নিজস্ব পতাকা তৈরির দাবিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দক্ষিণ ভারতের রাজ্য কর্ণাটক। কেন্দ্রীয় সরকার একতার বার্তা প্রেরণ করলেও রাজ্য সরকার নয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। ফলে শুরু হয়েছে নানা তর্ক, বিতর্ক আর সমালোচনা।
জানা গেছে, রাজ্য পতাকার নকশা তৈরি করার জন্য নয় সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। যদি এই বিশেষ প্রস্তাবটি আইনি অনুমতি পায় তবে, জম্মু-কাশ্মীরের পর কর্ণাটক দ্বিতীয় রাজ্য হবে, যাদের নিজস্ব রাজ্য পতাকা থাকবে। সংবিধানের ৩৭০ধারা অনুযায়ী, এই রাজ্যের আলাদা পতাকা রয়েছে।
এ ব্যাপারে কর্নাটকের একজন আইনি বিশেষজ্ঞের দাবি, সংবিধানে একটি রাজ্যের আলাদা পতাকা নিয়ে কিছু বলা না-থাকলেও সুপ্রিম কোর্ট কিন্তু প্রকারান্তরে এই দাবি মেনে নিয়েছে।
এদিকে রাজ্যের সাবেক অ্যাডভোকেট জেনারেল রবিবর্মা কুমার বলছেন, একটা রাজ্যের নিজস্ব পতাকা থাকতেই পারে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে তা যেন কখনো জাতীয় পতাকাকে অসম্মান না করে। রাজ্যের পতাকা সব সময় জাতীয় পতাকার নিচে থাকতে হবে।
এছাড়া, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক একজন বিচারপতি বলেন, প্রতিটা রাজ্য যদি নিজেদের আলাদা আলাদা পতাকা চালু করতে চায়, তাহলে দেশের সংহতি বিপন্ন হতে পারে এই আশঙ্কা থেকেই যায়।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের বিজেপি শাসনের সময়ই কর্ণাটকের রাজ্য পতাকা হিসেবে হলুদ এবং লাল রংয়ের একটি পতাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু সেই প্রস্তাব গৃহিত হয়নি। কারণ ভারত ‘ইউনিটি ইন ডাইভার্সিটি’-র দেশ। সেক্ষেত্রে দেশের একতা বিঘ্নিত হবে বলে মনে করা হয়েছে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও কলকাতা টোয়েন্টিফোর
বিডি-প্রতিদিন/১৯ জুলাই, ২০১৭/ওয়াসিফ