বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

ব্ল্যাকহোলের প্রথম ছবি প্রকাশে কৃতিত্ব যার সবচেয়ে বেশি

ইনফোটেক ডেস্ক

ব্ল্যাকহোলের প্রথম ছবি প্রকাশে কৃতিত্ব যার সবচেয়ে বেশি

মহাকাশের এক অনন্ত বিস্ময় ব্ল্যাকহোল। মহাকাশীয় এই দানবের কাছে পথ হারায় আলোকতরঙ্গ। নিকষ কালো অন্ধকার সংসার নিয়েই বেঁচে থাকে ব্ল্যাকহোল। মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় মহাজাগতিক বিস্ময় ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর। প্রথমবারের মতো এই ব্ল্যাকহোলের ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তবে এই ছবি তোলার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন কেটি বাউম্যান নামে এক নারী। ২৯ বছর বয়সী এই নারী একজন কম্পিউটার বিজ্ঞানী। অ্যালগরিদম পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে কম্পিউটার প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ব্ল্যাকহোলের ছবি তৈরিতে মুখ্য ভূমিকা রেখেছেন কেটি বাউম্যান। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মহাকাশ গবেষণাবিষয়ক সাময়িকী অ্যাস্ট্রো ফিজিক্যাল জার্নালে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়েছে। আনুমানিক ৫০০ মিলিয়ন ট্রিলিয়ন কিলোমিটার দূরের সেই ব্ল্যাকহোলের ছবি তোলা হয়েছে বিশ্বব্যাপী আটটি টেলিস্কোপের মাধ্যমে। কৃষ্ণগহ্বরটির দেখা মিলেছে এমএইটসেভেন নামের একটি বহু দূরবর্তী গ্যালাক্সি বা ছায়াপথের মধ্যে। পৃথিবী থেকে এই কৃষ্ণগহ্বরের দূরত্ব ৫০ কোটি ট্রিলিয়ন কিলোমিটার দূরে এবং এর ভর সূর্যের চেয়ে ৬৫০ কোটি গুণ বেশি। এস্ট্রো ফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্সে এই আবিষ্কারের বিস্তারিত প্রকাশিত হয়েছে। নিজের ল্যাপটপে কৃষ্ণগহ্বরের ছবি তৈরি করার পর নিজেই বিস্মিত হন কেটি বাউম্যান। নিজের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে কেটি বাউম্যান ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, অ্যালগরিদমকে কাজে লাগিয়ে ছবিটি প্রথম যখন দেখি তখন নিজেরই বিশ্বাস হচ্ছিল না। মজার বিষয় হলো, কেটি বাউম্যান প্রথম যখন অ্যালগরিদমটি তৈরি করেছিলেন তিন বছর আগে, তখন তিনি ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির স্নাতকের শিক্ষার্থী ছিলেন। টুইটারে তার প্রশংসায় ভাসছে মানুষ।

সর্বশেষ খবর