জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ হওয়া প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, আমরা তো কাউকে সংলাপের জন্য দাওয়াত করিনি। আমরা চাই নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। আলোচনা কোনো সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে হতে পারে না। বিএনপি যদি আলোচনা করতে চায়, তাহলে ২৮ অক্টোবর পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা, সাংবাদিককে আহত, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে অগ্নিসংযোগের দায় আগে স্বীকার করে জাতির কাছে ক্ষমা চান। এরপর আলোচনায় বসার আহ্বান জানালে আমরা ভেবে দেখব। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। তাহলে কি সংলাপ হচ্ছে না? জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, আমরা তো এ কথা আগেও বলেছিলাম। আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বহু আগে বলেছেন, যে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে শর্তহীন আলোচনায় বসতে দুয়ার খোলা আছে। কিন্তু বিএনপি কি রাজনৈতিক কর্মকান্ড করছে? তারা সন্ত্রাস করছে। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে। আলোচনা হতে পারে। কিন্তু সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে তো সংলাপ হতে পারে না। হানিফ বলেন, বিএনপি জানে নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারবে না, তাই তারা নির্বাচন বন্ধ করার জন্য দু-তিন বছর ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছে। নানান অসাংবিধানিক কথা তারা বলে যাচ্ছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই, যেটা সংবিধানে নেই, যেটাকে উচ্চ আদালত অবৈধ করে দিয়েছে, সেটা নিয়ে দাবি করে যাচ্ছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন-সংগ্রাম করে তারা (বিএনপি) ভেবেছিল বোধ হয় বহির্বিশ্বের সহায়তায়, তাদের প্রভুর বদৌলতে সরকারের পতন ঘটিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে যাচ্ছে। এরকম একটা লাফঝাঁপ শুরু হয়েছিল। মার্কিন সহকারী উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু তিন দলের কাছে চিঠি দিয়েছেন- এ প্রসঙ্গে মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, চিঠি নিয়ে আমার কাছে এখনো কোনো তথ্য নেই। যারা চিঠি পেয়েছে সেটা তারা বলেছে। আমি যতটুকু শুনেছি, সেই চিঠিতে তারা লিখেছে আগামী জাতীয় নির্বাচন সবাই অবাধ, সুষ্ঠু দেখতে চায় এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শর্তহীন একটা আলোচনা, সংলাপ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা বলেন, আমাদের কথা পরিষ্কার। আমরা বিএনপি-জামায়াত জোটকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছি। এসব কর্মকান্ড বন্ধ করলে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে ভাবা হবে। সংলাপের কথা বলে বিএনপি-জামায়াতের অপকর্ম আড়াল করার অপচেষ্টা হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, আমাদের সুশীলসমাজের কিছু ব্যক্তি সংলাপের কথা বলছেন। কিন্তু তারা বলছেন না, বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে এ পেট্রোলবোমা হামলা হচ্ছে। আগে তাদের (বিএনপি) এসব ঘটনার দায় স্বীকার করতে বলুন। আমরা চাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিবন্ধিত সব দলের অংশগ্রহণে হোক। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে আমাদের সরকার বদ্ধপরিকর। প্রধানমন্ত্রী এ কথা অনেকবার বলেছেন। আমরা বিশ্বাস করি আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু হবে।
শিরোনাম
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
- নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের
- কলাপাড়ায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৫ জন হাসপাতালে