সোমবার, ২৪ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

কারাগার এখন সংশোধনাগার

নিজস্ব প্রতিবেদক

কারাগার এখন সংশোধনাগার

কারাগার এখন সংশোধনাগারে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় কারাগারকে যুগোপযোগী ও সংশোধনাগারে রূপান্তর করা হয়েছে। বন্দীদের খাবারের মেন্যুতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাদের স্বাস্থ্যসম্মত খাবার দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যাতে কারাগার থেকে বের হয়ে কাজ করতে পারে। গতকাল কারা অধিদফতর আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে দেশের তিনটি কারাগারে নবনির্মিত আইসোলেশন সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে কারাবন্দীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ কারণেই বন্দীদের করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কম। কারাগারের পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেকটাই বদলেছে। আসামিরা ভালো পরিবেশে থাকছেন। করোনাকালীন ভার্চুয়ালি আদালতে উপস্থিত হচ্ছেন তারা।

কারাগারের ভিতরে খরচের জন্য ‘বিকাশ’ ও ‘নগদে’ টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বন্দীদের মধ্যে করোনা যাতে না ছড়াতে পারে, সেজন্য করোনাকালীন সময়ে তাদেরকে পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

বিকল্প হিসেবে তারা ১০ মিনিট ফোনে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন।

ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, কিশোরগঞ্জ এবং ফেনী জেলা কারাগারে আইসোলেশন সেন্টারের উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, বন্দীদের সুরক্ষায় এই তিনটি কারাগারে আইসোলেশন সেন্টার উদ্বোধন করা হলো। কোনো বন্দীর মধ্যে যদি করোনার লক্ষণ দেখা যায় অথবা কেউ যদি করোনায় আক্রান্ত হয় তবে তাকে এখানে রাখা হবে।

তিনটি সেন্টারে মোট ১৩৯ জনকে রাখার ধারণক্ষমতা রয়েছে। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে এখানে চিকিৎসক ও নার্স দেওয়া হয়েছে। কারা অধিদফতর ও ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেড ক্রসের (আইসিআরসি) যৌথ উদ্যোগে সেন্টারগুলো চালু করা হয়েছে। নতুন তিনটি ছাড়া দেশের কারাগারগুলোতে বর্তমানে আরও ছয়টি আইসোলেশন সেন্টার রয়েছে।

অনুষ্ঠানে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার চালু করি। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসক নার্স নেওয়া হয়। এ ছাড়াও আমরা বন্দীদের জন্য নিয়মিত সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ করে যাচ্ছি। এ জন্যেই এ পর্যন্ত খুব বেশি কারাবন্দী করোনায় আক্রান্ত হয়নি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মোকাব্বির হোসেন বলেন, করোনার প্রথম ঢেউয়ে কারাবন্দীরা স্বাস্থ্যবিধি মানানো এবং তাদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী দেওয়ার কারণে সংক্রমণ অনেক কম হয়েছে। আশা করছি এবার দ্বিতীয় ঢেউয়েও সবার প্রচেষ্টায় বন্দীদের আক্রান্তের সংখ্যা কম থাকবে। অনুষ্ঠানে কারা অধিদফতর, ঢাকা জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর