সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

নিরাপত্তা হুমকিতে সম্রাট, ভাইয়ের আবেদন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে

অনুসন্ধানে মাঠে কাজ করছে র‌্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিরাপত্তা হুমকিতে সম্রাট, ভাইয়ের আবেদন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে

যুবলীগের সাবেক নেতা কারাবন্দী ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত তার পরিবার। সম্রাটের নিরাপত্তা চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন তার ছোট ভাই রাসেল চৌধুরী। এদিকে দুবাইয়ে অবস্থানরত বাংলাদেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহমেদ ওরফে মন্টির সহযোগী মো. মাজহারুল ইসলাম শাকিল ওরফে শাকিল মাজহারকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। অস্ত্র মামলায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। সাত দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম মো. শাহিনুর রহমান এ রিমান্ডের আদেশ দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মাদপুর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মোর্শেদ আলম এই আসামিকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদনে রাসেল চৌধুরী বলেন, গ্রেফতারের পর সম্রাট অসুস্থ হয়ে পড়েন। গত দুই মাস ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিইউ-তে চিকিৎসাধীন আছেন সম্রাট। একই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের সহযোগী শাকিল মাজহার। বিভিন্নভাবে জানতে পারি সম্রাটের প্রাণনাশের চেষ্টা করে যাচ্ছিল এই জিসান। এ অবস্থায় সম্রাটের জীবন হুমকির মুখে। গত শনিবার ভোর ৫টার দিকে র‌্যাব-২ মোহাম্মাদপুরের বাসবাড়ী এলাকার ৮২৪নং হোল্ডিংয়ের শাহাবুদ্দিন কনফেকশনারির সামনে বছিলা থেকে শাকিলকে গ্রেফতার করে। ধানমন্ডি জিগাতলাগামী রাস্তায় চেকপোস্টে যানবাহন তল্লাশিকালে এক সিএনজির যাত্রী চেকপোস্টের সামনে থেকে সিএনজি হতে নেমে পালানোর চেষ্টা করে। এরপর তার দেহ তল্লাশি করে তার পরিহিত ট্রাউজারের কোমরে পেছনে গোঁজা ম্যাগাজিনে ছয় রাউন্ড গুলিসহ দুটি অবৈধ বিদেশি পিস্তল পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজেকে শাকিল এবং জিসানের সহযোগী বলে স্বীকার করে।  বিভিন্ন সূত্র জানায়, সম্প্রতি ক্যাসিনোকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সর্বাত্মক অভিযানের পর টালমাটাল হয়ে পড়ে আন্ডারওয়ার্ল্ড। প্রকাশ্যে থাকা দাগি প্রভাবশালী অপরাধীরাও আত্মগোপনে চলে যায়। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে মাঠপর্যায়ের সন্ত্রাসীরা। আন্ডারওয়ার্ল্ডের নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া হয়ে পড়ে তাদের। এ অবস্থায় ফাঁকা আন্ডারওয়ার্ল্ড দখলের নানা মেরুকরণ শুরু হয় শীর্ষ অপরাধীদের মধ্যে। দেশ-বিদেশে এমনকি জেলখানায় বসে ঢাকা দখলে বৈঠক চলে। নির্দেশনা পাঠানো হয় অনুসারীদের কাছে। বিশেষ করে শীর্ষ দুই সন্ত্রাসী নতুন করে মাঠ দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এদের একজন কারাবন্দী কিলার আব্বাস, অপরজন কখনো মধ্যপ্রাচ্য আবার কখনো ইউরোপের কোনো দেশে আত্মগোপনে থাকা জিসান। শাকিলকে এই অপারেশন সাকসেস করতে ঢাকায় পাঠায় জিসান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর