শনিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

হেফাজত তাণ্ডবে বিএনপি জড়িত

নিজস্ব প্রতিবেদক

হেফাজত তাণ্ডবে বিএনপি জড়িত

ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্থানে হেফাজতে ইসলামের তান্ডবের সব ঘটনায় বিএনপি জড়িত ছিল বলে অভিযোগ তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী এবং উগ্র সাম্প্রদায়িক দানবের প্রকাশ্য পৃষ্ঠপোষক। গতকাল   ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত অসহায়-কর্মহীন মানুষের মাঝে ইফতারসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এ অভিযোগ করেন তিনি। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। রাজধানীর পোস্তগোলায় ইফতারসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী এবং ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির। হেফাজতের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সম্পৃক্ত- বিএনপির এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের এমন কথায় মানুষ হাসে। নিজেদের আড়াল করার জন্য যত কথাই তারা বলুক জনগণ তাদের বিশ্বাস করে না। হেফাজতের সবাই জ্বালাও-পোড়াও সন্ত্রাসে জড়িত এটা আওয়ামী লীগ মনে করে না। হেফাজতের কিছু কিছু নেতা এরই মধ্যে বলেছেন, তারা এই সন্ত্রাসী তান্ডবে বিশ্বাস করেন না। হেফাজতের মধ্যে যারা এই আগুন সহিংসতায় অংশ নিয়েছে তাদের ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করা হচ্ছে। এটা প্রমাণ হয়েছে, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা সোনারগাঁর সব তান্ডবে বিএনপির নেতা-কর্মীরা জড়িত। অপরাধকে অপরাধ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এখানে কোনো দলীয় নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করার বিষয় নেই।

সরকার নাকি দেশকে নরকপুরীতে পরিণত করেছে, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে সরকার নয়, জনগণ মনে করে বিএনপির উসকানিতে একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ২৬ মার্চ দেশের বিভিন্ন স্থানে নরকপুরী বানিয়েছিল। হেফাজত ইস্যুতে বিএনপি যতই কৌশলী অবস্থান গ্রহণ করুক না কেন, থলের বিড়াল বের হতে শুরু করেছে। জনগণের সহায়তায় সরকার সাম্প্রদায়িক দানবীয় অপশক্তিকে মোকাবিলা করেই এগিয়ে যাচ্ছে এবং এগিয়ে যাবে।

কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন দুটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। প্রথমটি হচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা; আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে জীবিকার জন্য খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়ানো। চলমান করোনা সংকটে সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সারা দেশের অসহায়, খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জনপ্রতিনিধি ও দলের নেতা-কর্মীরা শুধু সুরক্ষা সামগ্রী নয়, নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা নিয়েও মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

লকডাউনের কারণে যারা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, সেসব অসহায়, খেটে খাওয়া মানুষ ও ছিন্নমূল, ভাসমান মানুষদের সহায়তা করার জন্য দলের নেতা-কর্মী ও সমাজের সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসার আহ্‌বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনাকে পরাজিত না করা পর্যন্ত দুস্থ, অসহায়দের মাঝে নগদ অর্থ এবং খাদ্যসামগ্রী বিতরণ চলমান রাখতে হবে। তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের করোনা মোকাবিলায় সচেতনতা বৃদ্ধি করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ সেবা দিতে হবে। এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দলের কর্মী হিসেবে নয়, দেশের কর্মী হিসেবে কাজ করতে হবে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর