শনিবার, ৪ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

সহিংসতায় মৃত্যুর মিছিলে আরও একজন, আহত ২৭

প্রতিদিন ডেস্ক

চলমান ইউপি নির্বাচন নিয়ে গতকালও দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রামের আনোয়ারায় দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ১২৬। গাইবান্ধা, ঝিনাইদহ, ফরিদপুর ও নোয়াখালীতে হামলা, সংঘর্ষ গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ দুজন গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছেন ২৫ জন। নড়াইলে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর বাড়ি থেকে। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের খবর— চট্টগ্রাম : আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নে ভোটকেন্দ্রে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র গতকাল দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বিকালের এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুজন। নিহতের নাম মো. ফারুক (৩৫)। আহতরা হলেন— আবদুর রহমান ও ফরহাদ। আজ আনোয়ারার ১১টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পূর্ব বৈরাগ গ্রামে খলিফা পাড়া কেন্দ্রে সদস্য প্রার্থী ওমর ফারুক ও মুছার কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষে তিনজন আহত হন। গুরুতর আহত ফারুককে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

গাইবান্ধা : ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমানের ওপর গুলি চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় চারজনকে আটক করে বিজিবির অস্থায়ী ক্যাম্পে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা। ডাকাতিয়ার চর গ্রামে আজিজুর রহমানের বাড়িতে গতকাল ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত আজিজুরকে প্রথমে জামালপুর সদর হাসপাতাল পরে ময়মনসিংহ মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, আজিজুর বৃহস্পতিবার রাতে নির্বাচনী কাজ শেষে বাড়িতে ফেরেন। ভোররাতে একদল দুর্বৃত্ত তার ঘরে ঢুকে পরপর তিনটি গুলি করে। ঝিনাইদহ : শৈলকুপায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকের ওপর বোমা হামলা ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাতের এ ঘটনায় নায়েব নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি মির্জাপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী বলে জানা গেছে। তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকাবাসী জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মকবুল হোসেনের ২০-২৫ কর্মী-সমর্থক মান্দারীপাড়া বিদ্যালয়মাঠে নির্বাচনী বৈঠক করছিলেন। নোয়াখালী : সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দেলু ও বিদ্রোহী মিজানুর রহমান শিপনের সমর্থকদের সংঘর্ষ ও ভাঙচুর হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের ১৫-১৬ জন।

ভাঙ্গা : ফরিদপুরের ভাঙ্গার তুজারপুর গ্রামে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ১০ জন আহত হয়। এ সময় ১০/১২টি বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। জানা যায়, আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাব ভূইয়ার সঙ্গে দলের অপর নেতা গোলাম মাওলার লোকজনের বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়।

নড়াইল : কালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা খান শামীমুর রহমান ওসি খাঁ এবং লোহাগড়ার কোটাকোল ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী খান জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি শটগান, একটি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও ৯১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে এসব আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যানের বাড়ির ম্যানেজারসহ তিনজনকে আটক করলেও উপজেলা চেয়ারম্যান এবং বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী বাড়িতে ছিলেন না। আওয়ামী লীগের এই দুই নেতা সম্পর্কে চাচাতো ভাই।

 

সর্বশেষ খবর