মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ছয় বছরের শিশুর ১৭৮ ঘণ্টা পর অবিশ্বাস্য বেঁচে ফেরা

♦ তুরস্ক-সিরিয়ায় ফের ভূমিকম্প ♦ মৃতের সংখ্যা ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে

প্রতিদিন ডেস্ক

ছয় বছরের শিশুর ১৭৮ ঘণ্টা পর অবিশ্বাস্য বেঁচে ফেরা

এক সপ্তাহ আগে তুরস্ক ও সিরিয়ায় দুই দফা ভূমিকম্পের পর আবারও কেঁপে উঠেছে তুরস্ক। যদিও গত রবিবার দিনগত মধ্যরাতের এই ভূ-কম্পনে নতুন করে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। এদিকে গত সপ্তাহের ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত দেশ দুটিতে মৃতের সংখ্যা ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে গতকাল দুপুর পর্যন্ত তুরস্কের মৃতের সংখ্যা পৌছায় ৩১ হাজার ৬৪৩ জনে এবং সিরিয়ায় ৪ হাজার ৬১৪ জনে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, এখনও ধ্বংসস্তুপের ভেতর থেকে জীবিত মানুষ উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে, যাকে অলৌকিক বলে অনেকেই মনে করছেন। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি, আল জাজিরা, এএফপি। সর্বশেষপাওয়া খবর অনুযায়ী, গত সপ্তাহের সোমবারে ভূমিকম্পের রেশ কাটতে না কাটতেই তুরস্কের কাহরামানমারা এলাকা গত রবিবার দিনগত মধ্যরাতে ফের কেঁপে ওঠে। এক সপ্তাহ আগের ভূমিকম্পের পর আটকে পড়া মানুষকে এখনও উদ্ধার করা যায়নি, এই অবস্থায় আবারও ভূ-কম্পনে আরও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। খবরে বলা হয়, আগের কম্পনে প্রায় ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছিল কাহরামানমারা এলাকা। সেখানেই ছিল রবিবারের কম্পনের উৎসস্থল। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ কেঁপে ওঠে বিস্তীর্ণ অঞ্চল। অপর এক খবরে বলা হয়, তীব্র ঠাণ্ডার সঙ্গে খাবার-পানি ছাড়া ধ্বংসস্তুপের নিচে এক সপ্তাহ বেঁচে থাকা অসম্ভব হলেও সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করেছে ছয় বছরের এক শিশু। ভূমিকম্প আঘাত হানার ১৭৮ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার হয়েছে সে। গতকাল তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আদিয়ামানে ভূমিকম্পের ১৭৮ ঘণ্টা পর একটি ছোট্ট মেয়েকে উদ্ধার করা হয়েছে। ছয় বছর বয়সী মেয়েটির নাম মিরায়। এছাড়া ভূমিকম্পের ছয়দিন পর গত রবিবারও তুরস্কের হাতায় থেকে একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তিনি ধসে পড়া একটি ভবনের ধ্বংসস্তপের মধ্যে ১৪৯ ঘণ্টা আটকা ছিলেন। যাকে উদ্ধার করা হয়েছে তার নাম মোস্তফা সারিগুল, তার বয়স ৩৫ বছর। এরও আগে ১২৮ ঘণ্টা পর এই ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল দুমাস বয়সের এক শিশু, যে উদ্ধার পেয়েই খিলখিল করে হেসে উঠে সবাইকে চমকে দিয়েছিল। শিশুটি তুরস্কের হাতায় বিধ্বংসী ভূমিকম্পে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়া বাড়িঘরের নীচে আটকে ছিল। হাতমুখে ধুলো মাখা শিশুর ছবি ভাইরাল হয় গোটা নেট দুনিয়ায়। শিশুটি এখন পুরোপুরি সুস্থ বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, দুই দেশের ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধারকারীরা একের পর এক লাশ তুলে আনছেন। ফলে মৃতের সখ্যা বেড়েই চলেছে। তীব্র ঠান্ডার মধ্যে ধ্বংসস্তূপ থেকে তোলা হচ্ছে এসব মৃতদেহ। তার মধ্যে কিছু ‘মিরাকল’ও হচ্ছে। হঠাৎই পাওয়া যাচ্ছে জীবিত কাউকে।

 

সর্বশেষ খবর