ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, দু-একজন পুলিশ সদস্যের জন্য পুরো বাহিনীর বদনাম হয়। তবে কোনো সদস্যের খারাপ কাজের দায়িত্ব পুলিশ বাহিনী নেবে না। এ জন্য সবাইকে সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। গতকাল সকালে ডিএমপি সদর দফতরে সব স্তরের কর্মকর্তা ও সদস্যদের সঙ্গে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। স্বস্তির ঈদ উদযাপিত হয়েছে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ নগরবাসী গ্রামের বাড়িতে গেছেন। তাদের বাসা-বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া ছিল ডিএমপির কাঁধে। আমাদের সব সদস্য সঠিকভাবে সেই দায়িত্ব পালন করেছেন। ফাঁকা ঢাকায় এখন পর্যন্ত কোনো দুর্ঘটনার খবর আসেনি। এ সফলতার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব টিম ডিএমপির।
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদের ছুটিতে খুব অল্প সংখ্যক পুলিশ সদস্য ছুটিতে গেছেন, অধিকাংশই যেতে পারেননি। এটা পুলিশের চাকরির বৈশিষ্ট্য। এটুকু ত্যাগ স্বীকার আমাদের করতেই হবে। ৩৪ হাজার ফোর্সের ত্যাগের বিনিময়ে ঢাকা মহানগরীর ২ কোটি মানুষ আরামে ঘুমাতে পারেন। তারা পরিবার-পরিজন নিশ্চিন্তে বাসায় রেখে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করে অফিস-আদালত করতে পারেন। রমজানে প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যেও পুলিশ দায়িত্ব পালন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেখানে আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকলে শরীরের রক্ত ঘাম হয়ে যায়, সেখানে আমাদের ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা রোজা রেখে প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও রাস্তায় দাঁড়িয়ে ডিউটি করেছেন। এটাই হলো পুলিশের ত্যাগ। মানবতার চেয়ে বড় ধর্ম পৃথিবীতে নেই। সম্প্রতি ঢাকায় নিউ সুপার মার্কেটে আগুন লাগলে পুলিশ সদস্যরা তিন-চার তলা থেকে বড় বড় কাপড়ের বস্তা মাথায় করে নিচে নিয়ে আসেন। সারা দেশের মানুষ পুলিশের এই কাজের প্রশংসা করেছে। এ রকম সুযোগ বারবার আসে না, এগুলো মনে রাখতে হবে। আবার দু-একজন পুলিশ সদস্যের জন্য পুরো বাহিনীর বদনাম হয়। এই খারাপ কাজের দায়িত্ব পুলিশ বাহিনী নেবে না। এ জন্য সবাইকে সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার, ড. খ. মহিদ উদ্দিন, মহা. আশরাফুজ্জামান, মো. মুনিবুর রহমান, সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান, ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ছাড়াও যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্য এবং কর্মচারীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।