আমার পক্ষে আগাম বলা সম্ভব নহে। কিন্তু লেখক গোলাম মুরশিদকে বুদ্ধিজীবীর উদাহরণ বলিয়া মানিয়া লইতে আশা করি কাহারও আপত্তি হইবে না। আগেই উল্লেখ করিয়াছি, আনন্দবাজার আর দেশ পত্রিকার সহিত গোলাম মুরশিদের যোগটা ঘটাইয়া দিয়াছিলেন জাস্টিস মাসুদ নামের একজন বুদ্ধিজীবী। তাঁহার প্রসঙ্গ ধরিয়া গোলাম মুরশিদ আরও উপকার লাভ করিয়াছিলেন। যথা : ‘তার মধ্যে, যদ্দুর মনে পড়ছে, জুলাই মাসে একদিন সকালবেলায় জাস্টিস মাসুদ ডেকে পাঠালেন। সাধারণ কুশল বিনিময়ের পরে বললেন, আইসিআরসি বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের অর্থসাহায্য দিচ্ছে- প্রত্যেককে মাথাপিছু সাতশ টাকা। আমি যেন যোধপুর পার্কের একটা বাড়িতে গিয়ে এ টাকাটা নিয়ে আসি।’ (পৃ. ১১৭)
গোলাম মুরশিদের এই মন্তব্যটা উদ্ধার করিয়া আমি প্রবন্ধের সংহার করিব : ‘বুদ্ধিজীবীর ব্যাপক সংজ্ঞার অধীনে এ টাকা কারা পেয়েছিলেন, আমার জানা নেই। তবে বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারী কলেজের অধ্যাপকরা পেয়েছিলেন, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। টাকাটা নেয়ার সময়েই অনেকেই সমালোচনা করে বলেছিলেন, এটা হলো সিআইএর টাকা। কিন্তু সমালোচনা করলেও টাকাটা নিতে তারা আপত্তি করেননি। আইসিআরসি পরে আরেক কিস্তি টাকা দিয়েছিল- চারশ টাকা। মাসুদ সাহেবের কল্যাণে আমি সে কিস্তির টাকাও পেয়েছিলাম।’ (পৃ. ১১৭)
বাংলাদেশ শেষমেষ একদিন পাকিস্তানমুক্ত হইল। কিন্তু কলিকাতা বুদ্ধিজীবী বা শরণার্থীমুক্ত হইতে আরও কয়দিন লাগিয়াছিল। গোলাম মুরশিদ লিখিতেছেন, ‘সে যাকগে, কলিকাতায় ছিলাম নিছক শরণার্থী হিসেবে। আমাদের যে কোন মুহূর্তে একটা ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে পড়তে পারার কথা। কিন্তু কার্যকালে দেখা গেল বেরিয়ে পড়া অত সহজ নয়। নিরাপত্তার চিন্তা ছাড়াও, আর একটা কারণ যা দেশে ফেরার ব্যাপারে আমাকে দেরি করিয়ে দিচ্ছিল, তা হলো আমার গবেষণার কাজ।’ (পৃ. ১৮৮)
শেষ পর্যন্ত ফেরার তারিখ ঠিক হইল ৯ জানুয়ারি। গোলাম মুরশিদের দুঃখ, ‘দখলদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে, এ খবর ঢাকার জনগণ খুব আগে পাননি। তবু রেসকোর্সে তখন হাজার হাজার, এমন কি, হয়তো লাখখানেক লোকের ঢল নেমেছিল। কিন্তু লাখ লোকের মুখে মন্ত্র ছিল একটিই : জয় বাংলা, জয় বাংলা।’ গোলাম মুরশিদের অধিক বলিয়াছেন পাকিস্তান বাহিনীর বিখ্যাত কর্মকর্তা সিদ্দিক সালিক। ইঁহার মতে ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় যত লোক রাস্তায় বাহির হইয়াছিল, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তারিখেও তত হয় নাই।
দুঃখ নাই। মুরশিদ লিখিতেছেন : ‘মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পলাতক থেকে ব্যক্তিগতভাবে আমি অনেক কিছুই হারিয়েছিলাম। সবচেয়ে [বেশি] যা হারিয়েছিলাম, তা রেসকোর্স ময়দানের এই অভূতপূর্ব দৃশ্য। অবশ্য মুক্তিযুদ্ধে পলাতকের সেটা আশা করাও অন্যায়।’ (পৃ. ১৮৫)
১৩ মার্চ ২০১৫
দোহাই গোলাম মুরশিদ, ‘যখন পলাতক : মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলি’, ২য় সংস্করণ, ৩য় মুদ্রণ (ঢাকা : সাহিত্য প্রকাশ, ২০১০)।

