গত তিন বছরের শাসনকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২৭ বার বিদেশ সফর করেছেন, ভ্রমণ করেছেন ৪৪ টি দেশ। ২০১৪ সালের মে মাসে ক্ষমতায় আসার পর ওই বছরের ১৫ জুন ভুটানে প্রথম বিদেশ সফর করেছিলেন মোদি। ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর জাপানে তিনি শেষ সফর করেন। আর প্রতিটি সফরই করেছেন চাটার্ড ফ্লাইটে। বিদেশ সফর বাবদ মোদির বিমান খরচ হয়েছে ২৭৪ কোটি ৮৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪৬৫ রুপি।
দেশটির প্রধানমন্ত্রীর ওয়েবসাইট (পিএমইন্ডিয়া.গভ.ইন)-এ প্রকাশিত তথ্য থেকেই মোদির বিদেশ সফরের খরচ জানা গেছে।
মোদির বিদেশ সফরে বিমান বাবদ খরচের পরিমান সবচেয়ে বেশি হয়েছে ফ্রান্স, জার্মানি এবং কানাডা সফরকালীন সময়ে। ২০১৫ সালের এপ্রিলে ওই তিনটি দেশে নয় দিনের সফর করেছিলেন মোদি। খরচ হয়েছিল ৩১ কোটি ২৫ লাখ ৭৮ হাজার রুপি। বিদেশ সফর বাবদ সবচেয়ে কম খরচ হয়েছিল ভুটান সফরে। চাটার্ড ফ্লাইটে যাতায়াতের জন্য খরচ হয়েছিল ২ কোটি, ৪৫ লাখ ২৭ হাজার ৪৬৫ রুপি। গত নভেম্বরে দেশ থেকে ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট বাতিলের ঘোষনার দুই দিন পর জাপান সফরের খরচের তালিকা ঘোষনা করে কেন্দ্র সরকার। যদিও সেই করচের তালিকাটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয় নি।
তবে চাটার্ড ফ্লাইট ছাড়াও ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিবিজে এয়ারক্রাফট করেও কয়েকটি দেশ ভ্রমন করেন মোদি। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, নেপাল, সিঙ্গাপুর, ইরান। ফলে সেই দেশগুলিতে ভ্রমণ বাবদ কত করচ হয়েছিল তা তথ্যে প্রকাশ করা হয়নি। আবার এমন কয়েকটি দেশও আছে যেখানে মোদি দুইবার করে সফর করেছিলেন তার মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, নেপাল এবং চীন।
চলতি বছরের মে মাস থেকে আগামী জুলাই পর্যন্ত বিদেশ সফরের কর্মসূচী রয়েছে মোদির। শ্রীলঙ্কা দিয়ে সেই সফর শুরু করতে চলেছেন তিনি। এর পর ইসরায়েল, রাশিয়া, জার্মানি, স্পেন এবং কাজাকিস্তান সফর করতে পারেন মোদি।
তথ্যের অধিকার আইনে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ২০০৪ সাল ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত নয় বছরের শাসনকালে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং’এর বিদেশ ভ্রমণে বিমান খরচ হয়েছিল ৬৪২ কোটি রুপির কিছু বেশি। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে মনমোহন সিং ৬৭ টি বিদেশ সফর করেছিলেন। এর মধ্যে পাঁচটি সফরের বিমান খরচের কোন উল্লেখ্য নেই, বাকী ৬২ টি সফরে বিমান ভ্রমণে খরচ হয়েছিল ৬৪২.৪৫ কোটি রুপি।
এর মধ্যে ২০১২ সালে মেক্সিকো এবং ব্রাজিল সফরে তার সবচেয়ে বেশি খরচ হয়েছিল। সাতদিনের সফরে ওই দুই দেশে জি-২০ এবং রিও-২০ সামিটে যোগ দিতে গিয়েছিলেন মনমোহন সিং। বিমান খরচ হয়েছিল ২৬.৯৪ কোটি রুপি।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন