বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ছাগলের চামড়ার ক্ষেত্রে সরকারি মূল্য মানা হচ্ছে না। এটা আমরা নিজেরাও লক্ষ করেছি। কিন্তু, আমরা সে অনুযায়ী সঠিক অ্যাকশন নেওয়ার চেষ্টা করব। এ বছরের শিক্ষা নিয়ে সামনের বছর থেকে যাতে এটা হয়। তবে গরুর চামড়ার ক্ষেত্রে এই ব্যাত্যয়টা হচ্ছে না।
মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুরে নাটোরের চক বৈদ্যনাথ চামড়ার আড়ত পরিদর্শনে এসে স্থানীয় আড়তদারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, এবছর কিছু চামড়া পচে গিয়েছে। এটা মৌসুমী ব্যবসায়ীদের ভুলের কারণে, তাদের অযাচিত জ্ঞানের কারণে। এই চামড়ার দাম পাওয়া যাচ্ছে, এটাই অনেক কিছু।
তিনি বলেন, সরকার এ বছর যে সক্ষমতা তৈরি করেছে, লবন দিয়েছে, তথ্যচিত্র তৈরি করেছে, পোস্টার বিলি করেছে, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে মসজিদে মসজিদে চামড়া নিয়ে বয়ান দেওয়া হয়েছে। সরকার চাহিদা তৈরি করার ক্ষেত্রে রপ্তানির উপরে কাঁচা চামড়াসহ ওয়েট ব্লু চামড়ার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে। সুতরাং চাহিদা এবং যোগান, যে পরিমাণ চামড়া লবণ দিয়ে সংরক্ষিত হয়েছে আজ পর্যন্ত এ সংরক্ষণের ফলে সরবরাহ পর্যায়ে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। আর ঘাটতি হলে যে কোন পণ্যের মূল্য বাড়ে।
বশিরউদ্দীন আরও বলেন, যেহেতু একদিনে প্রচুর চামড়া কোরবানি করা হয়। ফলে একদিনে প্রচুর চামড়া বাজারে সরবরাহিত হয়। এই সরবরাহটাকে সরকার ঢিলে করার চেষ্টা করেছে। লবণ দিয়ে সংরক্ষণ উপযোগী করে ঢিলে করার চেষ্টা করেছে। যার ফল আলহামদুলিল্লাহ, গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দামে চামড়া ট্রানজেকশন হচ্ছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নাটোরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আবুল হায়াত, পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আখতার জাহান সাথী, চামড়া সমিতি গ্রুপের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল