বান্ধবীকে বিয়ে করতে চান। কিন্তু দুই বাড়ির কেউই রাজি নন। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন ভারতের চণ্ডীগড়ের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক ছাত্র। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে তিনি লিখেছেন, প্রতিনিধি পাঠিয়ে দুই বাড়িকে বিয়ের জন্য রাজি করান। ছাত্রের দাবি তাদের বাবা মা কিছুতেই বিয়ে দিতে রাজি হচ্ছেন না।
জানা গেছে, সেই ছাত্রের বান্ধবী চণ্ডীগড়ে নার্সের কাজ করেন। কিন্তু ছাত্র এখনও বেকার হওয়ায় মেয়ের মা–বাবা কিছুতেই বিয়ে দিতে রাজি হচ্ছেন না। ওই একই কারণে ছাত্রের পরিবারও বিয়ে দিতে রাজি নয়। মীমাংসা করতে তাই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন ওই ছাত্র।
যদিও এই ধরনের চিঠি এই প্রথম নয়। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে এমন অনেক চিঠি আসে যেগুলি প্রতিদিন পড়ে দেখেন আধিকারিকরা। তার মধ্যে বেশিরভাগই আসে চণ্ডীগড় থেকে।
চণ্ডীগড় পুলিশকে হেলিকপ্টার দেওয়ার দাবি জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন একজন। তার দাবি ছিল এতে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারবেন। আবার একজন চিঠি লিখেছিলেন প্রতিদিন তার বাড়ির গাছ থেকে ফুল চুরি করা হচ্ছে, অভিযোগ জানিয়েও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এরকম প্রায় ৪০০ চিঠি প্রতিদিন আসে মোদির দপ্তরে। সেগুলি পড়ে সংশ্লীষ্ট এলাকার প্রশাসনকে নির্দেশও দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।
বিডি-প্রতিদিন/ ৭ মে, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-২০