আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামলে মানুষের বাকস্বাধীনতা যেমন হরণ করা হয়েছিল, তেমনি সংবাদপত্রের মত প্রকাশের স্বাধীনতাও ছিল না। সেই সময়ে দেশের গণমাধ্যমকে সরকার বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করত। ক্ষমতাসীন সরকার ও সরকারি দলের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ চাপের মধ্যে গণমাধ্যমকে কাজ করতে হয়েছে। সাংবাদিকতা অথবা সম্পাদকীয় নীতিমালার পরিপন্থি অনেক খবরই সেই সময় অনিচ্ছা সত্ত্বেও প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছে বাংলাদেশ প্রতিদিন।
২০২১ সালের ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতায় প্রকাশিত ‘দেশবিরোধী ভয়ানক তিন সাইবার দুর্বৃত্ত’ শিরোনামের প্রতিবেদনটিও ছিল বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের চাপিয়ে দেওয়া। এ প্রতিবেদনের সঙ্গে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম তিন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য, আবু রেজা আহমেদ ফয়সল চৌধুরী সুয়েব এবং তাজ হাশমীর ছবি সরবরাহ করা হয়। তাদের পাঠানো ছবি ও প্রতিবেদন হুবহু প্রকাশের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। তৎকালীন সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইর অন্যায় চাপ ও হুমকির কারণে বাংলাদেশ প্রতিদিন তাদের পাঠানো এই সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছিল। সে সময়ে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার চাপের মুখে আমরা ছিলাম অসহায়। এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য আমরা আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। আমরা অকুণ্ঠ চিত্তে বলছি যে, বিশিষ্ট অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য, আবু রেজা আহমেদ ফয়সল চৌধুরী সুয়েব এবং তাজ হাশমী দেশের বাইরে অবস্থান করে স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। আর এ জন্য আমরা তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আগামী দিনে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশ প্রতিদিন অবিচল থাকবে।
-ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক