মঙ্গলবার, ৩০ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগ দৃষ্টান্ত রেখেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ দৃষ্টান্ত রেখেছে

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংকটে অসহায় মানুষের পাশে মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দেওয়াই আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য। দুর্যোগে সবার আগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায় আওয়ামী লীগ। জন্মলগ্ন থেকে আজ অবধি বিগত ৭০ বছর মানুষের পাশে থেকে আস্থা অর্জন করেছে মাটি ও মানুষের দল আওয়ামী লীগ। গতকাল দুপুরে সংসদ ভবন এলাকার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়াল ভিডিও কনফারেন্সে এক অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ করোনা সংকটে সারা দেশের অসহায় কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিতকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আওয়ামী লীগের দলীয় নেতা-কর্মী, সহযোগী সংগঠনগুলো এবং জনপ্রতিনিধিরা এ পর্যন্ত এক কোটি ২৫ লাখেরও বেশি পরিবারকে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি ১০ কোটি টাকার বেশি নগদ অর্থ প্রদান করেছেন। করোনা প্রতিরোধে চশমা, মাস্ক, পিপিই, সাবান, স্যানিটাইজার, স্প্রে মেশিনসহ বিভিন্ন সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছেন। সংকটে সাহসী ও পরীক্ষিত নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত পরিশ্রম করছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংকটকালে মানুষের জীবন ও জীবিকার সুরক্ষায় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে, মতামত নিয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। করছেন সমন্বয়। তিনি আমাদের আশার বাতিঘর। তার নেতৃত্বে সবার সহযোগিতায় এ সংকট কাটিয়ে উঠব ইনশাআল্লাহ। সেতুমন্ত্রী বলেন, জাতীয় জীবনে যে কোনো দুর্যোগ ও সংকটে তরুণরা এগিয়ে এসেছে, তাদের সম্মিলিত তারুণ্য অসহায় মানুষের সাহস জোগাবে। আমি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের তরুণ নেতাদের ত্যাগী মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, করোনাকালে দলীয় নেতা-কর্মীরা নিজেদের জীবনের মায়াকে তুচ্ছজ্ঞান করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। এ জন্য অধিক সংখ্যক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ছয়জন নেতা, মন্ত্রিসভার সদস্য, দলীয় সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন। হাসপাতালগুলোতে সমন্বয় গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অসহায় মানুষ রোগী নিয়ে হাসপাতালের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ায়, কোথাও ঠাঁই পায় না। আমি চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় কার্যক্রর সমন্বয় গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি। হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ছোটাছুটি করতে করতে অনেক রোগী পথিমধ্যে মারা যান, এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ আঘাত হানতে শুরু করেছে। পার্শ¦বর্তী দেশে গত রবিবার শনাক্ত হয়েছে প্রায় ২০ হাজার রোগী। এই কঠিন সময়ে যদি আমাদের সচেতনতাবোধ জাগ্রত না হয় তবে কখন হবে? আমাদের নিজেদের মধ্যে যে শক্তি আছে সেটাতে জাগ্রত করতে হবে। নিজেকে এবং চারপাশের মানুষকে বাঁচাতে সুরক্ষাবলয় তৈরির বিকল্প নেই। স্বাস্থ্যবিধির প্রতি উদাসীনতা ও অবহেলা আমাদের জীবনের পথ থেকে ছিটকে দিতে পারে।

সর্বশেষ খবর