আমেরিকার দিকে ফের অভিযোগের আঙুল তুলল উত্তর কোরিয়া। জাতিসংঘে তারা অভিযোগ তুলেছে, আমেরিকা তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাধা দেওয়ার তোড়জোর শুরু করেছে। তারা আরও অভিযোগ তুলেছে, 'আধুনিক সভ্যতা ধ্বংস'-এর জন্য দারিদ্র্যমুক্ত দেশগুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা।
উত্তর কোরিয়ার অ্যাম্বাসেডর জা সং নাম জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়া এর প্রতিবাদ জানাবে। আত্ম-নির্ভরশীলতা ও আত্ম-উন্নয়নের মাধ্যমে সমাজতান্ত্রিক শক্তির রাস্তা তৈরি করবে উত্তর কোরিয়া। জাতিসংঘের সাধারণ সম্মেলনে একথা বলেছেন তিনি। ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে উন্নয়নের পরিকল্পনা করেছে জাতিসংঘ। স্বাস্থ্য ও শিক্ষার দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। সেকথা মাথায় রেখেই এমন মন্তব্য করেছেন জা সং।
তিনি আরও বলেন, আমেরিকা নজিরবিহীনভাবে পরমাণু হামলার হুমকি দিচ্ছে ও ব্লাকমেইল করছে। উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি, উন্নয়ন ও অস্তিত্বের অধিকারের দিকে বাধা সৃষ্টি করছে আমেরিকা। কিন্তু তাতে আখেরে উল্টো ফলই হচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার সাহস বৃদ্ধি পাচ্ছে ও তারা সতর্ক হচ্ছে।
পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কারণে উত্তর কোরিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের কাছে আবেদন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অগস্টে পরিষদ উত্তর কোরিয়ার কয়লা ও অন্য খনিজ বাইরে রফতানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। গত মাসে টেক্সটাইলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তেল রফতানির ক্ষেত্রেও বাধার মুখে পড়তে হয় উত্তর কোরিয়াকে।
জা সং আরও জানিয়েছেন, উন্নয়শীল দেশগুলো উপর যে বাধা সৃষ্টি করছে আমেরিকা, তা অবিলম্বে ধ্বংস করে দেওয়া উচিত।
জাতিসংঘের হিসেব বলছে, উত্তর কোরিয়ার প্রায় ৭০ শতাংশ জনসংখ্যা খাবারের কমতি, বন্যা ও ধ্বসের কারণে সমস্যার সম্মুখীন হয়। এর প্রভাব পড়ে দেশের কৃষিতে। স্বাভাবিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের অর্থনীতি।
বিডি প্রতিদিন/০৪ অক্টোবর ২০১৭/আরাফাত