শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ আপডেট:

মীর কাসেম আলী ফাঁসি কার্যকর রাত ১০:৩৫

চট্টগ্রামের কসাইয়ের ফাঁসি

কার্যকর করেন চার জল্লাদ দাফন মানিকগঞ্জে
মির্জা মেহেদী তমাল, আহমেদ আল আমীন, আলী আজম ও শেখ সফিউদ্দিন জিন্নাহ্
প্রিন্ট ভার্সন
চট্টগ্রামের কসাইয়ের ফাঁসি

একাত্তরের ভয়ংকর খুনিবাহিনী আলবদরপ্রধান ও চট্টগ্রামের কসাই মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। আইজি (প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, শনিবার রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে (কারাগারের ঘড়ি অনুযায়ী) গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ফাঁসির মঞ্চে দড়িতে ঝুলিয়ে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এ সময় কাশিমপুর ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

কারাসূত্র জানায়, জল্লাদ শাহজাহানের নেতৃত্বে ছয়জন জল্লাদ ফাঁসির কাজ সম্পন্ন করেন। ২০ মিনিট ধরে ফাঁসির দড়িতে ঝুলে থাকার পর কাসেমের নিথর দেহ নিচে নামিয়ে আনা হয়। পরে তার পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়। ফাঁসির চার ঘণ্টা আগে পরিবারের সদস্যরা কারাগারে গিয়ে মীর কাসেম আলীর সঙ্গে শেষ সাক্ষাৎ করেন। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম আলম, অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক রেহানুল আলম, সিভিল সার্জন ডা. আলী হায়দার খান, আইজি (প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন, জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক প্রশান্ত কুমার বণিক, জেলার মো. নাশির আহমেদ, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এ এস এম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান, গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন উর রশিদসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ফাঁসির এ দণ্ড কার্যকর করা হয়। এর মধ্য দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তি দিয়ে কলঙ্কমোচনের পথে এগিয়ে গেল দেশ। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে এটি ফাঁসি কার্যকরের ষষ্ঠ ঘটনা। মানবতাবিরোধী অপরাধী মীর কাসেম রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাননি। রায় কার্যকরের পর ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী গোসল করিয়ে কাফনের কাপড়ে মুড়িয়ে কফিনে ভরা হয় মরদেহ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কড়া প্রহরায় গতকাল রাতেই কাসেমের লাশ নিয়ে যাওয়া হয় তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জে। সেখানে তার লাশ দাফন করা হবে বলে স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন জানিয়েছেন। এদিকে আমাদের মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, মানবতাবিরোধী অপরাধী মীর কাসেম আলীর মরদেহ মানিকগঞ্জে দাফন করতে দেওয়া হবে না বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন এলাকাবাসী। রাতে কারাগারের গেট দিয়ে কাসেমের লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স বের হলে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে কেন্দ্রীয় কারাগারের আশপাশ প্রকম্পিত করে জনতা। মুক্তিযুদ্ধের ৪৫ বছর পর চট্টগ্রামের এই জল্লাদের ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ উল্লাসে ফেটে পড়ে। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের আগমুহূর্তে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার নীল নকশা হাতে নিয়ে বুদ্ধিজীবী নিধনযজ্ঞ চালিয়েছিল পাকিস্তানি সেনা ও গুপ্তঘাতক আলবদর বাহিনী। সেই গুপ্তঘাতক আলবদর বাহিনীর চট্টগ্রামের জল্লাদ ছিলেন মীর কাসেম। আর তাই স্বাধীনতার পর দীর্ঘ ৪৫ বছর পেরিয়ে গেলেও ফাঁসির দড়িতে তাকে ঝুলতেই হলো। ফাঁসির এ রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে শেষ হলো কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম পর্ব।

ফাঁসি কার্যকরের পর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে বেশ গুরুত্ব দিয়ে তা প্রচার করা হয়। ফাঁসির এ সংবাদে মুহূর্তেই উল্লাসে ফেটে পড়ে কাশিমপুর কারাগারের সামনে জাতীয় পতাকা হাতে সমবেত শত শত মানুষ। আনন্দে আত্মহারা তখন গোটা বাংলাদেশ। রাতেই রাজপথে নেমে আসে জনতা। ‘ফাঁসি হলো, ফাঁসি হলো/ মীর কাসেমের ফাঁসি হলো’, ‘জয় বাংলা’ এমন সব স্লোগানে মুখরিত হয় রাজপথ। এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ফাঁসির রায় কার্যকর হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধে এই পাঁচটি ফাঁসি নাজিমউদ্দিন রোডের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কার্যকর হলেও মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় কাশিমপুর কারাগারে। কারাগার সূত্র জানায়, বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে ফাঁসি কার্যকরের নির্বাহী আদেশ পৌঁছায় কারাগারে। রাত ৮টা ৪৮ মিনিটে কারাভ্যন্তরে প্রবেশ করেন আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন। রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে কারাগারে প্রবেশ করেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা সিভিল সার্জন। পুলিশের এসপি হারুন উর রশিদ ও অন্য কর্মকর্তারাও এ সময় কারাগারে ঢোকেন। ছিলেন র‌্যাব-১ অধিনায়ক তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ। ১০টা ৩৫ মিনিটে ফাঁসি কার্যকরের পর রাত ১১টার দিকে এই কর্মকর্তারা কারাগার থেকে বেরিয়ে যান।

