শনিবার, ২৭ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

ঢাকা শহরে অঘোষিত কারফিউ চলছে : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ঢাকায় অঘোষিত কারফিউর মতো অবস্থা জারি করা হয়েছে। সরকার জনগণকে বাদ দিয়েই স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী ২৬ মার্চ উদযাপন করছে।

গতকাল দুপুর ১২টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের এদিনে বাংলাদেশের যে অবস্থা বিশেষ করে ঢাকা শহরের, এটা আমাদের কারও কাছে প্রত্যাশিত নয়। জনগণের সাধারণ যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ ৫০ বছর পর দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা দেখলাম, জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা পূরণ হয়নি।

ভারতের               প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকা সফর উপলক্ষে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর কারণে সড়কে যান চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। বিএনপির নেতা-কর্মীরা দলের প্রতিষ্ঠাতার কবরে যেতে পারেননি। জাতীয় স্মৃতিসৌধেও যেতে পারেননি কেন্দ্রীয় নেতারা। পুলিশের অনুমতিতে দলের মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে যান। পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মোনাজাত শেষে তারা ফিরে যান। মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আমাদের সূবর্ণজয়ন্তী পালন করার যে কমিটি ছিল সে কমিটির পক্ষ থেকে আজকে আমাদের অনেক কর্মসূচি ছিল। কিন্তু সেই কর্মসূচি আমরা পালন করতে পারছি না। আমরা আজকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যেতে পারিনি। জেলার নেতৃবৃন্দ সেখানে প্রতীকীভাবে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের রাজনেতিক অর্জন হচ্ছে, আজ ৫০ বছর পরও আমরা স্বাধীন নই। এই আওয়ামী লীগ সরকার বেআইনিভাবে জোর করে ক্ষমতা দখল করে জনগণের অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছে। সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিপন্ন হয়েছে, আমরা শৃঙ্খলিত হয়েছি। তিনি বলেন, এ শৃঙ্খলমুক্ত হওয়ার জন্য আমরা সংগ্রাম করছি। আজকের এদিনে আমরা শপথ নিয়েছি, দেশকে শৃঙ্খলমুক্ত করব। গণতন্ত্রের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আমরা অবশ্যই মুক্ত করব। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনব। ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের শৃঙ্খলিত করা হয়েছে তাদেরও আমরা মুক্ত করব। এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ভারত আমাদের বন্ধুদেশ। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় তারা আমাদের সহযোগিতা করেছে, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বন্ধু দেশের সঙ্গে অমীমাংসিত যেসব সমস্যা রয়েছে বিশেষ করে কোটি মানুষের জীবন-মরণের সমস্যা পানি, অভিন্ন নদীগুলোর পানির হিস্যার কোনো সমাধান হয়নি। ১০ বছর আগে বলা হয়েছে, এই নদীর পানির হিস্যার সমাধান করতে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো চুক্তি হয়নি। আমরা সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই। কিন্তু কেউ আমাদের প্রভু হোক, এটা আমরা কখনো চাই না, বাংলাদেশের মানুষ মেনে নেবে না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর