শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ আপডেট:

মীর কাসেম আলী ফাঁসি কার্যকর রাত ১০:৩৫

চট্টগ্রামের কসাইয়ের ফাঁসি

কার্যকর করেন চার জল্লাদ দাফন মানিকগঞ্জে
মির্জা মেহেদী তমাল, আহমেদ আল আমীন, আলী আজম ও শেখ সফিউদ্দিন জিন্নাহ্
প্রিন্ট ভার্সন
চট্টগ্রামের কসাইয়ের ফাঁসি

একাত্তরের ভয়ংকর খুনিবাহিনী আলবদরপ্রধান ও চট্টগ্রামের কসাই মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। আইজি (প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, শনিবার রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে (কারাগারের ঘড়ি অনুযায়ী) গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ফাঁসির মঞ্চে দড়িতে ঝুলিয়ে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এ সময় কাশিমপুর ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

কারাসূত্র জানায়, জল্লাদ শাহজাহানের নেতৃত্বে ছয়জন জল্লাদ ফাঁসির কাজ সম্পন্ন করেন। ২০ মিনিট ধরে ফাঁসির দড়িতে ঝুলে থাকার পর কাসেমের নিথর দেহ নিচে নামিয়ে আনা হয়। পরে তার পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়। ফাঁসির চার ঘণ্টা আগে পরিবারের সদস্যরা কারাগারে গিয়ে মীর কাসেম আলীর সঙ্গে শেষ সাক্ষাৎ করেন। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম আলম, অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক রেহানুল আলম, সিভিল সার্জন ডা. আলী হায়দার খান, আইজি (প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন, জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক প্রশান্ত কুমার বণিক, জেলার মো. নাশির আহমেদ, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এ এস এম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান, গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন উর রশিদসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ফাঁসির এ দণ্ড কার্যকর করা হয়। এর মধ্য দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তি দিয়ে কলঙ্কমোচনের পথে এগিয়ে গেল দেশ। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে এটি ফাঁসি কার্যকরের ষষ্ঠ ঘটনা। মানবতাবিরোধী অপরাধী মীর কাসেম রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাননি। রায় কার্যকরের পর ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী গোসল করিয়ে কাফনের কাপড়ে মুড়িয়ে কফিনে ভরা হয় মরদেহ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কড়া প্রহরায় গতকাল রাতেই কাসেমের লাশ নিয়ে যাওয়া হয় তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জে। সেখানে তার লাশ দাফন করা হবে বলে স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন জানিয়েছেন। এদিকে আমাদের মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, মানবতাবিরোধী অপরাধী মীর কাসেম আলীর মরদেহ মানিকগঞ্জে দাফন করতে দেওয়া হবে না বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন এলাকাবাসী। রাতে কারাগারের গেট দিয়ে কাসেমের লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স বের হলে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে কেন্দ্রীয় কারাগারের আশপাশ প্রকম্পিত করে জনতা। মুক্তিযুদ্ধের ৪৫ বছর পর চট্টগ্রামের এই জল্লাদের ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ উল্লাসে ফেটে পড়ে। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের আগমুহূর্তে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার নীল নকশা হাতে নিয়ে বুদ্ধিজীবী নিধনযজ্ঞ চালিয়েছিল পাকিস্তানি সেনা ও গুপ্তঘাতক আলবদর বাহিনী। সেই গুপ্তঘাতক আলবদর বাহিনীর চট্টগ্রামের জল্লাদ ছিলেন মীর কাসেম। আর তাই স্বাধীনতার পর দীর্ঘ ৪৫ বছর পেরিয়ে গেলেও ফাঁসির দড়িতে তাকে ঝুলতেই হলো। ফাঁসির এ রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে শেষ হলো কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম পর্ব।

ফাঁসি কার্যকরের পর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে বেশ গুরুত্ব দিয়ে তা প্রচার করা হয়। ফাঁসির এ সংবাদে মুহূর্তেই উল্লাসে ফেটে পড়ে কাশিমপুর কারাগারের সামনে জাতীয় পতাকা হাতে সমবেত শত শত মানুষ। আনন্দে আত্মহারা তখন গোটা বাংলাদেশ। রাতেই রাজপথে নেমে আসে জনতা। ‘ফাঁসি হলো, ফাঁসি হলো/ মীর কাসেমের ফাঁসি হলো’, ‘জয় বাংলা’ এমন সব স্লোগানে মুখরিত হয় রাজপথ। এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ফাঁসির রায় কার্যকর হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধে এই পাঁচটি ফাঁসি নাজিমউদ্দিন রোডের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কার্যকর হলেও মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় কাশিমপুর কারাগারে। কারাগার সূত্র জানায়, বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে ফাঁসি কার্যকরের নির্বাহী আদেশ পৌঁছায় কারাগারে। রাত ৮টা ৪৮ মিনিটে কারাভ্যন্তরে প্রবেশ করেন আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন। রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে কারাগারে প্রবেশ করেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা সিভিল সার্জন। পুলিশের এসপি হারুন উর রশিদ ও অন্য কর্মকর্তারাও এ সময় কারাগারে ঢোকেন। ছিলেন র‌্যাব-১ অধিনায়ক তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ। ১০টা ৩৫ মিনিটে ফাঁসি কার্যকরের পর রাত ১১টার দিকে এই কর্মকর্তারা কারাগার থেকে বেরিয়ে যান।

ফাঁসির শেষ প্রস্তুতি : কারা সূত্র জানায়, বিকালে স্বজনরা কারাগারে যাওয়ার পর মীর কাসেম বুঝতে পারেন, তার হাতে আর বেশি সময় নেই। রাতেই তাকে ঝোলানো হবে। সন্ধ্যায় কারাগার থেকে স্বজনরা বের হওয়ার পর থেকেই মূলত তাকে ফাঁসির মঞ্চে নেওয়ার প্রস্ততি শুরু হয়। দুজন কারারক্ষী এ সময় কাশিমপুর কারাগারের পার্ট-২-এর ৪০ নম্বর কনডেম সেলে যান। সেখানে গিয়ে তারা মীর কাসেমকে মঞ্চে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেন। মীর কাসেম এ সময় দোয়া-দরুদ পড়ছিলেন। তিনি গোসল সেরে বসে থাকেন। এরপর তিনি নামাজ আদায় করেন। রাত ৯টার দিকে কারা মসজিদের পেশ ইমাম মো. হেলাল উদ্দিন তাকে তওবা পড়ানোর জন্য যান। কিন্তু কাসেম আলী নিজেই তওবা পড়বেন বলে জানালে ইমাম সেখান থেকে চলে আসেন। এ সময় একটু শব্দ করে দোয়া-দরুদ পড়তে থাকেন তিনি। ফাঁসি কার্যকরের পর লাশ বহনের জন্য তিনটি অ্যাম্বুলেন্স কারাগারে প্রবেশ করে রাত ৯টায়। সময় যত গড়াতে থাকে টেনশনও বাড়তে থাকে সর্বমহলে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর থেকে কঠোরতর নিরাপত্তা-বেষ্টনী গড়ে তোলে। পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি ঘিরে রাখে কাশিমপুর কারাগারের চারপাশ।

প্রস্তুত জল্লাদ : সূত্র জানায়, ফাঁসি কার্যকর করতে গতকাল দুপুরের পর কারাগারের ভেতরে মঞ্চে চূড়ান্ত মহড়ায় চার জল্লাদ অংশ নেন। এরা হলেন শাহজাহান, দ্বীন ইসলাম, রিপন ও শাহীন। রাতে সাড়ে ৯টায় ফাঁসির মঞ্চে অবস্থান নেন তারা।

ফাঁসির মঞ্চে মীর কাসেম : রাত সাড়ে ৯টায় ফাঁসির মঞ্চের চারপাশে অবস্থান নেন জল্লাদ ও সশস্ত্র কারারক্ষীরা। ১০টার দিকে দুজন জল্লাদ ৪০ নম্বর কনডেম সেলে মীর কাসেম আলীকে আনতে যান। মঞ্চে আনার পর মীর কাসেমকে চার-পাঁচজন জল্লাদ যমটুপি পরিয়ে হাত ধরে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যান। মঞ্চে তোলার পর তার গলায় ফাঁসির দড়ি পরানো হয়। রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে জেলা প্রশাসক ও ম্যাজিস্ট্রেটের সংকেত পেয়ে জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক প্রশান্ত কুমার বণিক তার হাতে থাকা রুমাল মাটিতে ফেলে দেন। সঙ্গে সঙ্গে প্রধান জল্লাদ শাহজাহান লিভার টেনে ফাঁসি কার্যকরে সহযোগিতা করেন। সিভিল সার্জন ডা. আলী হায়দার খান মীর কাসেমের মৃত্যু নিশ্চিত করেন।

কারাগারে দিনভর ব্যস্ততা : মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে কারাগারে ছিল দিনভর ব্যস্ততা। কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে এ পর্যন্ত তিনটি অ্যাম্বুলেন্স ও র‌্যাব পুলিশের মোট ৯টি গাড়ি প্রবেশ করে। রাত ৮টা ৫০ মিনিটে পুলিশ ও র‌্যাবের পাহারায় অ্যাম্বুলেন্সগুলো কারাগারে প্রবেশ করে। অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে প্রবেশ করেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন উর রশীদ। এদিকে গতকাল বেলা ২টার দিকে কারাগারে প্রবেশ করেন অতিরিক্ত আইজি (প্রিজন) কর্নেল ইকবাল কবির। বিকেল ৪টায় প্রবেশ করেন ঢাকা বিভাগের ডিআইজি গোলাম হায়দার। এ ছাড়া সন্ধ্যা ৭টায় আইজি (প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন কারাগারে প্রবেশ করেন। এ সময় একই সঙ্গে গাজীপুরের সিভিল সার্জন আলী হায়দার খানও কারাগারে প্রবেশ করেন বলে জানা গেছে। রাত ৯টা ৩৭ মিনিটে জেলা প্রশাসক এস এম আলম, অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক রেহানুল আলম ও সিভিল সার্জন আলী হায়দার খান কারাগারে ঢোকেন। কারাগারের জেলার মো. নাশির আহমেদ জানান, মীর কাসেম আলীর ফাঁসির নির্বাহী আদেশ আজ (গতকাল) বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে কাশিমপুর কারাগারে এসে পৌঁছায়। দণ্ড কার্যকরের আগে কাশিমপুর কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। কারাগারের আশপাশ এলাকায় নেওয়া হয় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। সকাল থেকেই কারাগার ও আশপাশ এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়। মোতায়েন করা হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য। কারাগারের মূল ফটক থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কে বসানো হয় কয়েকটি নিরাপত্তা-চৌকি। নাশকতা মোকাবিলায় পুরো গাজীপুরে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়। সন্ধ্যা ৬টায় জারি করা হয় রেড অ্যালার্ট। তা আজ ভোর ৬টা পর্যন্ত বহাল থাকার কথা। কারাগার এলাকার বাসিন্দা, সাংবাদিক, পুলিশ, র‌্যাব, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যসহ নির্বাচিত কিছু মানুষ ছাড়া আর কাউকে ওই এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। অদূরে উত্সুক জনতা জটলা করে। এ বিষয়ে র?্যাব-১-এর উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) মোহাম্মদ শাহজাহান সাংবাদিকদের বলেন, কয়েকটি স্তরে নিরাপত্তাবলয় সৃষ্টি করা হয়। কাশিমপুর কারাগার থেকে হাইওয়ে পর্যন্ত সড়কে সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়।

কারাগারে পরিবার : মীর কাসেমের সঙ্গে শেষ সাক্ষাতের জন্যে পরিবারের ৩৮ সদস্য কারাগারে যান। বেলা ৩টা ৩৫ মিনিটে ছয়টি মাইক্রোবাসে করে মীর কাসেমের স্ত্রী, মেয়ে, পুত্রবধূসহ পরিবারের ৪৭ জন সদস্য সাক্ষাতের জন্য কারাফটকে উপস্থিত হন। তাদের মধ্যে ৩৮ জনকে দেখা করতে ভেতরে যেতে দেওয়া হয়। তারা সাক্ষাৎ পান বিকাল ৫টায়। সাক্ষাৎ শেষে সন্ধ্যা ৬টা ৩৮ মিনিটে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন তারা।

‘তোমাদের জান্নাতে নেব’ : মীর কাসেমের স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন কারাগার থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, তার স্বামী মীর কাসেম আলী বলেছেন, ‘আমি মৃত্যুকে ভয় পাই না। এই মৃত্যুতে আমি বিচলিত নই।’ মীর কাসেম বলেন, ‘আমি আশাবাদী ছিলাম, অন্তত শেষ সময়ে ছেলেকে দেখতে পাব। আমার ছেলেকে দেখা করতে দেওয়া হলো না। এর পরও আমি আশাবাদী, ছেলেকে দেখতে পাব।’ স্ত্রীকে মীর কাসেম বলেছেন, ‘আমি জান্নাতে যাচ্ছি। জান্নাতে গিয়ে তোমাদেরও জান্নাতে নেওয়ার ব্যবস্থা করব। সবার ভাগ্যে শহীদি মৃত্যু জোটে না। আমি সৌভাগ্যবান আমার মৃত্যু শহীদি হবে। যারা আমাকে ফাঁসি দিচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্য কখনো সফল হবে না।’ এ সময় মীর কাসেমকে অনেকটা ভারাক্রান্ত দেখা গেছে বলে জানান আয়েশা খাতুন।

