ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর শাসনের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন শত শত নারী। বিরোধী দলীয় এমপিদের নেতৃত্বে সাদা পোশাক পরা নারীরা রাজধানী কারাকাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। এই মিছিলে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা দমন-পীড়ন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়।
জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত নিকি হ্যালে এই ঘটনাকে ‘সহিংস দমন-পীড়ন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
কয়েক সপ্তাহের এই বিক্ষোভে অন্তত ৩৬ জন মারা গেছেন এবং আরও কয়েকশ’ লোক আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
এক বিবৃতিতে নিকি ‘নিজ দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করার জন্য’ মাদুরোকে অভিযুক্ত করেন। তিনি বলেন, মাদুরো তার দেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন। খবর এএফপি’র।
এদিকে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এইচআর ম্যাকমাস্টার শুক্রবার ভেনিজুয়েলার বিরোধী নিয়ন্ত্রিত গণপরিষদের সভাপতি জুলিও বোর্গেসের সঙ্গে দেখা করেন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব স্প্যান স্পাইসার বলেন, এ সময় তারা ভেনিজুয়েলার রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি এবং একটি অবাধ ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করেন।
এর আগে ভালেন্সিয়া নগরীতে এক সহিংসতায় এক যুবক গুলিতে নিহত হয়। ভিডিওচিত্রে কারাকাসে একটি সাঁজোয়া যানকে বিক্ষোভকারীদের ওপর উঠিতে দিতে দেখা গেছে।
বিডি প্রতিদিন/০৭ মে ২০১৭/এনায়েত করিম
