ডলারের দামের সীমা তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যাংকগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হয়, বাজারের সঙ্গে সংগতি রেখে ব্যাংকগুলো নিজেরাই ডলারের দাম নির্ধারণ করতে পারবে। তবে হঠাৎ যেন ডলারের দাম বেশি বাড়িয়ে না ফেলা হয়, সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে ব্যাংকগুলোকে। পাশাপাশি বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো যাতে দাম বেশি বাড়াতে না পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে।
ডলারের দামের সীমা তুলে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যাংকের মাধ্যমে বৈধপথে প্রবাসী আয় কমে যাচ্ছে। এ জন্য প্রবাসী আয় আনার ক্ষেত্রে ডলারের কোনো নির্দিষ্ট দাম থাকছে না। ব্যাংকগুলো বাজারের সঙ্গে সংগতি রেখে ও চাহিদা বিবেচনায় ডলারের দাম ঠিক করবে। তাই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম বাজারমূল্যে নির্ধারণ হওয়ায় আমদানিতেও একইভাবে ডলারের দাম নির্ধারণ করা হবে। পাশাপাশি রপ্তানি আয় নগদায়ন হবে বাজারমূল্যে। ব্যাংকগুলো যে দামে ডলার কিনবে, বিক্রি করবে তার চেয়ে কিছু বেশি দামে। ডলারের দাম বাড়তে থাকায় রবিবার দাম বেঁধে দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রবাসী আয় আনার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর জন্য ডলারের দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ৮৯ টাকা ২০ পয়সা। এ দাম নির্ধারণের পর কমে গেছে প্রবাসী আয়। রপ্তানিকারকরাও বেঁধে দেওয়া দামে রপ্তানি বিল নগদায়ন করছেন না। এতে আমদানি বিল মেটাতে গিয়ে সংকটে পড়ে বেসরকারি খাতের কয়েকটি ব্যাংক।
ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরও ৯০ পয়সা কমেছে : ডলারের বিপরীতে টাকার দাম আরেক দফা কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার প্রতি ডলারের বিনিময়মূল্য ৯০ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। ফলে প্রতি ডলারের বিনিময়মূল্য বেড়ে হয়েছে ৮৯ টাকা ৯০ পয়সা। এর আগে সর্বশেষ গত সোমবার ডলারের বিপরীতে টাকার মান ১ টাকা ১০ পয়সা কমানো হয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন মুখপাত্র ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘৮৯ টাকা ৯০ পয়সা দরে বৃহস্পতিবার ডলার বিক্রি করা হয়েছে। আগে যা ছিল ৮৯ টাকা।’ বাংলাদেশ ব্যাংক বৃহস্পতিবার ৮৯ টাকা ৯০ পয়সায় রাষ্ট্রমালিকানাধীন ও বেসরকারি খাতের চারটি ব্যাংকের কাছে ১৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার বিক্রি করেছে। সরকারি আমদানি বিল মেটাতে ব্যাংকগুলোর কাছে এ ডলার বিক্রি করা হয়।
