চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে ইকোনমিক করিডরকে সুরক্ষিত রাখতে শিগগিরই গুরুত্বপূর্ণ গদর বন্দরে চীনা যুদ্ধজাহাজ টহলদারী শুরু করবে। করাচির এক পাক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
চীন ও পাকিস্তানের যৌথ উদ্যোগে প্রায় ৩০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ইকোনমিক করিডর তৈরি হচ্ছে। আরব সাগরের তীরে গদর শহরে পাকিস্তানের গদর বন্দর এই করিডর নির্মাণে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করবে। একবার এই করিডর তৈরির কাজ শেষ হলে চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের যোগাযোগ ব্যবস্থা সুপ্রতিষ্ঠিত হবে। আরও সস্তায় চীনা পণ্য পৌঁছে যাবে এশিয়া ও আফ্রিকায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাক নৌ-বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, ইকোনমিক করিডরের জন্য গদর বন্দরের জন্মলগ্ন থেকেই তার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডরের (সিপিইসি) কাজ সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে দ্রুতই চীনা রণতরী গদরে এসে ভিড়বে। সঙ্গে পাক নৌবহর তো থাকবেই। এতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতকে রুখে দেবে এই রণতরী।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সিপিইসি ও গদর বন্দর চীন ও পাকিস্তান-দুই দেশেরই সামরিক সক্ষমতাকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে। ভবিষ্যতে আরব সাগরের বুকে খুব সহজেই চীনা রণতরী ঢুকে পড়তে পারবে। এমনকি, চীনা জাহাজ মেরামত ও ভারত মহাসাগরে তাদের নৌবহর রক্ষণাবেক্ষণের জন্যও গদর নৌ-ঘাঁটি ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারে পাকিস্তান।
পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষকর্তারা দ্রুতই এই কাজ শেষ হওয়ার প্রত্যাশায় রয়েছেন। যাতে ভারত মহাসাগর ও আরব সাগরে ভারতীয় নৌবাহিনীকে রুখে দেওয়া যায়।
সূত্রে জানা যায়, একা চীনের উপর ভরসা না করে তুরস্কের কাছ থেকেও উচ্চ গতিশীল জাহাজ কিনে গদর বন্দরে নিরাপত্তার জন্য বিশেষ স্কোয়াড্রন নামানোর পরিকল্পনাও রয়েছে করাচির। এক একটি স্কোয়াড্রনে ৪-৬টি করে রণতরী থাকতে পারে।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
বিডি প্রতিদিন/ ২৬ নভেম্বর ২০১৬/ এনায়েত করিম-১৮