আগামী এক বছরে উত্তর এবং দক্ষিণ অ্যামেরিকার দেশগুলোতে জিকা ভাইরাসে ত্রিশ থেকে চল্লিশ লাখ পর্যন্ত মানুষ আক্রান্ত হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বলা হচ্ছে জিকা ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হলে তার কোনও চিকিৎসা নেই, প্রতিষেধকও নেই। এমন প্রেক্ষাপটে করনীয় ঠিক করতে আগামী সোমবার জেনেভায় জরুরী বৈঠক ডেকেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান মার্গারেট চ্যান।
এর আগে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্কতা জারি করে সংস্থাটি। উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার ২০টিরও বেশি দেশে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়েছে এই রোগ।
চিকিৎসকেরা বলছেন, মশা-বাহিত জিকা ভাইরাসে গর্ভবতী মায়েরা আক্রান্ত হলে শিশু বিকৃত মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মাতে পারে। কিন্তু তার কোন উপসর্গ আগে থেকে দেখা যাবে না।
এদিকে, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি জানিয়েছে, অাগস্টে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিতব্য অলিম্পিক গেমসের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে সব রকম চেষ্টাই করবে সংস্থাটি।
মিস চ্যান বলেছেন, বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং প্রচণ্ড অনিশ্চয়তা রয়েছে এ নিয়ে। আমাদের খুব দ্রুত কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে হবে।
গবেষকরা বলছেন, ব্যবহারের উপযোগী একটি প্রতিষেধক তৈরি করে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে দশ বছরেরও বেশি সময় লাগতে পারে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এ বছরের শেষ নাগাদ তারা মানুষের ওপর পরীক্ষা চালানোর জন্য একটি প্রতিষেধক প্রস্তুত করতে পারবে।
বিডি-প্রতিদিন/২৯ জানুয়ারি ২০১৬/ এস আহমেদ