ফাঁসির শেষ প্রস্তুতি : কারা সূত্র জানায়, বিকালে স্বজনরা কারাগারে যাওয়ার পর মীর কাসেম বুঝতে পারেন, তার হাতে আর বেশি সময় নেই। রাতেই তাকে ঝোলানো হবে। সন্ধ্যায় কারাগার থেকে স্বজনরা বের হওয়ার পর থেকেই মূলত তাকে ফাঁসির মঞ্চে নেওয়ার প্রস্ততি শুরু হয়। দুজন কারারক্ষী এ সময় কাশিমপুর কারাগারের পার্ট-২-এর ৪০ নম্বর কনডেম সেলে যান। সেখানে গিয়ে তারা মীর কাসেমকে মঞ্চে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেন। মীর কাসেম এ সময় দোয়া-দরুদ পড়ছিলেন। তিনি গোসল সেরে বসে থাকেন। এরপর তিনি নামাজ আদায় করেন। রাত ৯টার দিকে কারা মসজিদের পেশ ইমাম মো. হেলাল উদ্দিন তাকে তওবা পড়ানোর জন্য যান। কিন্তু কাসেম আলী নিজেই তওবা পড়বেন বলে জানালে ইমাম সেখান থেকে চলে আসেন। এ সময় একটু শব্দ করে দোয়া-দরুদ পড়তে থাকেন তিনি। ফাঁসি কার্যকরের পর লাশ বহনের জন্য তিনটি অ্যাম্বুলেন্স কারাগারে প্রবেশ করে রাত ৯টায়। সময় যত গড়াতে থাকে টেনশনও বাড়তে থাকে সর্বমহলে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর থেকে কঠোরতর নিরাপত্তা-বেষ্টনী গড়ে তোলে। পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি ঘিরে রাখে কাশিমপুর কারাগারের চারপাশ।

প্রস্তুত জল্লাদ : সূত্র জানায়, ফাঁসি কার্যকর করতে গতকাল দুপুরের পর কারাগারের ভেতরে মঞ্চে চূড়ান্ত মহড়ায় চার জল্লাদ অংশ নেন। এরা হলেন শাহজাহান, দ্বীন ইসলাম, রিপন ও শাহীন। রাতে সাড়ে ৯টায় ফাঁসির মঞ্চে অবস্থান নেন তারা।

ফাঁসির মঞ্চে মীর কাসেম : রাত সাড়ে ৯টায় ফাঁসির মঞ্চের চারপাশে অবস্থান নেন জল্লাদ ও সশস্ত্র কারারক্ষীরা। ১০টার দিকে দুজন জল্লাদ ৪০ নম্বর কনডেম সেলে মীর কাসেম আলীকে আনতে যান। মঞ্চে আনার পর মীর কাসেমকে চার-পাঁচজন জল্লাদ যমটুপি পরিয়ে হাত ধরে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যান। মঞ্চে তোলার পর তার গলায় ফাঁসির দড়ি পরানো হয়। রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে জেলা প্রশাসক ও ম্যাজিস্ট্রেটের সংকেত পেয়ে জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক প্রশান্ত কুমার বণিক তার হাতে থাকা রুমাল মাটিতে ফেলে দেন। সঙ্গে সঙ্গে প্রধান জল্লাদ শাহজাহান লিভার টেনে ফাঁসি কার্যকরে সহযোগিতা করেন। সিভিল সার্জন ডা. আলী হায়দার খান মীর কাসেমের মৃত্যু নিশ্চিত করেন।

কারাগারে দিনভর ব্যস্ততা : মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে কারাগারে ছিল দিনভর ব্যস্ততা। কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে এ পর্যন্ত তিনটি অ্যাম্বুলেন্স ও র‌্যাব পুলিশের মোট ৯টি গাড়ি প্রবেশ করে। রাত ৮টা ৫০ মিনিটে পুলিশ ও র‌্যাবের পাহারায় অ্যাম্বুলেন্সগুলো কারাগারে প্রবেশ করে। অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে প্রবেশ করেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন উর রশীদ। এদিকে গতকাল বেলা ২টার দিকে কারাগারে প্রবেশ করেন অতিরিক্ত আইজি (প্রিজন) কর্নেল ইকবাল কবির। বিকেল ৪টায় প্রবেশ করেন ঢাকা বিভাগের ডিআইজি গোলাম হায়দার। এ ছাড়া সন্ধ্যা ৭টায় আইজি (প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন কারাগারে প্রবেশ করেন। এ সময় একই সঙ্গে গাজীপুরের সিভিল সার্জন আলী হায়দার খানও কারাগারে প্রবেশ করেন বলে জানা গেছে। রাত ৯টা ৩৭ মিনিটে জেলা প্রশাসক এস এম আলম, অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক রেহানুল আলম ও সিভিল সার্জন আলী হায়দার খান কারাগারে ঢোকেন। কারাগারের জেলার মো. নাশির আহমেদ জানান, মীর কাসেম আলীর ফাঁসির নির্বাহী আদেশ আজ (গতকাল) বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে কাশিমপুর কারাগারে এসে পৌঁছায়। দণ্ড কার্যকরের আগে কাশিমপুর কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। কারাগারের আশপাশ এলাকায় নেওয়া হয় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। সকাল থেকেই কারাগার ও আশপাশ এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়। মোতায়েন করা হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য। কারাগারের মূল ফটক থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কে বসানো হয় কয়েকটি নিরাপত্তা-চৌকি। নাশকতা মোকাবিলায় পুরো গাজীপুরে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়। সন্ধ্যা ৬টায় জারি করা হয় রেড অ্যালার্ট। তা আজ ভোর ৬টা পর্যন্ত বহাল থাকার কথা। কারাগার এলাকার বাসিন্দা, সাংবাদিক, পুলিশ, র‌্যাব, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যসহ নির্বাচিত কিছু মানুষ ছাড়া আর কাউকে ওই এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। অদূরে উত্সুক জনতা জটলা করে। এ বিষয়ে র?্যাব-১-এর উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) মোহাম্মদ শাহজাহান সাংবাদিকদের বলেন, কয়েকটি স্তরে নিরাপত্তাবলয় সৃষ্টি করা হয়। কাশিমপুর কারাগার থেকে হাইওয়ে পর্যন্ত সড়কে সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়।

কারাগারে পরিবার : মীর কাসেমের সঙ্গে শেষ সাক্ষাতের জন্যে পরিবারের ৩৮ সদস্য কারাগারে যান। বেলা ৩টা ৩৫ মিনিটে ছয়টি মাইক্রোবাসে করে মীর কাসেমের স্ত্রী, মেয়ে, পুত্রবধূসহ পরিবারের ৪৭ জন সদস্য সাক্ষাতের জন্য কারাফটকে উপস্থিত হন। তাদের মধ্যে ৩৮ জনকে দেখা করতে ভেতরে যেতে দেওয়া হয়। তারা সাক্ষাৎ পান বিকাল ৫টায়। সাক্ষাৎ শেষে সন্ধ্যা ৬টা ৩৮ মিনিটে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন তারা।

‘তোমাদের জান্নাতে নেব’ : মীর কাসেমের স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন কারাগার থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, তার স্বামী মীর কাসেম আলী বলেছেন, ‘আমি মৃত্যুকে ভয় পাই না। এই মৃত্যুতে আমি বিচলিত নই।’ মীর কাসেম বলেন, ‘আমি আশাবাদী ছিলাম, অন্তত শেষ সময়ে ছেলেকে দেখতে পাব। আমার ছেলেকে দেখা করতে দেওয়া হলো না। এর পরও আমি আশাবাদী, ছেলেকে দেখতে পাব।’ স্ত্রীকে মীর কাসেম বলেছেন, ‘আমি জান্নাতে যাচ্ছি। জান্নাতে গিয়ে তোমাদেরও জান্নাতে নেওয়ার ব্যবস্থা করব। সবার ভাগ্যে শহীদি মৃত্যু জোটে না। আমি সৌভাগ্যবান আমার মৃত্যু শহীদি হবে। যারা আমাকে ফাঁসি দিচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্য কখনো সফল হবে না।’ এ সময় মীর কাসেমকে অনেকটা ভারাক্রান্ত দেখা গেছে বলে জানান আয়েশা খাতুন।

হালুয়া খেলেন : পরিবারের সদস্যরা জানান, মীর কাসেমের অতিপ্রিয় খাবার সিলেটের হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজারের হালুয়াসহ বাসা থেকে সেমাই, বিরিয়ানি রান্না করে নেওয়া হয়। তিনি হালুয়া খেলেও সেমাই ও বিরিয়ানি খাননি।

