দুই পীরের মতাদর্শ ও অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরেই পরিকল্পিতভাবে বোচাগঞ্জের কথিত পীর ফরহাদ হোসেন চৌধুরী এবং তার পালিত কন্যা ও মুরিদ রূপালী বেগমকে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী কুড়িগ্রামের আরেক কথিত পীর ইসাহাক আলী। আর এ কিলিং মিশনে ছিলেন ছয়জন। যার মধ্যে কাদরিয়া মোহাম্মদী দরবারের প্রধান খাদেম সাইদুর রহমানও রয়েছেন। গতকাল পুলিশ সুপার হামিদুল আলম সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান। তিনি জানান, দিনাজপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আটক কথিত পীর ইসাহাক আলী ও বোচাগঞ্জ উপজেলার দৌলা এলাকায় কাদরিয়া মোহাম্মদী দরবারের খাদেম সাইদুর রহমান। বিচারক এফ এম আহসানুল হকের কাছে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পুলিশ সুপার হামিদুল আলম জানান, হত্যাকাণ্ডে ছয়জন জড়িত। এরা ১৩ মার্চ সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটিয়েছেন। এদের মধ্যে আটক খাদেম সাইদুর ওই দরবারের দরজায় নক করলে মুরিদ রূপালী দরজা খুলে দেন। এ সময় দুজন রূপালীর মুখ চেপে নিয়ে যান এবং অন্যরা আরেক কক্ষে পীর ফরহাদকে শ্বাসরোধ ও এরপর গুলি করে হত্যা করে।