এই বিভাগের আরও খবর
অস্ত্রের মুখে ৭০ ভরি সোনা লুট
অস্ত্রের মুখে ৭০ ভরি সোনা লুট
প্রধান সমুদ্রবন্দর বন্ধের আলটিমেটাম
প্রধান সমুদ্রবন্দর বন্ধের আলটিমেটাম
বাস্তবায়নে অস্পষ্টতা বললেন আইনজ্ঞরা
বাস্তবায়নে অস্পষ্টতা বললেন আইনজ্ঞরা
সব দলের স্বাক্ষর নিশ্চিত করতে চায় কমিশন
সব দলের স্বাক্ষর নিশ্চিত করতে চায় কমিশন
ফ্লাইট শিডিউল লন্ডভন্ড
ফ্লাইট শিডিউল লন্ডভন্ড
বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি বলছেন ব্যবসায়ীরা
বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি বলছেন ব্যবসায়ীরা
আইনি ভিত্তি না হলে প্রহসন হবে
আইনি ভিত্তি না হলে প্রহসন হবে
জুলাই সনদে স্বাক্ষর গণতান্ত্রিক চর্চার সূচনা
জুলাই সনদে স্বাক্ষর গণতান্ত্রিক চর্চার সূচনা
মানবাধিকার রক্ষাও বিচারকের দায়িত্ব
মানবাধিকার রক্ষাও বিচারকের দায়িত্ব
বিমানবন্দরে নিরাপত্তার ঘাটতি স্পষ্ট
বিমানবন্দরে নিরাপত্তার ঘাটতি স্পষ্ট
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল
ক্যাশলেস সোসাইটি গড়া এখন সময়ের দাবি
ক্যাশলেস সোসাইটি গড়া এখন সময়ের দাবি
সর্বশেষ খবর
ট্রাম্পের লক্ষ্য: আফগান-পাকিস্তান সংঘাত সমাধান হবে ‘নম্বর ৯’
ট্রাম্পের লক্ষ্য: আফগান-পাকিস্তান সংঘাত সমাধান হবে ‘নম্বর ৯’

১৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাজির-নাজির কেবল আল্লাহর গুণ
হাজির-নাজির কেবল আল্লাহর গুণ

৫৭ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

এইচএসসির ফল দিয়ে নির্বাচনি ভাবনা
এইচএসসির ফল দিয়ে নির্বাচনি ভাবনা

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

‘আত্মহত্যা নয়, ঘুরে দাঁড়ানোই সমাধান’
‘আত্মহত্যা নয়, ঘুরে দাঁড়ানোই সমাধান’

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি
১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা
দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওমানে নিহত সাত প্রবাসীর মরদেহ দেশে ফিরল
ওমানে নিহত সাত প্রবাসীর মরদেহ দেশে ফিরল

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আগুন নিয়ন্ত্রণে বড় বাধা ছিল বাতাস: ফায়ার সার্ভিসের ডিজি
আগুন নিয়ন্ত্রণে বড় বাধা ছিল বাতাস: ফায়ার সার্ভিসের ডিজি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার কক্সবাজারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আগুন
এবার কক্সবাজারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আগুন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরে ১২০০ টন পণ্য নিয়ে জাহাজডুবি
চট্টগ্রাম বন্দরে ১২০০ টন পণ্য নিয়ে জাহাজডুবি

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

অ্যাপল উন্মোচন করলো নতুন আইপ্যাড প্রো এম৫
অ্যাপল উন্মোচন করলো নতুন আইপ্যাড প্রো এম৫

২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারামুক্ত বিএনপি নেতাকে কুমিল্লায় সংবর্ধনা
কারামুক্ত বিএনপি নেতাকে কুমিল্লায় সংবর্ধনা

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু
শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ম্যাচসেরা হয়ে যা বললেন রিশাদ
ম্যাচসেরা হয়ে যা বললেন রিশাদ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

খুলনা কারাগারে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
খুলনা কারাগারে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুশিক্ষার্থীর মৃত্যু
ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুশিক্ষার্থীর মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আফগানিস্তানে পাকিস্তানের বিমান হামলা: অন্তত ১০ নিহত, যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ
আফগানিস্তানে পাকিস্তানের বিমান হামলা: অন্তত ১০ নিহত, যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন
বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাদ্রাসা সুপারের বেত্রাঘাত, অভিভাবক আহত!
মাদ্রাসা সুপারের বেত্রাঘাত, অভিভাবক আহত!

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজীপুর-৩ আসনে মাওলানা এহসানুল হকের গণসংযোগ
গাজীপুর-৩ আসনে মাওলানা এহসানুল হকের গণসংযোগ

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের সম্ভাবনা
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের সম্ভাবনা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আশুলিয়ায় প্রসূতি শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় আজও বিক্ষোভ
আশুলিয়ায় প্রসূতি শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় আজও বিক্ষোভ

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা করছে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সংগঠনগুলো
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা করছে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সংগঠনগুলো

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টি-টেনে দল পেলেন সাইফ ও নাহিদ
টি-টেনে দল পেলেন সাইফ ও নাহিদ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৪৫ বছর ছদ্মবেশে বিলাসী জীবন, অবশেষে বিচারের মুখে গুম-খুনের হোতা গোয়েন্দাপ্রধান
৪৫ বছর ছদ্মবেশে বিলাসী জীবন, অবশেষে বিচারের মুখে গুম-খুনের হোতা গোয়েন্দাপ্রধান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জে বিএনপির লিফলেট বিতরণ
গোবিন্দগঞ্জে বিএনপির লিফলেট বিতরণ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কার্গো ভিলেজের আগুন নিয়ন্ত্রণে : বিমান মন্ত্রণালয়
কার্গো ভিলেজের আগুন নিয়ন্ত্রণে : বিমান মন্ত্রণালয়

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ২

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা
রাজধানীতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুনের সূত্রপাত যেখান থেকে
শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুনের সূত্রপাত যেখান থেকে

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শাহজালাল বিমানবন্দরে কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ আগুন
শাহজালাল বিমানবন্দরে কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ আগুন

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আফগানিস্তানে ভয়াবহ বিমান হামলা পাকিস্তানের, নিহত বেড়ে ৪০
আফগানিস্তানে ভয়াবহ বিমান হামলা পাকিস্তানের, নিহত বেড়ে ৪০

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের হামলায় ৩ ক্রিকেটার নিহত, ত্রিদেশীয় সিরিজ বর্জন আফগানিস্তানের
পাকিস্তানের হামলায় ৩ ক্রিকেটার নিহত, ত্রিদেশীয় সিরিজ বর্জন আফগানিস্তানের

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যেভাবে ট্রাম্পের ‘দুর্বল জায়গায়’ আঘাত করল চীন
যেভাবে ট্রাম্পের ‘দুর্বল জায়গায়’ আঘাত করল চীন

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি শেখ হাসিনা: দ্য টেলিগ্রাফ
মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি শেখ হাসিনা: দ্য টেলিগ্রাফ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লেবাননে গাদ্দাফির ছেলে জামিন, তবে কার্যকরে দরকার ১১০ কোটি ডলার
লেবাননে গাদ্দাফির ছেলে জামিন, তবে কার্যকরে দরকার ১১০ কোটি ডলার

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগুন নিয়ন্ত্রণে রোবটের ব্যবহার
আগুন নিয়ন্ত্রণে রোবটের ব্যবহার

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতি ভেঙে আফগানিস্তানে বিমান হামলা পাকিস্তানের
যুদ্ধবিরতি ভেঙে আফগানিস্তানে বিমান হামলা পাকিস্তানের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শীর্ষ ৯ জেনারেলকে বরখাস্ত করলো চীনের কমিউনিস্ট পার্টি
শীর্ষ ৯ জেনারেলকে বরখাস্ত করলো চীনের কমিউনিস্ট পার্টি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাহিদ ইসলাম ‘সংগ্রামী নেতা’: জয়নুল আবদিন ফারুক
নাহিদ ইসলাম ‘সংগ্রামী নেতা’: জয়নুল আবদিন ফারুক