হালুয়া খেলেন : পরিবারের সদস্যরা জানান, মীর কাসেমের অতিপ্রিয় খাবার সিলেটের হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজারের হালুয়াসহ বাসা থেকে সেমাই, বিরিয়ানি রান্না করে নেওয়া হয়। তিনি হালুয়া খেলেও সেমাই ও বিরিয়ানি খাননি।

ঘটনাক্রম : মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ২০১২ সালের ১৭ জুন গ্রেফতার হন মীর কাসেম। পরে ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয় তাকে। ২০১৩ সালের ১৬ মে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয় ওই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর। ৩০ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে মামলাটি স্থানান্তর করা হয় ট্রাইব্যুনাল-২-এ। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল যুক্তিতর্ক শুরু করে প্রসিকিউশন। মামলাটি ট্রাইব্যুনালে রায়ের অপেক্ষায় রাখা হয় ওই বছরের ৪ মে। ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করেন। চলতি বছর ৮ মার্চ মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। সেই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি রিভিউ আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩০ আগস্ট রিভিউয়ের আবেদন খারিজ করেন আপিল বিভাগ।

ঘাতক থেকে ধনকুবের : ১৯৫২ সালের ৩১ ডিসেম্বর। মীর কাসেম আলীর জন্ম মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার চালা গ্রামে। ডাকনাম পিয়ারু ওরফে মিন্টু। বাবার চাকরির সুবাদে ছোটবেলায় থাকতেন চট্টগ্রামে। সেখানে জড়িত হন ইসলামী ছাত্রসংঘের রাজনীতিতে। ১৯৭১ সালের ৭ নভেম্বর পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের সাধারণ সম্পাদক হন তিনি। ১৯৭৭ সালে নাম বদল করে তার নেতৃত্বে ইসলামী ছাত্রশিবির হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে সংগঠনটি। মীর কাসেম হন শিবিরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। পরবর্তী সময়ে তিনি যোগ দেন জামায়াতে ইসলামীতে। একাত্তরে চট্টগ্রামে অবস্থানের সময় টর্চার সেল স্থাপন করেন ডালিম হোটেল নামে পরিচিত স্থানীয় মহামায়া হোটেলে। সেখানে নির্যাতন ও হত্যা করা হয় স্বাধীনতার বহু সমর্থককে। ছাত্রসংঘের বাছাই করা কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত আলবদর বাহিনীর তিনি ছিলেন তৃতীয় কমান্ডার।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক, বিশৃঙ্খলা হলে জনগণই প্রতিহত করবে : মানবতাবিরোধী অপরাধে আলবদর নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় কার্যকরের পর দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে, থাকবে বলেই জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। গত রাত সাড়ে ১০টায় রায় কার্যকরের পর এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী বলেন, উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী এ ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। জনগণ যা চেয়েছিল তাদের সে আশা পূরণ হয়েছে।

গণজাগরণ মঞ্চের উল্লাস : যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ায় উল্লাস করেছে গণজাগরণ মঞ্চ। রায় কার্যকরের পর মঞ্চের নেতা-কর্মীরা জয়সূচক ‘ভি’ চিহ্ন দেখিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন। পরে পতাকা মিছিল করেন। মিছিলটি শাহবাগ থেকে শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে পুনরায় শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়। এর আগে গতকাল সন্ধ্যা থেকে মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। অবস্থান চলাকালে মঞ্চের নেতা-কর্মীরা মীর কাসেমসহ সব যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকরের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ সময় প্রতিবাদী গান পরিবেশন করা হয়।

ফাঁসি কার্যকরে ১৪ দলের সন্তোষ : মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকরে সন্তোষ প্রকাশ করেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট।

ক্ষমতাসীন জোটের নেতারা বলেছেন, এ রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে জাতি কলঙ্কমুক্তির পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল। গোটা দেশের মানুষ বাকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও রায় কার্যকর দেখতে চায়। গতকাল রাতে যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকরের পর এই প্রতিবেদককে দেওয়া তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি। দেশবাসী এ বিচার ও বিচারের রায় কার্যকর দেখতে চায়। মীর কাসেম আলীর বিচারের রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে জাতি কলঙ্কমুক্ত হলো। 

কাল আধাবেলা হরতাল ডেকেছে জামায়াত : জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসি কার্যকরের প্রতিবাদে আগামীকাল সোমবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত সারা দেশে শান্তিপূর্ণ হরতালের ডাক দিয়েছে জামায়াত। গতকাল রায় কার্যকরের পর এক বিবৃতিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান এ কর্মসূচি দেন। একই সঙ্গে আজ দেশে-বিদেশে দোয়া পালন করবে দলটি। হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, হজযাত্রীদের বহনকারী যানবাহন, সংবাদপত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গাড়ি এবং ওষুধের দোকান হরতালের আওতামুক্ত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। শফিকুর রহমান দাবি করেন, মীর কাসেম আলী সম্পূর্ণ নির্দোষ। সরকার জামায়াতকে নেতৃত্বশূন্য করার যে ষড়যন্ত্র করছে তারই অংশ হিসেবে মীর কাসেমকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর
ব্যবসার পরিবেশ তেমন উন্নত হয়নি
ব্যবসার পরিবেশ তেমন উন্নত হয়নি
শুরু হচ্ছে ইসির সিরিজ বৈঠক
শুরু হচ্ছে ইসির সিরিজ বৈঠক
উৎসবমুখর রাকসু নির্বাচন, ভোট পড়েছে ৬৯.৮৩ শতাংশ
উৎসবমুখর রাকসু নির্বাচন, ভোট পড়েছে ৬৯.৮৩ শতাংশ
মানবিকের ফলে ধস ইংরেজিতেও বিপর্যয়
মানবিকের ফলে ধস ইংরেজিতেও বিপর্যয়
মৃত্যুকূপে এখনো বিষাক্ত ধোঁয়া
মৃত্যুকূপে এখনো বিষাক্ত ধোঁয়া
হাসিনা অনুকম্পার অযোগ্য, ১৪০০ বার ফাঁসি হওয়া উচিত
হাসিনা অনুকম্পার অযোগ্য, ১৪০০ বার ফাঁসি হওয়া উচিত
স্বাক্ষর করবে না এনসিপি ও চার বাম দল
স্বাক্ষর করবে না এনসিপি ও চার বাম দল
জুলাইয়ে কেউ মাস্টারমাইন্ড ছিল না
জুলাইয়ে কেউ মাস্টারমাইন্ড ছিল না
ইতিহাস রক্ষা করাই আমাদের কাজ
ইতিহাস রক্ষা করাই আমাদের কাজ
ক্ষমতার জন্য দীনকে ব্যবহার না করি
ক্ষমতার জন্য দীনকে ব্যবহার না করি
খালেদা জিয়া মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে
খালেদা জিয়া মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে
বিচার বিভাগ নারীবান্ধব করায় রয়েছে প্রতিবন্ধকতা
বিচার বিভাগ নারীবান্ধব করায় রয়েছে প্রতিবন্ধকতা
সর্বশেষ খবর
দিনাজপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
দিনাজপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু

৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নতুন যুগে মাইক্রোসফট, মুখের কথায় চলবে কম্পিউটার
নতুন যুগে মাইক্রোসফট, মুখের কথায় চলবে কম্পিউটার

৯ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

অনশন শুরু এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
অনশন শুরু এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

৯ মিনিট আগে | জাতীয়

নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে জেলে নিখোঁজ
নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে জেলে নিখোঁজ

১১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাঙামাটিতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে বিজিবি
রাঙামাটিতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে বিজিবি

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

১৬ মাসের গর্ভবতী হিসেবে বিশ্বরেকর্ড করে ফেললাম: সোনাক্ষী
১৬ মাসের গর্ভবতী হিসেবে বিশ্বরেকর্ড করে ফেললাম: সোনাক্ষী

১৬ মিনিট আগে | শোবিজ

জাকেরকে নিয়ে বিতর্কে মুখ খুললেন ফিল সিমন্স
জাকেরকে নিয়ে বিতর্কে মুখ খুললেন ফিল সিমন্স

১৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

কুয়াকাটায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
কুয়াকাটায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মোংলায় খাল থেকে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার
মোংলায় খাল থেকে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আখাউড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
আখাউড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নোয়াখালীতে মেঘনার ভাঙন রোধে টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি
নোয়াখালীতে মেঘনার ভাঙন রোধে টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিশ্বে প্রায় ৯০ কোটি দরিদ্র মানুষ জলবায়ু বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে : জাতিসংঘ
বিশ্বে প্রায় ৯০ কোটি দরিদ্র মানুষ জলবায়ু বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে : জাতিসংঘ

৪৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বঙ্গোপসাগরে ফের লঘুচাপের আভাস
বঙ্গোপসাগরে ফের লঘুচাপের আভাস

৪৪ মিনিট আগে | জাতীয়

যাত্রাবাড়ীর মেডিবাংলা হাসপাতালের পাশের গলি থেকে কিশোরের লাশ উদ্ধার
যাত্রাবাড়ীর মেডিবাংলা হাসপাতালের পাশের গলি থেকে কিশোরের লাশ উদ্ধার

৪৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

সীমান্তে আত্মঘাতী হামলায় ৭ পাকিস্তানি সেনা নিহত
সীমান্তে আত্মঘাতী হামলায় ৭ পাকিস্তানি সেনা নিহত

৫১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘জোরপূর্বক’ উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘জোরপূর্বক’ উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সংশোধন করা হলো জুলাই সনদ অঙ্গীকারনামার পঞ্চম দফা
সংশোধন করা হলো জুলাই সনদ অঙ্গীকারনামার পঞ্চম দফা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাইবান্ধার দুই কলেজে শতভাগ ফেল
গাইবান্ধার দুই কলেজে শতভাগ ফেল

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

‘জুলাই যোদ্ধা’দের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া
‘জুলাই যোদ্ধা’দের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাদারীপুরে অসহায় প্রতিবন্ধীর পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ
মাদারীপুরে অসহায় প্রতিবন্ধীর পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

মালিবাগে সেই ৫০০ ভরি স্বর্ণ চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ৪
মালিবাগে সেই ৫০০ ভরি স্বর্ণ চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ৪

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে অন্য ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ১
দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে অন্য ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ১

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে বেড়েছে ডিমের দাম, সবজির বাজারেও আগুন
রাজধানীতে বেড়েছে ডিমের দাম, সবজির বাজারেও আগুন

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

খাগড়াছড়িতে বাস উল্টে নিহত ২, আহত ১২
খাগড়াছড়িতে বাস উল্টে নিহত ২, আহত ১২

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সবজির দাম আকাশছোঁয়া
সবজির দাম আকাশছোঁয়া

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অমলের পরিবারের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান
অমলের পরিবারের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোপালগঞ্জে ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু, গ্রেফতার ১
গোপালগঞ্জে ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু, গ্রেফতার ১

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কু‌ড়িগ্রামে নারী-শিশুসহ ১১ রো‌হিঙ্গা আটক
কু‌ড়িগ্রামে নারী-শিশুসহ ১১ রো‌হিঙ্গা আটক

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভোমরা স্থলবন্দরকে ‘কাস্টমস হাউজ’ ঘোষণা
ভোমরা স্থলবন্দরকে ‘কাস্টমস হাউজ’ ঘোষণা

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভারতে তিন বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যায় ঢাকার তীব্র নিন্দা
ভারতে তিন বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যায় ঢাকার তীব্র নিন্দা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
শনিবার খোলা থাকবে ব্যাংক
শনিবার খোলা থাকবে ব্যাংক

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড বাংলাদেশের
ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড বাংলাদেশের

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কেন সমুদ্রে বিস্ফোরিত হয় আলোচিত ডুবোযান টাইটান, জানাল যুক্তরাষ্ট্র
কেন সমুদ্রে বিস্ফোরিত হয় আলোচিত ডুবোযান টাইটান, জানাল যুক্তরাষ্ট্র

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানাল ঐকমত্য কমিশন
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানাল ঐকমত্য কমিশন

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলি হামলায় হুথির সামরিক প্রধান নিহত
ইসরায়েলি হামলায় হুথির সামরিক প্রধান নিহত

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০২৬ সালের ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছেন জ্যোতির্বিদরা
২০২৬ সালের ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছেন জ্যোতির্বিদরা

১৮ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

‘ভারত-সমর্থিত’ ৩৪ সন্ত্রাসীকে হত্যা করল পাকিস্তান
‘ভারত-সমর্থিত’ ৩৪ সন্ত্রাসীকে হত্যা করল পাকিস্তান

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেভাবে মিলবে একীভূত পাঁচ ব্যাংকের আমানত
যেভাবে মিলবে একীভূত পাঁচ ব্যাংকের আমানত

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মেট্রোরেল চলাচলের নতুন সময়সূচি প্রকাশ
মেট্রোরেল চলাচলের নতুন সময়সূচি প্রকাশ

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপির
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপির

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মালিবাগে সেই ৫০০ ভরি স্বর্ণ চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ৪
মালিবাগে সেই ৫০০ ভরি স্বর্ণ চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ৪

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভিপি-এজিএস শিবিরের মোস্তাকুর-সালমান, জিএস আম্মার
ভিপি-এজিএস শিবিরের মোস্তাকুর-সালমান, জিএস আম্মার

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন আহমেদের রাষ্ট্রীয় ফিউনারেল প্যারেড অনুষ্ঠিত
বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন আহমেদের রাষ্ট্রীয় ফিউনারেল প্যারেড অনুষ্ঠিত

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাকসুতে বিজয়ীদের সংবর্ধনা দিলেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক
চাকসুতে বিজয়ীদের সংবর্ধনা দিলেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রাকুসতে ছাত্রদলের প্যানেলে থেকে একমাত্র বিজয়ী ফুটবলার নার্গিস
রাকুসতে ছাত্রদলের প্যানেলে থেকে একমাত্র বিজয়ী ফুটবলার নার্গিস

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বসুন্ধরা কমিউনিটি পার্ক উদ্বোধন
বসুন্ধরা কমিউনিটি পার্ক উদ্বোধন

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাখো মানুষের হাতে মশাল, ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে উত্তাল উত্তরাঞ্চল
লাখো মানুষের হাতে মশাল, ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে উত্তাল উত্তরাঞ্চল

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শতাব্দীর সেরা ডিভোর্সে ১ বিলিয়ন ডলার থেকে মুক্তি পেলেন দ. কোরিয়ার ধনকুবের
শতাব্দীর সেরা ডিভোর্সে ১ বিলিয়ন ডলার থেকে মুক্তি পেলেন দ. কোরিয়ার ধনকুবের

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই সনদের ৫ নম্বর দফা সংশোধনের প্রস্তাব সালাহউদ্দিন আহমদের
জুলাই সনদের ৫ নম্বর দফা সংশোধনের প্রস্তাব সালাহউদ্দিন আহমদের

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ছাত্রদলের ৪ নেতা বহিষ্কার
ছাত্রদলের ৪ নেতা বহিষ্কার

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নেত্রকোনায় প্রধান শিক্ষকের রহস্যজনক মৃত্যু, স্ত্রী গ্রেফতার
নেত্রকোনায় প্রধান শিক্ষকের রহস্যজনক মৃত্যু, স্ত্রী গ্রেফতার

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নিয়ন্ত্রণে আসেনি সিইপিজেডের আগুন, ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে কারখানার ভবন
নিয়ন্ত্রণে আসেনি সিইপিজেডের আগুন, ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে কারখানার ভবন

২০ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রাকসু নির্বাচনে কোন পদে কারা জয়ী
রাকসু নির্বাচনে কোন পদে কারা জয়ী

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কেনিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর লাশ দেখতে গিয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহত ৪
কেনিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর লাশ দেখতে গিয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহত ৪

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এইচএসসি পরীক্ষায় ক্যাডেট কলেজগুলোর ঈর্ষণীয় সাফল্য
এইচএসসি পরীক্ষায় ক্যাডেট কলেজগুলোর ঈর্ষণীয় সাফল্য

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সিইপিজেডের আগুন, ধসে গেছে ভবনের ছাদ
প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সিইপিজেডের আগুন, ধসে গেছে ভবনের ছাদ

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রাকসু নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৬৯.৮৩ শতাংশ, চলছে গণনা
রাকসু নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৬৯.৮৩ শতাংশ, চলছে গণনা

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত হলেন হানিয়া আমির
জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত হলেন হানিয়া আমির

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে ইরাক
বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে ইরাক

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
গাজায় ফের যুদ্ধের শঙ্কা
গাজায় ফের যুদ্ধের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির মনোনয়ন চান নারী নেত্রীসহ চারজন
বিএনপির মনোনয়ন চান নারী নেত্রীসহ চারজন