ঘটনাক্রম : মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ২০১২ সালের ১৭ জুন গ্রেফতার হন মীর কাসেম। পরে ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয় তাকে। ২০১৩ সালের ১৬ মে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয় ওই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর। ৩০ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে মামলাটি স্থানান্তর করা হয় ট্রাইব্যুনাল-২-এ। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল যুক্তিতর্ক শুরু করে প্রসিকিউশন। মামলাটি ট্রাইব্যুনালে রায়ের অপেক্ষায় রাখা হয় ওই বছরের ৪ মে। ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করেন। চলতি বছর ৮ মার্চ মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। সেই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি রিভিউ আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩০ আগস্ট রিভিউয়ের আবেদন খারিজ করেন আপিল বিভাগ।

ঘাতক থেকে ধনকুবের : ১৯৫২ সালের ৩১ ডিসেম্বর। মীর কাসেম আলীর জন্ম মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার চালা গ্রামে। ডাকনাম পিয়ারু ওরফে মিন্টু। বাবার চাকরির সুবাদে ছোটবেলায় থাকতেন চট্টগ্রামে। সেখানে জড়িত হন ইসলামী ছাত্রসংঘের রাজনীতিতে। ১৯৭১ সালের ৭ নভেম্বর পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের সাধারণ সম্পাদক হন তিনি। ১৯৭৭ সালে নাম বদল করে তার নেতৃত্বে ইসলামী ছাত্রশিবির হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে সংগঠনটি। মীর কাসেম হন শিবিরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। পরবর্তী সময়ে তিনি যোগ দেন জামায়াতে ইসলামীতে। একাত্তরে চট্টগ্রামে অবস্থানের সময় টর্চার সেল স্থাপন করেন ডালিম হোটেল নামে পরিচিত স্থানীয় মহামায়া হোটেলে। সেখানে নির্যাতন ও হত্যা করা হয় স্বাধীনতার বহু সমর্থককে। ছাত্রসংঘের বাছাই করা কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত আলবদর বাহিনীর তিনি ছিলেন তৃতীয় কমান্ডার।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক, বিশৃঙ্খলা হলে জনগণই প্রতিহত করবে : মানবতাবিরোধী অপরাধে আলবদর নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় কার্যকরের পর দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে, থাকবে বলেই জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। গত রাত সাড়ে ১০টায় রায় কার্যকরের পর এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী বলেন, উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী এ ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। জনগণ যা চেয়েছিল তাদের সে আশা পূরণ হয়েছে।

গণজাগরণ মঞ্চের উল্লাস : যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ায় উল্লাস করেছে গণজাগরণ মঞ্চ। রায় কার্যকরের পর মঞ্চের নেতা-কর্মীরা জয়সূচক ‘ভি’ চিহ্ন দেখিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন। পরে পতাকা মিছিল করেন। মিছিলটি শাহবাগ থেকে শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে পুনরায় শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়। এর আগে গতকাল সন্ধ্যা থেকে মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। অবস্থান চলাকালে মঞ্চের নেতা-কর্মীরা মীর কাসেমসহ সব যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকরের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ সময় প্রতিবাদী গান পরিবেশন করা হয়।

ফাঁসি কার্যকরে ১৪ দলের সন্তোষ : মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকরে সন্তোষ প্রকাশ করেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট।

ক্ষমতাসীন জোটের নেতারা বলেছেন, এ রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে জাতি কলঙ্কমুক্তির পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল। গোটা দেশের মানুষ বাকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও রায় কার্যকর দেখতে চায়। গতকাল রাতে যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকরের পর এই প্রতিবেদককে দেওয়া তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি। দেশবাসী এ বিচার ও বিচারের রায় কার্যকর দেখতে চায়। মীর কাসেম আলীর বিচারের রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে জাতি কলঙ্কমুক্ত হলো। 