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নিকাব নিষিদ্ধে পার্লামেন্টে বিল পাস করল পর্তুগাল
নিকাব নিষিদ্ধে পার্লামেন্টে বিল পাস করল পর্তুগাল

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করে এনসিপি রাজনীতি থেকে ছিটকে যায়নি’
‘জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করে এনসিপি রাজনীতি থেকে ছিটকে যায়নি’

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুদ্ধ বন্ধে জেলেনস্কিকে চুক্তি করতে বললেন ট্রাম্প
যুদ্ধ বন্ধে জেলেনস্কিকে চুক্তি করতে বললেন ট্রাম্প

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের গ্রেফতারি পরোয়ানা বিষয়ে আপিল প্রত্যাখ্যান আইসিসির
নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের গ্রেফতারি পরোয়ানা বিষয়ে আপিল প্রত্যাখ্যান আইসিসির

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির প্রতি বিএনপির সমর্থন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে হুঁশিয়ারি
শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির প্রতি বিএনপির সমর্থন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে হুঁশিয়ারি

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিরপুরের ধীরগতির পিচে জয় বাংলাদেশের
মিরপুরের ধীরগতির পিচে জয় বাংলাদেশের

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আফগানিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের
আফগানিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অন্য কেউ হলে আমার এই সব সহ্য করতো না’
‘অন্য কেউ হলে আমার এই সব সহ্য করতো না’

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইউক্রেনকে দূরপাল্লার টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছেন না ট্রাম্প
ইউক্রেনকে দূরপাল্লার টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছেন না ট্রাম্প

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ চলাকালীন ট্রাফিক নির্দেশনা
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ চলাকালীন ট্রাফিক নির্দেশনা

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গর্ভে সাত মাসের সন্তান নিয়ে ১০ কিলোমিটার দৌড়ালেন অ্যাথলেট
গর্ভে সাত মাসের সন্তান নিয়ে ১০ কিলোমিটার দৌড়ালেন অ্যাথলেট

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকাগামী ফ্লাইট নামছে চট্টগ্রাম ও সিলেটে
ঢাকাগামী ফ্লাইট নামছে চট্টগ্রাম ও সিলেটে

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই সনদ অনুষ্ঠান ঘিরে সংঘর্ষ: ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
জুলাই সনদ অনুষ্ঠান ঘিরে সংঘর্ষ: ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকার ৪ হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
ঢাকার ৪ হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লঙ্কানদের উড়িয়ে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের আরও কাছে প্রোটিয়ারা
লঙ্কানদের উড়িয়ে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের আরও কাছে প্রোটিয়ারা

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হঠাৎ বিয়ে করে চমকে দিলেন ‘দঙ্গল’ খ্যাত জায়রা ওয়াসিম
হঠাৎ বিয়ে করে চমকে দিলেন ‘দঙ্গল’ খ্যাত জায়রা ওয়াসিম

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

‘জুলাই সনদ’ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের মাইলফলক : ইইউ
‘জুলাই সনদ’ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের মাইলফলক : ইইউ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে: বেবিচক
সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে: বেবিচক

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রবিবার ২টা থেকে শুরু হবে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম
রবিবার ২টা থেকে শুরু হবে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
বেতন ৮০ হাজার, সম্পদ হাজার কোটি টাকার
বেতন ৮০ হাজার, সম্পদ হাজার কোটি টাকার

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির নওশাদ, জামায়াতের ইকবাল, এনসিপির সারজিস
বিএনপির নওশাদ, জামায়াতের ইকবাল, এনসিপির সারজিস

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মাছ ধরা উৎসব, হতাশ শিকারিরা
মাছ ধরা উৎসব, হতাশ শিকারিরা

দেশগ্রাম

অমিতাভকে কেন চোখে চোখে রাখতেন জয়া বচ্চন
অমিতাভকে কেন চোখে চোখে রাখতেন জয়া বচ্চন

