সোমবার, ৬ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা তবু শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন নয় : গয়েশ্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক

কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা তবু শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন নয় : গয়েশ্বর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, প্রয়োজনে কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে, তবুও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে জাতীয় নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। নির্বাচনে না গেলে দলের নিবন্ধন থাকবে না, এ ধরনের জুজুর ভয় দেখিয়ে আর কোনো লাভ নেই। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন-সংগ্রামের বিকল্প নেই।

গতকাল দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘শহীদ জিয়া শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ’ নামের একটি সংগঠন ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কাজী মুনিরুজ্জামান, বিএনপি নেতা আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুউল্লাহ, ন্যাপের মহাসচিব  গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, শুধু ক্ষমতায় যাওয়া বিএনপির লক্ষ্য নয়। আমাদের আন্দোলন মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন। এজন্য আমাদের আরও ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। তিনি বলেন, মানুষের মনে এখন আর আওয়ামী লীগের জায়গা নেই। প্রতিপক্ষকে হাত-পা বেঁধে সাঁতার কাটতে দিলে হবে না। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে নৌকার তলা ফেটে যাবে। আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আজকে যারা কথায় কথায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলেন, তাদের সঙ্গেই রাজাকারের আত্মীয়তা সবচেয়ে বেশি। কত রাজাকার উঠে আসে আওয়ামী লীগের ঘরে কারেন্ট জাল ফেললে তা দেখা যাবে। জামায়াতে ইসলামীকে লাইসেন্সবিহীন রাজনৈতিক দল আখ্যা দিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, লাইসেন্সবিহীন এই রাজনৈতিক দলের ভয়ে আপনারা আতঙ্কিত কেন? তিনি বলেন, আমাদের বলা হয়, জামায়াতকে ছাড়তে হবে। কিন্তু জামায়াতকে আমাদের ছাড়তে হবে কেন? জামায়াতের তো নিবন্ধনই  নেই, আদালতের নির্দেশে জামায়াতের নিবন্ধন তো স্থগিত রয়েছে। তাহলে তাদের ছাড়লেই কী আর না ছাড়লেই কী?

বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, কিছুদিন আগে খালেদা জিয়াকে জেল দিয়ে দিল ওবায়দুল কাদের, হাছান মাহমুদ আর মাহবুব-উল আলম হানিফ। এখন সুর পাল্টাচ্ছে নির্বাচনে না আসলে বিএনপির নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে। যে লাইসেন্সে কোনো কাজ হয় না, সেই লাইসেন্স থাকলেই কী, না থাকলেই কী? ১৯৯৬ সালের জামায়াতকে নিয়ে বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের আন্দোলনের কথা বর্ণনা করে গয়েশ্বর রায় বলেন, এটা ছিল আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কৌশল। আর আমরা যখন তাদের নিয়ে ভোট করি, মিছিল-আন্দোলন করি তখন বিএনপি হয়ে যায় রাজাকার। আগামী নিবার্চন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু করলে নৌকার মাঝি ডুবে যাবে। তবে নৌকা ডুবে যাওয়ার ভয় নাই, কারণ পদ্মায় পানি নাই। নৌকা না ডুবলেও তার তলা ফেটে যাবে।

সর্বশেষ খবর