কাল আধাবেলা হরতাল ডেকেছে জামায়াত : জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসি কার্যকরের প্রতিবাদে আগামীকাল সোমবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত সারা দেশে শান্তিপূর্ণ হরতালের ডাক দিয়েছে জামায়াত। গতকাল রায় কার্যকরের পর এক বিবৃতিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান এ কর্মসূচি দেন। একই সঙ্গে আজ দেশে-বিদেশে দোয়া পালন করবে দলটি। হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, হজযাত্রীদের বহনকারী যানবাহন, সংবাদপত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গাড়ি এবং ওষুধের দোকান হরতালের আওতামুক্ত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। শফিকুর রহমান দাবি করেন, মীর কাসেম আলী সম্পূর্ণ নির্দোষ। সরকার জামায়াতকে নেতৃত্বশূন্য করার যে ষড়যন্ত্র করছে তারই অংশ হিসেবে মীর কাসেমকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর
মিরপুর টেস্টে চালকের আসনে বাংলাদেশ
মিরপুর টেস্টে চালকের আসনে বাংলাদেশ
ঘরের দেয়াল ভেঙে হামলা লুটপাট রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের
ঘরের দেয়াল ভেঙে হামলা লুটপাট রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের
ডিবি হেফাজতে আসামির মৃত্যু তদন্ত কমিটি
ডিবি হেফাজতে আসামির মৃত্যু তদন্ত কমিটি
আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
পুরোনো ভবনগুলো কোড মানেনি
পুরোনো ভবনগুলো কোড মানেনি
ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকবে বিএনপি
ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকবে বিএনপি
১৪ বছর ধরে বিকল অগ্রিম সংকেত দেওয়া যন্ত্র
১৪ বছর ধরে বিকল অগ্রিম সংকেত দেওয়া যন্ত্র
নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড
নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড
বিধিমালা না মানায় এমন বিপর্যয়
বিধিমালা না মানায় এমন বিপর্যয়
জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ
জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ
প্রশাসনিক চাঁদাবাজি
প্রশাসনিক চাঁদাবাজি
হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে
হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে
সর্বশেষ খবর
কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যা, আহত ১
কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যা, আহত ১

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

মোহাম্মদপুরের শীর্ষ ছিনতাইকারী পিচ্চি আবির গ্রেফতার
মোহাম্মদপুরের শীর্ষ ছিনতাইকারী পিচ্চি আবির গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জনগণের ভালো থাকাই আমাদের মূল এজেন্ডা
জনগণের ভালো থাকাই আমাদের মূল এজেন্ডা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্প আতঙ্কে হল থেকে লাফ, ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী আহত
ভূমিকম্প আতঙ্কে হল থেকে লাফ, ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী আহত

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে আরেক হেনস্তাকারী আটক
জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে আরেক হেনস্তাকারী আটক

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

উরুর চোটে মাঠের বাইরে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল
উরুর চোটে মাঠের বাইরে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪
নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ

৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ
এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ

৫ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান
রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন
পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে
মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর
শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন
পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন

৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন
চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

৬ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর
ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর

৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ
স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুগদায় ভবনের ছাদের রেলিং ধসে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু
মুগদায় ভবনের ছাদের রেলিং ধসে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?
কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি
মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই
পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম
ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা
শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা

শোবিজ

৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের
৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সেই শাবানা এই শাবানা
সেই শাবানা এই শাবানা

শোবিজ

প্রশাসনিক চাঁদাবাজি
প্রশাসনিক চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন
সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ
ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন
পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন

মাঠে ময়দানে

সেই কলমতর
সেই কলমতর

শোবিজ

আলোছায়ায় মেহজাবীন
আলোছায়ায় মেহজাবীন

শোবিজ

বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ
বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব
সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে

মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার
মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার

মাঠে ময়দানে

হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে
হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ
বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ

নগর জীবন

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

মাঠে ময়দানে

নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

পেছনের পৃষ্ঠা

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়

পেছনের পৃষ্ঠা

সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে  - প্রধান উপদেষ্টা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে - প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই

নগর জীবন

ব্রিটেনে নতুন ইমিগ্রেশন নীতি, বাংলাদেশিদের জন্য দুঃস্বপ্ন
ব্রিটেনে নতুন ইমিগ্রেশন নীতি, বাংলাদেশিদের জন্য দুঃস্বপ্ন

পেছনের পৃষ্ঠা

সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া, বাড়ছে পিঁয়াজের ঝাঁজ
সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া, বাড়ছে পিঁয়াজের ঝাঁজ

পেছনের পৃষ্ঠা

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী

নগর জীবন

ভূমিকম্পে ভয়ে ৮০ জন নারী অজ্ঞান
ভূমিকম্পে ভয়ে ৮০ জন নারী অজ্ঞান

নগর জীবন

জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ
জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

ঝিনাইগাতীতে তিন দিনব্যাপী ওয়ানগালা উৎসব শুরু
ঝিনাইগাতীতে তিন দিনব্যাপী ওয়ানগালা উৎসব শুরু

পেছনের পৃষ্ঠা

১১ মাসে অপহৃত ৫ শতাধিক
১১ মাসে অপহৃত ৫ শতাধিক

পেছনের পৃষ্ঠা