ইতিহাস বইয়ে রানীর ছবি দেখেছে। তাঁর জীবনের মজার মজার গল্প শুনিয়েছেন শিক্ষকরা। তার মতো রানী নাকি আগে পায়নি ব্রিটেন। বইয়ের পাতয় যাকে নিয়ে লেখা তিনি নিশ্চয়ই ‘সুপার হিরো’-এর মত কেউ একজন।
এমন রানীকে নিজের চোখে দেখার ইচ্ছা জেগেছিল ভারতীয় বংশোদ্ভূত ৪ বছরের শিশু শান দুলের। মা–বাবার সঙ্গে ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসের স্যান্ডওয়েলে থাকে সে। আগমী ২৫ জুন পাঁচ বছরে পা দেবে। জন্মদিনের অনুষ্ঠানে রানীকে ডাকলে কেমন হয়। যেমন ভাবা তেমনি কাজ। আমন্ত্রণ জানাতে গত ১৩ মার্চ বাকিংহাম প্যালেসের উদ্দেশে লম্বা–চওড়া একটি চিঠি লিখে ফেলে সে। মা বাজিন্দরে বারণ করলেও শোনেনি।
শান দুল চিঠিতে লেখে, ‘প্রিয় রানী মা, আপনি দুনিয়ার সেরা। আপনার মাথার মুকুটটি আমার খুব পছন্দের। পোশাকের ওপর যখন লাল রঙের রোব পরেন, তখন আপনাকে ঠিক ‘সুপার হিরো’র মতো দেখতে লাগে। আপিন আমার জনমদিনের অনুষ্ঠানে এলে খুব খশি হব। আপনার মতো আমিও ঘোড়া পছন্দ করি। আপনি এলে ভাল হয়। ঘোড়া, জাহাজ এবং দরিদ্র ছেলেমেয়েদের নিয়ে আপনার সঙ্গে কিছু কথা বলতে চাই।’
গত ৩ মে বাকিংহাম প্যালেস থেকে তার চিঠির জবাব আসে। তাতে বলা হয়ে, ‘কাজে খুব ব্যস্ত আছেন বলে তোমার জন্মদিনে যেতে পারবেন না রানী। তবে তোমার চিঠি পেয়ে খুব খুশি হয়েছেন। তুমিও ঘোড়া পছন্দ কর জেনে ভাল লেগেছে। তোমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রানী।’
চিঠিটি যখন বাড়িতে এসে পৌঁছয় তখন স্কুলে ছিল শান। ছুটির পর তাকে আনতে যান মা বলজিন্দর। ছেলেকে রানীর চিঠির কথা জানান। রানী জন্মদিনে আসবে না জেনে একটু দুঃখ পেলেও, চিঠি পেয়ে খুব খুশি হয়েছে। গ্রীষ্মের ছুটিতে তাকে বাকিংহাম প্যালেস দেখাতে নিয়ে যাবেন বলে ঠিক করেছেন বলজিন্দর। সেখানে গেলেই রানীর দেখা মিলবে ভেবে শান খুব খুশি।
বিডি-প্রতিদিন/ ১০ মে, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১০