সম্প্রতি ভারতকে বিশ্বে বিনিয়োগের অন্যতম আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি মনে করেন, সারা বিশ্বেই অর্থনীতির চাকা যেখানে ধীরতালে গড়াচ্ছে, সেখানে বৃদ্ধির নিরিখে ভারত উজ্জ্বল বিন্দু। এখানে বাজার বিপুল। সস্তায় দক্ষ কর্মী অঢেল। সরকার শিল্পবন্ধু। লগ্নি টানতে প্রতিযোগিতা চলছে রাজ্যগুলির মধ্যেও। তাই ব্যবসায় টাকা ঢালতে ভারতের তুলনায় ভাল জায়গা কমই মিলবে।
ভারতে বিনিয়োগ কেন লাভজনক? যুক্তি ও সংখ্যা দিয়ে সেই উত্তরও দিয়েছেন মোদি। তার যুক্তি- ভারতের অর্থনীতির ভিত পোক্ত। সরকার স্বচ্ছ ও সংস্কারমুখী প্রশাসনে বিশ্বাসী। একদিকে দুর্নীতিকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে দ্রুত চালু হতে চলেছে জিএসটি। ব্যবসার পথ সহজ করতে ঢেলে সাজানো হয়েছে দেউলিয়া আইন, পেটেন্ট বিধি ইত্যাদি। দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দাবি, সহজে ব্যবসা করার সুবিধা (ইজ অব ডুয়িং বিজনেস), উদ্ভাবন, যোগাযোগের মতো বিভিন্ন সূচকে ভারতের স্থান ঊর্ধ্বমুখী। আড়াই বছরে বিদেশি লগ্নি এসেছে ১৩ হাজার কোটি ডলারের। বিশ্ব জেনে গেছে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ স্লোগানকে। কল-কারখানায় উৎপাদনেও সম্প্রতি নবম থেকে ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে ভারত।
মোদির মতে, বিনিয়োগের বহু ক্ষেত্রের দরজা ভারতে খোলা। পুনর্ব্যবহারযোগ্য বিদ্যুৎ, রাস্তা, ফ্রেট করিডর, স্মার্ট সিটি, আমজনতার আবাসন, সাইবার নিরাপত্তার মতো বহু ক্ষেত্রে লগ্নির চাহিদা বিপুল। শুধু অপ্রচলিত বিদ্যুতেরই চাহিদা ১৭৫ গিগাওয়াট। এমন লোভনীয় বাজারের থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকা শক্ত বলেই মতো তার। আর সেই কারণেই এবার লগ্নি সম্মেলনে তার আহ্বান,'ভারতে আজ ও আগামিতে বিনিয়োগ করুন।’ সূত্র: আনন্দবাজার।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার