ভারতীয় উপমহাদেশে পুত্রসন্তান না হওয়ায় মাকে হত্যা, কখনও আবার কন্যাসন্তানকেও হত্যা করা হয়। মেয়ে জন্ম দেয়ার ‘অপরাধে’ মায়েদের উপর অত্যাচারের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। কারণ এখনও কন্যা সন্তান জন্ম নেয়াকে অভিশাপ হিসেবে দেখা হয়।
এই বাস্তবতায় এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ভারতের উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী প্রেমা দেবী। অবসরের পর থেকে প্রেমা দেবী হামিরপুরে তার ছেলে ও পুত্রবধূর সঙ্গে থাকেন। কিছুদিন আগে তার পুত্রবধূ কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। কন্যা সন্তান জন্ম দেয়ায় পুত্রবধূকে ‘হোন্ডা সিটি’ গাড়ি উপহার দিয়ে নজির গড়েছেন ভারতের উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরের বাসিন্দা প্রেমা দেবী।
শাশুড়ির এই আচরণে খুশিতে কেঁদে ফেলেন খুশবু। খুশবু জানান, প্রেমা দেবীর মতো শাশুড়ি পেয়ে তিনি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন। সম্পর্ক দুজনের উপর নির্ভর করে। তাই সমস্ত পুত্রবধূদেরও দায়িত্ব শাশুড়ির সঙ্গে নিজের মায়ের মতো ব্যবহার করা।
জানা যায়, নাতনি হওয়ার খুশিতে পার্টিও দেন প্রেমা দেবী। পার্টিতেই তিনি ঘোষণা করেন যে, দীপাবলির আগে নাতনি হওয়ায় পুত্রবধূ খুশবুকে একটি 'হোন্ডা সিটি' গাড়ি উপহার দিতে চান।
প্রেমা দেবী বলেন, “কন্যাসন্তানের ভ্রূণ নষ্ট করে দেয়ার প্রবণতা তখনই কমতে পারে যখন পুত্রবধূদের মেয়ে হিসেবে দেখা হবে। তারাও কারোর সন্তান। এটা কখনও ভুলে যাওয়া উচিত নয়।”
প্রেমা দেবী আরও বলেন, “যদি পুত্রবধূদের প্রথম দিন থেকেই আমরা মেয়ে হিসেবে গ্রহণ করতে পারি তাহলে সংসারে সুখ-শান্তি বজায় থাকে।”
বিডি-প্রতিদিন/৬ নভেম্বর, ২০১৬/তাফসীর-১৩