যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় সরকারি সফর শেষে গতকাল সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। সফরকালে তিনি জাতিসংঘ সদর দপ্তরে শান্তিরক্ষা মিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাপ্রধানসহ উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং কানাডার উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৭ অক্টোবর সেনাপ্রধান নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘের ডিপার্টমেন্ট অব পিস অপারেশনস বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল, ডিপার্টমেন্ট অব অপারেশনাল সাপোর্ট বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল, জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত হাইকমিশনের অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল, আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল, ডিপার্টমেন্ট অব পলিটিক্যাল ও পিস বিল্ডিং অ্যাফেয়ার্সের পক্ষে মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া এবং প্যাসিফিক বিষয়ক অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল এবং ডাইরেক্টর অব অফিস ফর পিস কিপিং স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপের প্রত্যেকের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন। সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী, বিশেষ করে সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ ছাড়াও, সেনাপ্রধান নিউইয়র্কে অবস্থিত বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন পরিদর্শন করেন এবং স্থায়ী প্রতিনিধির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২২ অক্টোবর সেনাপ্রধান ওয়াশিংটন ডিসির পেন্টাগনে যুক্তরাষ্ট্রের চিফ অব স্টাফ অব দ্য আর্মির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
কানাডা সফরকালে সেনাপ্রধান ভাইস চিফ অব কানাডিয়ান ডিফেন্স স্টাফের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তিনি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়াকরণ সহজতর করার জন্য কথা বলেন। তিনি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করা বিশেষ করে সামরিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রশিক্ষণার্থী বিনিময়ের কথা উল্লেখ করেন। এ ছাড়াও, কানাডিয়ান পার্লামেন্টের নাগরিকত্ব ও ইমিগ্রেশন বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য, সংসদ সদস্য সালমা জাহিদ সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি নির্বাচিত : বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো প্রার্থী না থাকায় গতকাল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। ফুটবল ও ক্রিকেট ছাড়াও দেশের অন্যতম শীর্ষ ক্রীড়া সংগঠন বিওএ-তে সভাপতি পদটি নির্বাচিত। এ পদে সেনাপ্রধানরাই দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সেই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সেনাপ্রধান বিওএ সভাপতি হয়েছেন। বিওএ নির্বাহী কমিটির মেয়াদ চার বছর। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) সভাপতি পদ থেকে আগেই সরে দাঁড়িয়েছেন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা বরাবর চিঠি দিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন এ কর্মকর্তা। গতকাল নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শূন্য পদ পূরণ হলো। দেশের অন্যতম শীর্ষ ক্রীড়া সংস্থা বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচনে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলাম নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন।
বিওএ সভাপতি নির্বাচনে খসড়া ভোটার তালিকায় ৭১ জন কাউন্সিলর ছিলেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও মন্ত্রণালয় অনেক ফেডারেশন কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দিয়েছে। খসড়া ভোটার তালিকায় সেসব ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় কাউন্সিলর সংখ্যা হয় ৫২। বিওএ নবনির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ গলফ ফেডারেশনের কাউন্সিলর।