বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

রেওয়াজ বদলে যুবরাজই প্রধানমন্ত্রী

প্রতিদিন ডেস্ক

রেওয়াজ বদলে যুবরাজই প্রধানমন্ত্রী

সৌদি প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস) দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। মঙ্গলবার এক রাজকীয় আদেশে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেন বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ। সূত্র : আলজাজিরা, ব্লুমবার্গ

রাজপরিবার-শাসিত সৌদি আরবে পদাধিকারবলে বাদশাহই মন্ত্রিসভার প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী থাকছিলেন এত দিন। তবে সেই চর্চায় পরিবর্তন ঘটিয়ে পুত্র মুহাম্মদ বিন সালমানকে প্রধানমন্ত্রী পদে বসালেন বাদশাহ সালমান।

প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান ১৯৮৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। এমবিএস নিজেকে ডিজিটাল যুগে বড় হওয়া প্রথম প্রজন্মের অংশ হিসেবে দেখেন। সৌদি রাজপরিবারের অনেক রাজকুমারের মধ্যে তিনি একজন, যিনি কিং সৌদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এর পরই কর্মজীবন শুরু হয় তাঁর এবং বাবার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন। ২০০৯ সালে পিতার বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন তিনি। রিয়াদ প্রদেশের গভর্নরও ছিলেন। এরপর প্রতিরক্ষামন্ত্রী হন। তিনি উপপ্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করে আসছিলেন। অবশেষে সৌদির ডি-ফ্যাক্টো নেতা হিসেবে পরিচিত হন এ সৌদি শীর্ষ নেতা। একই সঙ্গে নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী করা হয়েছে তাঁর ছোট ভাই খালিদ বিন সালমানকে। খালিদ উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন এত দিন। অন্য জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীদের স্বপদে বহাল রাখা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল-সউদ, অর্থমন্ত্রী মুহাম্মদ আল-জাদান ও বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ আল-ফাতিহ একই দায়িত্বে রয়েছেন।

তাঁর সমর্থকরা বলছেন, বিন সালমানের সাহসী উচ্চাকাক্সক্ষা এবং শক্ত মনোভাব একটি অস্থিতিশীল অর্থনীতিকে বাঁচাতে খুবই প্রয়োজন। অন্যদিকে সমালোচকরা বলছেন, তিনি স্বৈরাচারী, ক্ষমতার জন্য ক্ষুধার্ত ও বেপরোয়া। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মুহাম্মদ বিন সালমান কেমন দেশ পরিচালনা করবেন তা দেখার বিষয়। তবে দেশটির অর্ধেকের বেশি তরুণ। এ প্রজন্মকে কাজে লাগাতে পারলে হয়তো ব্যতিক্রম কিছু ঘটবে দেশটিতে। কেননা এমবিএস নিজেকে ডিজিটাল যুগে বড় হওয়া প্রথম প্রজন্মের অংশ হিসেবে দেখেন। এ ছাড়া প্রিন্স মুহাম্মদ বিল সালমান এমন পদক্ষেপ নিচ্ছেন যা দেশটির মূল ভিতে নাড়া দিচ্ছে। সমাজ সংস্কার ও পরিবর্তন দেশটির ধর্মীয় বিধিনিষেধগুলো শিথিল করছে, যা কয়েক দশক ধরে রক্ষণশীল ইসলামী সমাজকে ধারণ করে আসছিল। তিনি অপরিশোধিত তেলের রপ্তানিকারকদের ওপর নির্ভরতা কমাতে এবং বিশ্বে তাঁর স্থান নতুন করে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করছেন। পর্যটনের মতো নতুন সেক্টরে উন্নয়নের জন্য জোর দেওয়াও তাঁর গুরুত্বের তালিকায়। যদিও রাজনৈতিক দমন-পীড়নের অভিযোগও শোনা যায় তাঁর বিরুদ্ধে।

সর্বশেষ খবর