মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
সংসদে পত্রিকার তালিকা

বাংলাদেশ প্রতিদিনই শীর্ষে

নিজস্ব প্রতিবেদক

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সংসদে জানিয়েছেন, দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রিন্ট মিডিয়ার সংখ্যা ৩ হাজার ১৬৫টি। সরকারি টিভি চ্যানেল চারটি, বেসরকারি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারে রয়েছে ৩০টি। এ সময় ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকার যে তালিকা দেন তাতে প্রথমেই রয়েছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। এরপর রয়েছে পর্যায়ক্রমে প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, ইত্তেফাক ও জনকণ্ঠের নাম।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনে গতকালের বৈঠকে সরকারি দলের শামসুল হক টুকুর প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব তথ্য তুলে ধরেন। তথ্যমন্ত্রী আরও জানান, রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ বেতার দেশব্যাপী ১৪টি আঞ্চলিক কেন্দ্রের মাধ্যমে সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পাশাপাশি বেসরকারি খাতে ২৩টি বাণিজ্যিক এফ.এম ও ১৮টি কমিউনিটি রেডিও বেতার সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ ছাড়া তিনি সংসদকে আরও জানান, দেশে সরকারি প্রিন্ট মিডিয়ার সংখ্যা একটি দৈনিক বার্তা। রাজশাহী থেকে প্রকাশিত এই পত্রিকাটি ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। প্রশ্নের উত্তরের পরিশিষ্ট হিসেবে সারা দেশের দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক পত্রিকার তালিকা তুলে ধরেন।

অনলাইনের জন্য ৩৫৯৭ আবেদন : মোহাম্মদ আফজাল হোসেনের (কিশোরগঞ্জ-৫) তারকাচিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ জানান, সংবাদপত্র ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করছে। সরকার জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করেছে। জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা, তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন ও তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠাসহ অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। সরকারের সম্প্রচার নীতিমালার কারণে বর্তমানে বেসরকারি খতে ৪৪টি টেলিভিশন, ২২টি এফএম রেডিও এবং ৩৩টি কমিউনিটি রেডিও চ্যানেলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ সময় তিনি আরও জানান, সম্প্রচার ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নীতিমালা ইতিমধ্যে প্রণীত হয়েছে। এই নীতিমালা অনুযায়ী অনলাইন গণমাধ্যম রেজিস্ট্রেশনের জন্য ২০০৫  সালের ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৫৯৭টি রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন পড়েছে। এসব আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করে তালিকাসহ তথ্য মন্ত্রণালয়ের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, সংবাদপত্র ও সাংবাদিকবান্ধব বর্তমান সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে কোনো রকম হস্তক্ষেপ করছে না এবং এই সেক্টরের মান উন্নয়নের লক্ষ্যে নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার উন্নয়নের জন্য আলাদাভাবে চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ ছাড়াও নবম ওয়েজ বোর্ডের ঘোষণা করা হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মী আইন চূড়ান্তকরণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর