পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কর্মকৌশল নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অপরাধী যে-ই হোক কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যে কোনো ধরনের অপরাধ সংঘটিত হলে কোনো অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলার স্বাভাবিক গতি কেউ ভঙ্গ করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাদকের বিরুদ্ধে সারা দেশে অভিযান অব্যাহত। গতকাল বেলা ৩টায় কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আইজিপি এ কথা বলেন। গতকাল সকালে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে কক্সবাজার শহরে ফিরে তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সারা দেশে অভিযান অব্যাহত। কোনো মাদক কারবারিকে ছাড় দেওয়া হবে না। টেকনাফে অপহরণের ঘটনা বৃদ্ধির বিষয়ে আইজিপি বলেন, প্রতিটি অপহরণের বিষয়ে জড়িতদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। মিয়ানমারে নিষিদ্ধ ঘোষিত ‘আরসা’ মুক্ত রোহিঙ্গা শিবির কীভাবে করা যায় এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি যেমন অব্যাহত রয়েছে, তেমনি আরসার বিরুদ্ধেও জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে। সম্প্রতি ট্রলারে ১০ মরদেহ উদ্ধারের ব্যাপারে পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, ঘটনার মূল কারণ বের করার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
আইজিপি গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় উখিয়ার কুতুপালং ১৯ নম্বর ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। ওই ক্যাম্পের ৮ এপিবিএন কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ক্যাম্প সংশ্লিষ্ট শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক সংস্থা ও শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বেলা ৩টায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করে সার্বিক বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন।