বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, ৩১ দফার প্রতি জনগণের সমর্থন আদায়, আস্থা অর্জন ও তা ধরে রাখার দায়িত্ব আমার আপনার সবার। জনগণকে আস্থায় রাখতে হলে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে। আপনারা সবাই যে যার অবস্থান থেকে কাজ করবেন। আপনারা প্রত্যেকে বিএনপির নেতা, অ্যাম্বাসেডর, বিএনপির প্রতিনিধি। গতকাল ফরিদপুরে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ বিষয়ক ফরিদপুর বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এ কর্মশালার আয়োজন করে ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক জেলা বিএনপি।
ফরিদপুর জেলা ছাড়াও রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও গোপালগঞ্জ বিএনপির নেতারা কর্মশালায় অংশ নেন। কর্মশালায় বিভিন্ন জেলার নেতারা তারেক রহমানকে নানান প্রশ্ন করেন এবং তারেক রহমান সেসব প্রশ্নের জবাব দেন। সভাপতির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ। তিনি বলেন, হাসিনার অন্যায় অত্যাচার নির্যাতন জুলুমের প্রতিবাদ হচ্ছে বিএনপির এই ৩১ দফা। এটি একটি মানবিক, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনের বুকলেট।
প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন ৩১ দফা প্রণয়ন কমিটির সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ। তিনি বলেন, গত চার মাসের অভিজ্ঞতা বলে এখনো হাসিনার প্রেতাত্মারা সক্রিয় রয়েছে। তারা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এ ষড়যন্ত্র দেশের বিরুদ্ধে, বিএনপির বিরুদ্ধে।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মেহেবী আমিন প্রমুখ। তারেক রহমান বলেন, বিএনপির একার আন্দোলনে স্বৈরাচার পালিয়ে যায়নি। সব দল কাজ করেছে, সব মানুষ একত্রিত হয়েছিল বলেই স্বৈরাচার বিদায় নিয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের ওপর জনগণের আস্থা আছে বলে আমাদের ঘরে বসে থাকলে চলবে না। আমরা যদি চুপচাপ বসে থাকি তাহলে কোনো কাজ হবে না। আমরা এমন কোনো ভুল চিন্তা বা কাজ যেন না করি যাতে আমরা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি। এতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব। তারেক রহমান বলেন, মানুষ যদি না জানতে পারে বিএনপি কী চায়, জনগণের জন্য কী ভাবে, ছাত্রের জন্য কী ভাবে, নারীদের জন্য কী ভাবে, কৃষকের জন্য কী ভাবে শ্রমিকের জন্য কী ভাবে তাহলে জনগণের সমর্থন আমাদের ওপর থাকবে না।
তিনি বলেন, হয়তো একবারে আমরা পারব না। তবে আমরা সূচনা করে যেতে চাই। পরে ধারাবাহিকভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চলতে থাকলে পর্যায়ক্রমে আমরা একটা জায়গায় যাব। এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে চাইলে জনগণের সমর্থন দরকার। আমরা দেশে একটা জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। শুধু প্রধানমন্ত্রী বা এমপির জবাবদিহিতা নয়; জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে সমাজের সব পর্যায়ে।
শেখ হাসিনার সময়ে জবাবদিহিতা ছিল না মন্তব্য করে তিনি বলেন, জবাবদিহিতা থাকলে ফরিদপুর থেকে ২ হাজার কোটি টাকা পাচার হতে পারত না।