আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ক্ষমতায় যেতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররা দলের কর্মীদের যুদ্ধের জন্য ডাক দিয়েছেন। তাদের এমন বক্তব্য একদিকে অগণতান্ত্রিক অপরদিকে ফ্যাসিবাদী মানসিকতার পরিচয়। গতকাল সকালে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় তার সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন। কাদের বলেন, বিএনপি নেতাদের যুদ্ধের জন্য কর্মীদের ডাক দেওয়ার মধ্য দিয়ে আবারও আগুন সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির আভাস দিচ্ছেন কি না তা এখন ভেবে দেখার বিষয়। যদি তাই হয় তাহলে এই আগুন সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জবাব দিতে জনগণ প্রস্তুত রয়েছে। সরকার হটানোর নামে যে যুদ্ধংদেহী মনোভাব বিএনপি দেখাচ্ছে সেক্ষেত্রে জনগণের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় সরকার কঠোরভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে। তাদের এ ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য থেকে সরে এসে গণতান্ত্রিক ভাষায় কথা বলার আহ্বান জানান তিনি। বিএনপি নেতারা গণতন্ত্র চান ও সরকার হটাতে চান- এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তার আগে নিজেরা গণতান্ত্রিক হোন এবং রাজনীতিতে ও দলের গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন। গণতন্ত্র শুধু চাওয়ার বিষয় নয়, এটি চর্চারও বিষয়। সরকার পরিবর্তনের একমাত্র পথ নির্বাচন। বিএনপিকে আগামী নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। জনগণ যাদের নির্বাচিত করবে তারাই পরবর্তী সরকার গঠন করবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি একটি ব্যর্থ বিরোধী দল। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থতা এবং নেতৃত্বের হঠকারিতার জন্যই কর্মীরা আজ হতাশাগ্রস্ত। গত একযুগ ধরে প্রাণান্তকর চেষ্টা করেও কর্মীদের মাঠে নামাতে পারেনি তারা। বিএনপি মহাসচিব মাথাপিছু ঋণের বোঝা দেখেন, রাষ্ট্রের উত্তরণ ও সমৃদ্ধির কিছু দেখতে পান না; তারা দেশের অর্থনীতিকে পরনির্ভরশীল করে রেখে গিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই দুর্নামের বৃত্ত থেকে দেশকে অমিত সম্ভাবনাময় রূপ দিয়েছেন। পরিচিত করেছেন উন্নয়ন ও অর্জনের রোল মডেল হিসেবে। তিনি বলেন, সরকারের অর্জনে ক্রমশ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে বিএনপি। তাইতো তাদের মহাসচিব শুধু ঋণই দেখতে পান কিন্তু মাথাপিছু আয় ২ হাজার ২২৭ ডলার, এটা দেখতে পান না। দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দেখতে পায় না বিএনপি। বিএনপি নেতাদের মুখে সদাসর্বদা মিথ্যাচার আর নেতিবাচকতা মানায় না। তাদের বক্তব্যে গভীর হতাশা ও দলীয় ব্যর্থতাই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। কাদের বলেন, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে বাংলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে অবরুদ্ধ করার অপপ্রয়াস চালায় তৎকালীন অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
শিরোনাম
- ১০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা কাঠের সেতু এখন অকেজো
- 'অশ্লীল' তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ করা হয় মাধুরীর গান
- গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা স্ত্রীর, বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ স্বামী
- টানা জয়ের বিশ্বরেকর্ড এককভাবে মরক্কোর
- ট্রাকচাপায় জাবি ছাত্রী নিহত
- ৫ দফা দাবিতে গোপালগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন
- পঞ্চগড়ে ‘ঘরে ঘরে জনে জনে’ কর্মসূচিতে মিলছে সাড়া
- ১৬ লাশের মধ্যে সাত লাশ হস্তান্তর হতে পারে
- চাঁদপুরে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে আটক ৬১ জেলে
- জুলাই-আগস্টের ৭ মামলায় সালমান-আনিসুলসহ ৪৫ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির
- নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমাদের সম্মান বাড়বে: চবি উপাচার্য
- খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে স্থায়ীভাবে অপসারণ
- সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন
- নারায়ণগঞ্জে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত
- ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার
- মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডে এখনো নিখোঁজ ১৩ জন
- ৩৬ বছরের প্রতীক্ষার অবসান, চাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু
- ঝালকাঠিতে জলাতঙ্কে যুবকের মৃত্যু
- কাল এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, জানবেন যেভাবে
- রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি?