দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়াও দুর্নীতির আওতামুক্ত নয় বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। তিনি বলেন, যেসব জনপ্রতিনিধি অবৈধ উপায়ে বা দুর্নীতির মাধ্যমে নির্বাচনে জয়যুক্ত হন, তাদের নির্বাচনের কোনো বৈধতা থাকে না। তিনি আরও বলেন, ইসি যদি সরকার বা রাজনৈতিক দলের অঙ্গুলিহেলনে আন্দোলিত হয়, তাহলে কমিশনের স্বাধীন সত্তার বিকাশ ও প্রকাশ সম্ভব নয়। গতকাল আগারগাঁওয়ের ইটিআই ভবনে ‘ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম যুগোপযোগীকরণ এবং ভোটার নিবন্ধন সংক্রান্ত ফরমসমূহ পুনর্বিন্যাসকরণ’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি। মাহবুব তালুকদার বলেন, ইসি, ইসি সচিবালয় ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ দুঃখজনক। একটি দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছ নির্বাচন কমিশন সর্বদাই জাতির প্রত্যাশা। তিনি বলেন, যে সব জনপ্রতিনিধি অবৈধ উপায়ে বা দুর্নীতির মাধ্যমে নির্বাচনে জয়যুক্ত হন, তাদের নির্বাচনের কোনো বৈধতা থাকে না। জনগণের প্রতি অবৈধ জনপ্রতিনিধিদের দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতার প্রশ্ন ওঠে না। এতে গণতন্ত্র সুসংহত ও যথাযথভাবে সংরক্ষিত হতে পারে না। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাই জাতির অভীষ্ট। গণতন্ত্রবিহীন জাতি আত্মমর্যাদাহীন। আমরা বিশ্বসভায় মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে আত্মপরিচয় সমুন্নত রাখতে চাই। তিনি বলেন, কোনো সুষ্ঠু সুন্দর আইনানুগ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পূর্বশর্তই হলো সুষ্ঠু, সত্য ও বিশ্বস্ত ভোটার তালিকা। ভোটার তালিকা তৈরির সূচনা থেকে ভোটের ফল প্রকাশ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা অক্ষুণœ না থাকলে সমগ্র নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে। এতে বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য স্বাভাবিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে না। এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, এবারের ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম যুগোপযোগীকরণের পর সামনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। রোহিঙ্গারা যাতে ছলে, বলে বা কৌশলে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে সে জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা প্রয়োজন।

রোহিঙ্গাদের ভোটার করার বিষয়ে যদি কোনো নির্বাচন কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।