নগর জীবন

ছোট হয়েছে রুটি, বেড়েছে দাম
ছোট হয়েছে রুটি, বেড়েছে দাম

পেছনের পৃষ্ঠা

নিখোঁজ হবিগঞ্জের ৩৫ যুবক থামছে না স্বজনদের কান্না
নিখোঁজ হবিগঞ্জের ৩৫ যুবক থামছে না স্বজনদের কান্না

পেছনের পৃষ্ঠা

নিগারদের পাত্তাই দিল না অস্ট্রেলিয়া
নিগারদের পাত্তাই দিল না অস্ট্রেলিয়া

মাঠে ময়দানে

মালেক পরিবারের সবাই মিলে লুটপাট
মালেক পরিবারের সবাই মিলে লুটপাট

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিএনপির অর্ধডজন জামায়াতের একক প্রার্থী
বিএনপির অর্ধডজন জামায়াতের একক প্রার্থী

নগর জীবন

জুলাইয়ে কেউ মাস্টারমাইন্ড ছিল না
জুলাইয়ে কেউ মাস্টারমাইন্ড ছিল না

প্রথম পৃষ্ঠা

সিইপিজেডে ভয়াবহ আগুন
সিইপিজেডে ভয়াবহ আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

ডাকসু-জাকসু-চাকসুর প্রতিচ্ছবি আগামীতে জাতি দেখবে
ডাকসু-জাকসু-চাকসুর প্রতিচ্ছবি আগামীতে জাতি দেখবে

প্রথম পৃষ্ঠা

পাকিস্তানের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির ধ্বংসাবশেষ অপসারণ
পাকিস্তানের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির ধ্বংসাবশেষ অপসারণ

পেছনের পৃষ্ঠা

ঐকমত্য কমিশন জাতিকে বিভক্ত করেছে
ঐকমত্য কমিশন জাতিকে বিভক্ত করেছে

নগর জীবন

ইতিহাস রক্ষা করাই আমাদের কাজ
ইতিহাস রক্ষা করাই আমাদের কাজ

প্রথম পৃষ্ঠা

মানবিকের ফলে ধস ইংরেজিতেও বিপর্যয়
মানবিকের ফলে ধস ইংরেজিতেও বিপর্যয়

প্রথম পৃষ্ঠা

খালেদা জিয়া মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে
খালেদা জিয়া মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে

প্রথম পৃষ্ঠা

শতভাগ পাসে নেই নামিদামি কলেজ
শতভাগ পাসে নেই নামিদামি কলেজ

নগর জীবন

আয়ুপথ
আয়ুপথ

সাহিত্য

ধর্ম অবমাননা কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের ফল
ধর্ম অবমাননা কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের ফল

সম্পাদকীয়

হাসিনার আমলে অনেক নেতার নামে মামলাও হয়নি
হাসিনার আমলে অনেক নেতার নামে মামলাও হয়নি

নগর জীবন

জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার অবশ্যই হবে
জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার অবশ্যই হবে

নগর জীবন

‘ভারত-সমর্থিত’ ৩৪ সন্ত্রাসীকে হত্যা করল পাকিস্তান
‘ভারত-সমর্থিত’ ৩৪ সন্ত্রাসীকে হত্যা করল পাকিস্তান

পূর্ব-পশ্চিম

শুরু হচ্ছে ইসির সিরিজ বৈঠক
শুরু হচ্ছে ইসির সিরিজ বৈঠক

প্রথম পৃষ্ঠা

নতজানু
নতজানু

সাহিত্য

সমাজমাধ্যমে প্রচার প্রচারণায় মানতে হবে সাত নির্দেশনা
সমাজমাধ্যমে প্রচার প্রচারণায় মানতে হবে সাত নির্দেশনা

পেছনের পৃষ্ঠা

ভালো নির্বাচনের পথে যত বাধা
ভালো নির্বাচনের পথে যত বাধা

সম্পাদকীয়

ভোট নিয়ে কোনো আপস নয়
ভোট নিয়ে কোনো আপস নয়

নগর জীবন

নৌবাহিনীতে চাকরির নামে প্রতারণায় দুজন গ্রেপ্তার
নৌবাহিনীতে চাকরির নামে প্রতারণায় দুজন গ্রেপ্তার

নগর জীবন

আইসিসিবিতে জমজমাট দুই মেলা
আইসিসিবিতে জমজমাট দুই মেলা

নগর জীবন

ক্যাপিটাল ড্রামায় ‘খুঁজি তোকে’
ক্যাপিটাল ড্রামায় ‘খুঁজি তোকে’

শোবিজ