শোবিজ

মোশাররফ করিমের গল্প
মোশাররফ করিমের গল্প

শোবিজ

ইউক্রেনকে দূরপাল্লার মিসাইল না দেওয়ার সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের
ইউক্রেনকে দূরপাল্লার মিসাইল না দেওয়ার সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের

পূর্ব-পশ্চিম

এখনো সিঙ্গেল ইধিকা
এখনো সিঙ্গেল ইধিকা

শোবিজ

অভিনয় নিয়ে আফজাল
অভিনয় নিয়ে আফজাল

শোবিজ

ট্রেন চালু, যাত্রাবিরতির দাবি
ট্রেন চালু, যাত্রাবিরতির দাবি

দেশগ্রাম

গাজা পুনর্গঠনে জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান এরদোগানের
গাজা পুনর্গঠনে জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান এরদোগানের

পূর্ব-পশ্চিম

কবরস্থান সংকট দিল্লিতে!
কবরস্থান সংকট দিল্লিতে!

পূর্ব-পশ্চিম

প্রদর্শকরা কেন প্রযোজনায় নেই
প্রদর্শকরা কেন প্রযোজনায় নেই

শোবিজ

পরমাণু কর্মসূচিতে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা মানবে না ইরান
পরমাণু কর্মসূচিতে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা মানবে না ইরান

পূর্ব-পশ্চিম

কাজের লোকের কোদালের আঘাতে মৃত্যু, লাশ ফেলা হয় নলকূপে
কাজের লোকের কোদালের আঘাতে মৃত্যু, লাশ ফেলা হয় নলকূপে

দেশগ্রাম

ধান খেতে গৃহবধূর, ঘরে বৃদ্ধার গলা কাটা লাশ
ধান খেতে গৃহবধূর, ঘরে বৃদ্ধার গলা কাটা লাশ

দেশগ্রাম

চীনে শীর্ষ ৯ জেনারেল বহিষ্কার
চীনে শীর্ষ ৯ জেনারেল বহিষ্কার

পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ গুলি, আহত ৩০
বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ গুলি, আহত ৩০

দেশগ্রাম

সড়কে প্রাণ গেল তিন মোটরসাইকেল আরোহীর
সড়কে প্রাণ গেল তিন মোটরসাইকেল আরোহীর

দেশগ্রাম

মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহ
মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহ

দেশগ্রাম

প্রেমিকের নানা বাড়িতে কিশোরীর লাশ
প্রেমিকের নানা বাড়িতে কিশোরীর লাশ

দেশগ্রাম

আতঙ্কের নাম কিশোর গ্যাং
আতঙ্কের নাম কিশোর গ্যাং

দেশগ্রাম

উত্তরাঞ্চলে দিনে গরম রাতে ঠান্ডা বাড়ছে রোগ-বালাই
উত্তরাঞ্চলে দিনে গরম রাতে ঠান্ডা বাড়ছে রোগ-বালাই

দেশগ্রাম

চলে গেলেন নোবেলজয়ী পদার্থবিদ চেন নিং
চলে গেলেন নোবেলজয়ী পদার্থবিদ চেন নিং

পূর্ব-পশ্চিম

ইকসু রোডম্যাপের দাবিতে বিক্ষোভ
ইকসু রোডম্যাপের দাবিতে বিক্ষোভ

দেশগ্রাম

নিষিদ্ধ সময় ইলিশ শিকার ৫৪১ জেলের দন্ড
নিষিদ্ধ সময় ইলিশ শিকার ৫৪১ জেলের দন্ড

দেশগ্রাম

সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল পেরু
সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল পেরু

পূর্ব-পশ্চিম

নৌকাই ভরসা লাখো মানুষের
নৌকাই ভরসা লাখো মানুষের

দেশগ্রাম

ইয়েমেন উপকূলে জাহাজে হামলা
ইয়েমেন উপকূলে জাহাজে হামলা

পূর্ব-পশ্চিম

মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনির লাশ ঘিরে শোকার্ত স্বজনরা
মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনির লাশ ঘিরে শোকার্ত স্বজনরা

পূর্ব-পশ্চিম