আওয়ামী লীগের চিহ্নিত দোসররা যাতে বিএনপির সদস্যপদ না পায়, সেদিকে সতর্ক থাকার জন্য নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তবে আওয়ামী লীগকে ভোট দেয় বা সমর্থক হয়েও যারা বিএনপির নেতা-কর্মীদের হয়রানি করেনি, তাদের দলের সদস্য হতে কোনো বাধা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। গতকাল নগরীর কাজির দেউড়ি নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ের মাঠে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপি আয়োজিত দলের সদস্য ফরম বিতরণ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমের সভাপতিত্বে সহসাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, কোষাধ্যক্ষ ও সদস্য ফরম নবায়ন কমিটির সদস্যসচিব এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুনুর রশীদ হারুন। বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ ও দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তরিকুল আলম তেনজিং।
আমীর খসরু বলেন, “আপনারা হচ্ছেন প্রত্যেকটি এলাকার ‘নোঙর’। মানে যেভাবে নোঙর জাহাজ ধরে রাখে। আপনারা বিএনপির জাহাজটাকে ধরে রাখবেন। তাই আপনাদের কাজটা সঠিকভাবে করতে হবে। এটার ওপর নির্ভর করছে আগামী দিনে বিএনপির রাজনীতি, এগিয়ে যাওয়া, নির্বাচন ও বাংলাদেশ গড়ার। অনেক বড় দায়িত্ব। কষ্ট করে এ দায়িত্বটা যথাযথভাবে পালন করবেন। ১০-১৫ বছর ধরে বিএনপি সাংগঠনিক কার্যক্রম সঠিকভাবে পালন করতে পারেনি। কারও বাড়িতেও যদি একটা অনুষ্ঠান বা আলোচনা হয়েছে, সেখানেও গোয়েন্দা বিভাগের লোকজন উপস্থিত হতো। আর বাইরে সাংগঠনিক কার্যক্রম অসম্ভব বললে ভুল হবে।”
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সদস্য করার সময় খেয়াল রাখতে হবে। সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিকে দলে নেওয়া যাবে না। যাদের কারণে আমাদের ভোট কমে যাবে, আবার আওয়ামী লীগের কাউকে দলে নেওয়া যাবে না, যারা আমাদের সঙ্গে হাঁটলে ভোট কমে যাবে- এ রকম লোক, ব্যক্তিদের দূরে রাখবেন। সদস্য করতে গিয়ে আমরা চেষ্টা করব বৃহত্তর অংশকে আমাদের দলে নিয়ে আসতে। কারণ এটা দেশের বৃহত্তর দল, তাই দেশের বৃহত্তর অংশ যাতে বিএনপির সদস্য হয়, এটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে।’