বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি ও তার মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা। মমতাকে নিয়ে এবারের মন্ত্রিসভায় মোট সদস্য সংখ্যা ৪৪ জন। হেভিওয়েট পুরনো মন্ত্রীদের প্রায় প্রত্যেকেই এবারও জায়গা পেয়েছেন। সেই সঙ্গে ঠাঁই হয়েছে অনেক নতুন মুখও। এই মন্ত্রিসভার শতকরা ২৮ ভাগ সদস্যের বিরুদ্ধে রয়েছে ফৌজদারি মামলা (ক্রিমিনাল কেস)। নির্বাচন কমিশনে জমাকৃত হলফনামা বিশ্লেষণ করে ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস’ (এডিআর) এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল ইলেকশন ওয়াচের জরিপে উঠে এসেছে এই তথ্য। মুখ্যমন্ত্রীসহ ৪৩ জন মন্ত্রীর ওপর বিশ্লেষণ চালানো হয়, নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় ওই বিশ্লেষণে রাখা হয়নি অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে।

তথ্য বলছে, ৪৩ জন মন্ত্রীর মধ্যে ১২ জনের (২৮ ভাগ) বিরুদ্ধে  ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে সাতজনের (১৬ ভাগ) বিরুদ্ধে রয়েছে খুন, অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগের মামলা। এই মন্ত্রিসভায় কোটিপতির সংখ্যা ৩২ জন (৭৪ ভাগ)। ৪৩ জন মন্ত্রীর গড় সম্পত্তির পরিমাণ ৪.২৯ কোটি রুপি। মমতার মন্ত্রিসভায় সবচেয়ে বিত্তবান সদস্য দুর্যোগ মোকাবিলা ও অসামরিক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান। কসবা কেন্দ্র থেকে জয়ী জাভেদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৩২.৩৩ কোটি রুপি। আর কম সম্পত্তির অধিকারী হলেন কম রাজ্যের বন প্রতিমন্ত্রী তথা ঝাড়গ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ও সাঁওতালি অভিনেত্রী বীরবাহা হাঁসদার, সম্পত্তির পরিমাণ ৩.০৬ লাখ রুপি। অন্যদিকে মন্ত্রিসভার ২৪ জন সদস্যের বিরুদ্ধে ঋণের বোঝা রয়েছে, সেক্ষেত্রেও সবার ওপরে রয়েছেন জাভেদ আহমেদ খান, তার দায়ের পরিমাণ ৪১.৫১ কোটি রুপি।