থানায় মামলা রেকর্ড হলেই এজাহারনামীয় আসামি ধরতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তদন্ত সাপেক্ষে আসামি ধরা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান। তিনি বলেন, ক্রিমিনাল ইভেন্ট কখনো তামাদি হয় না। ঢাকায় পুলিশ হত্যা, থানায় অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলা হবে। গতকাল ডিএমপি সদর দপ্তরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এসব কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশের ১৭৭টি যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক স্থাপনার ক্ষতি হয়েছে। সেসব সারিয়ে তোলার কাজ চলছে। এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে সব থানা স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরবে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও অপরাধীদের ধরতে নিয়মিত অভিযান চলছে। ধীরে ধীরে তা আরও জোরদার হবে। এ ছাড়া ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশ আরও সক্রিয় হবে। পুলিশের টহল ও চেকপোস্ট কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে। পুলিশের মনোবল চাঙা করতে কাজ চলছে।
ডিএমপি প্রধান বলেন, বিভিন্ন দাবি নিয়ে লোকজন রাস্তায় নেমে অবরোধ করে যানজট সৃষ্টি করছে। ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা প্রধান সড়কে উঠে যাচ্ছে। রাস্তা ও ফুটপাত হকারমুক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। ধীরে ধীরে পুলিশ তার স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে আসছে। ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। রাজপথে শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য পুলিশ রাত-দিন কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা পালন করতে হবে। সমাজে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষাই আমাদের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
ক্র্যাবের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সাংবাদিক ও পুলিশ হচ্ছে একে অপরের পরিপূরক। পুলিশ আইন ও বিধি অনুযায়ী কাজ করে। অপরদিকে সাংবাদিকরা তাদের লেখনীর মাধ্যমে সমাজকে অপরাধমুক্ত করতে পুলিশকে সহযোগিতা করেন। এভাবে পুলিশ ও সাংবাদিক মিলে কাজ করলে আমরা আমাদের কাক্সিক্ষত স্থানে যেতে পারব।
ক্র্যাব সভাপতি কামরুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী সদস্য আলী আজমসহ ক্র্যাব ইসি কমিটির সদস্য এবং ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. ইসরাইল হাওলাদারসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।